কোন শব্দ শোনার পরে কত সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মাস্তিস্কে থাকে?
A
১ সেকেন্ড
B
০.১ সেকেন্ড
C
০.০১ সেকেন্ড
D
০.০০১ সেকেন্ড
উত্তরের বিবরণ
যখন আমরা কোনো শব্দ শুনি, তা কানে প্রবেশ করে শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং সেখানে এক ক্ষণস্থায়ী প্রভাব বা রেশ রেখে যায়। এই ক্ষণস্থায়ী শব্দরেশকে বলা হয় শ্রুতিস্মৃতি (Auditory memory) বা Echoic memory। এটি মানুষের সংবেদী স্মৃতির (sensory memory) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়—
শব্দের রেশ বা শ্রুতিস্মৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। সাধারণভাবে, আমরা কোনো শব্দ শোনার পর তার প্রতিধ্বনি বা অনুভূতি প্রায় ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত মস্তিষ্কে টিকে থাকে। এরপর সেই শব্দের ধ্বনি বিলীন হয়ে যায়, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পরবর্তী শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা অর্থ উপলব্ধি করতে পারি।
এই সময়কালকে বলা হয় Echoic storage duration। গবেষণায় দেখা যায়, এই সময় এতটাই সংক্ষিপ্ত যে এটি আমাদের শ্রবণ প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে আমরা একেকটি শব্দকে আলাদা না করে একটি বাক্য বা সুর হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।
যদি শব্দরেশ ১ সেকেন্ড স্থায়ী হতো, তাহলে একাধিক শব্দ একত্রে মিশে যেত এবং আমরা স্পষ্টভাবে ভাষা বুঝতে পারতাম না। আবার ০.০১ বা ০.০০১ সেকেন্ডের মতো খুবই স্বল্প সময় হলে ধারাবাহিক শব্দ শুনে অর্থ গঠন সম্ভব হতো না। তাই প্রকৃত সময়কাল প্রায় ০.১ সেকেন্ড হিসেবেই গ্রহণযোগ্য।
এই প্রক্রিয়া শ্রবণেন্দ্রিয় কর্টেক্সে (auditory cortex) ঘটে, যা মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব-এ অবস্থিত। এখানেই শব্দের তরঙ্গ প্রক্রিয়াজাত হয়ে তাৎক্ষণিক স্মৃতিতে রূপ নেয় এবং পরবর্তী বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়।
অতএব, শব্দ শোনার পর তার রেশ বা প্রতিধ্বনি মানুষের মস্তিষ্কে আনুমানিক ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী থাকে, এরপর তা মুছে যায় বা অন্য শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো খ) ০.১ সেকেন্ড।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ?
Created: 2 weeks ago
A
পানির তরঙ্গ
B
শব্দ তরঙ্গ
C
বেতার তরঙ্গ
D
ভূ-তরঙ্গ
তরঙ্গ হলো এমন এক প্রকার পর্যাবৃত্ত আন্দোলন যা কোনো মাধ্যমের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে, তবে এতে মাধ্যমের কণাগুলো স্থানান্তরিত হয় না। জড় মাধ্যমের কণার আন্দোলন ছাড়াও তরঙ্গ সৃষ্টি হতে পারে, কিন্তু যখন জড় মাধ্যমের কণার আন্দোলনের মাধ্যমে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তখন তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ পানির তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ, ভূমি কম্পনের ফলে সৃষ্ট ভূ-তরঙ্গ ইত্যাদি।
যান্ত্রিক তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য হলো–
১. মাধ্যমের কণার স্পন্দন গতির মাধ্যমে তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।
২. মাধ্যমের কণাগুলো সাম্য অবস্থান থেকে উপরে-নিচে বা সামনে-পেছনে স্পন্দিত হয়, তবে তারা স্থানান্তরিত হয় না।
৩. তরঙ্গ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি ও তথ্য সঞ্চারিত করে।
৪. তরঙ্গের কণাগুলো বিভিন্ন বেগে স্পন্দিত হয়। স্পন্দনের বেগ কখনও কমে, কখনও বাড়ে। কিন্তু তরঙ্গ সবসময় একটি সুষম বেগে সঞ্চারিত হয়। অর্থাৎ কণার স্পন্দন বেগ এবং তরঙ্গ বেগ এক নয়।
৫. তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কণার স্পন্দনের দিক ও তরঙ্গ সঞ্চালনের দিক একই হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো ও তাপ আসে তরঙ্গ আকারে। কিন্তু সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে মহাশূন্যে কোনো জড় মাধ্যম নেই। আলো ও তাপ মাধ্যম ছাড়াই বিশেষ প্রকার তরঙ্গ আকারে সঞ্চারিত হয়, যাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বেতার তরঙ্গ, এক্স-রশ্মি তরঙ্গ, গামা রশ্মি তরঙ্গ ইত্যাদি।

0
Updated: 2 weeks ago
তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে শব্দের তীব্রতা কেমন হবে?
Created: 1 month ago
A
বেশি হবে
B
কম হবে
C
অপরিবর্তনশীল থাকবে
D
কোনোটিই নয়
শব্দ হলো একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যা বস্তুর কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয় এবং এটি সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে, কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই হয়।
-
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের গতি:
-
কঠিন পদার্থ: শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি, যেমন ইস্পাত, লোহা।
-
তরল পদার্থ: শব্দের গতি কম, যেমন পানি।
-
বায়বীয় পদার্থ: শব্দের গতি সর্বনিম্ন।
-
শূন্য মাধ্যম: শব্দের বেগ শূন্য।
-
-
শব্দের বেগ: মাধ্যমের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল।
-
শব্দের তীব্রতা: অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দের তীব্রতা তার বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে তীব্রতা বেশি হয় এবং বিস্তার কম হলে তীব্রতা কম হয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি থেকে শব্দ তরঙ্গ উৎপন্ন হয়?
Created: 1 month ago
A
বস্তুর কম্পন
B
মাধ্যমের অপসারণ
C
মাধ্যমের প্রসারণ
D
বস্তুর প্রসারণ
শব্দ তরঙ্গ (Sound Wave)
শব্দ তরঙ্গ হলো যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ এটি বস্তু বা মাধ্যমের কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়।
মাধ্যম: শব্দের চলাচলের জন্য স্থিতিস্থাপক মাধ্যম প্রয়োজন।
ধরন: শব্দ তরঙ্গ হলো অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave), কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কণার কম্পনের দিক একই।
শক্তি ও তথ্য: শব্দ তরঙ্গ শক্তি এবং তথ্য সঞ্চারণ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago