ছায়াপথ তার নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে কী বলে?
A
সৌর বছর
B
কসমিক ইয়ার
C
আলোক বর্ষ
D
পালসার
উত্তরের বিবরণ
ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি তার নিজস্ব অক্ষকে কেন্দ্র করে একবার পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে যে দীর্ঘ সময় নেয়, সেই সময়কে বলা হয় কসমিক ইয়ার (Cosmic Year) বা গ্যালাক্টিক ইয়ার (Galactic Year)। এটি একটি অত্যন্ত বৃহৎ সময়কাল, যা পৃথিবী বা সৌরজগতের সময়ের তুলনায় অসীম দীর্ঘ।
-
আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ (Milky Way Galaxy)-এ সূর্যসহ সমগ্র সৌরজগত কেন্দ্রীয় গ্যালাক্টিক কোরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণন করছে।
-
সূর্যের এই একবার সম্পূর্ণ পরিক্রমণ করতে সময় লাগে আনুমানিক ২২.৫ থেকে ২৫ কোটি বছর।
-
এই সময়কালকেই বলা হয় একটি কসমিক ইয়ার, অর্থাৎ ছায়াপথের নিজ অক্ষের চারপাশে এক পূর্ণ ঘূর্ণনের সময়কাল।
-
এটি মহাজাগতিক সময়ের একটি বড় একক, যা আমাদের সৌর বছরের তুলনায় কোটি কোটি গুণ বেশি দীর্ঘ।
অন্য বিকল্পগুলোর অর্থ তুলনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়—
-
সৌর বছর (Solar Year) হলো পৃথিবীর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময়, যা প্রায় ৩৬৫ দিন।
-
আলোক বর্ষ (Light Year) কোনো সময় নয়, বরং দূরত্বের একক — আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, প্রায় ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।
-
পালসার (Pulsar) হলো দ্রুত ঘূর্ণনশীল নিউট্রন তারা, যা রেডিও তরঙ্গ বা বিকিরণ নির্গত করে, এটি সময়ের একক নয়।
অতএব, ছায়াপথের নিজের অক্ষকে কেন্দ্র করে একবার ঘুরে আসতে যে সময় লাগে তাকে বলা হয় — কসমিক ইয়ার (Cosmic Year)।
সঠিক উত্তর — খ) কসমিক ইয়ার।

0
Updated: 1 day ago
মহাজাগতিক রশ্মির আবিস্কারক-
Created: 2 months ago
A
হেস
B
আইনস্টাইন
C
টলেমি
D
হাবল
মহাজাগতিক রশ্মি ও আবিষ্কার
-
আবিষ্কারক: মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic rays) প্রথম আবিষ্কার করেন ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস।
-
মহাজাগতিক রশ্মি কী?
পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্য থেকে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলো যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তাদেরকেই মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়। -
কোথা থেকে আসে?
ধারণা করা হয়, ছায়াপথের বাইরে নক্ষত্র বিস্ফোরণ (Supernova) থেকে উৎপন্ন কণাই মূলত মহাজাগতিক রশ্মির প্রধান উৎস। -
গবেষণা ও আবিষ্কার:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে আকাশে পরীক্ষা চালান। তিনি দেখান যে, যে বিকিরণ বায়ুমণ্ডলকে আয়নিত করছে তার উৎস পৃথিবী নয়, বরং মহাশূন্য। এভাবেই মহাজাগতিক রশ্মির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়। -
নোবেল পুরস্কার:
এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য হেস ১৯৩৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি এই পুরস্কারটি আরেক বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন-এর সাথে যৌথভাবে লাভ করেন। -
হেস সম্পর্কে তথ্য:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস ছিলেন একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, নোবেল প্রাইজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
কোন ধাতু পানি অপেক্ষা হালকা?
Created: 10 hours ago
A
ম্যাগনেসিয়াম
B
ক্যালসিয়াম
C
সোডিয়াম
D
পটাসিয়াম
পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম উভয়ই এমন ধাতু, যা খুব হালকা এবং পানি থেকে কম ভারী।
-
এই ধাতুগুলো গ্রুপ ১-এ থাকে এবং খুব ক্ষার ধাতু।
-
তাদের ঘনত্ব পানির চেয়ে কম হওয়ায় এগুলো পানির উপরে ভাসে।
-
পটাসিয়ামের ঘনত্ব সোডিয়ামের থেকে কম, তাই পটাসিয়াম সোডিয়ামের চেয়ে আরও হালকা।
ধাতুগুলোর ঘনত্ব (প্রতি সেন্টিমিটার ঘনফুটে):
-
সোডিয়াম: ০.৯৭
-
পটাসিয়াম: ০.৮৬
-
ম্যাগনেসিয়াম: ১.৭৪
-
ক্যালসিয়াম: ১.৫৪
-
পানি: ১.০
অর্থাৎ, পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম পানির চেয়ে হালকা, এবং পটাসিয়াম সবচেয়ে হালকা ধাতু।

0
Updated: 10 hours ago
ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
Created: 1 month ago
A
প্লাসটিড
B
মাইটোকন্ড্রিয়া
C
নিউক্লিওলাস
D
ক্রোমাটিন বস্তু
আদিকোষ (Prokaryotic Cell)
ব্যাকটেরিয়ার কোষগুলোকে আদিকোষ বলা হয়।
-
এ ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস (nucleus) থাকে না। এ কারণেই এগুলোকে আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষও বলা হয়।
-
আদিকোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না। তবে এতে রাইবোজোম এবং ক্রোমাটিন থাকে।
-
ক্রোমাটিনে কেবল DNA সংরক্ষিত থাকে।
-
ব্যাকটেরিয়ার কোষ সাধারণত জড় কোষপ্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী অণুজীব।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
-
ব্যাকটেরিয়ার আকার প্রায় 0.2–50 মাইক্রোমিটার।
-
এরা আণুবীক্ষণিক (Microscopic) প্রাণী।
-
এগুলো এককোষী, তবে অনেকগুলো কোষ কলোনি বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে।
-
কোষ প্রাককেন্দ্রিক (Prokaryotic), অর্থাৎ রাইবোজোম ছাড়া অন্য কোনো ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলগি বডি, লাইসোসোম, সাইটোস্কেলেটন ইত্যাদি থাকে না।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago