মহাজাগতিক রশ্নির আবিষ্কার -
A
হেস
B
আইনস্টাইন
C
টলেমি
D
হাবল
উত্তরের বিবরণ
মহাজাগতিক রশ্মির (Cosmic Rays) আবিষ্কার করেন ভিক্টর হেস (Victor Hess)। তিনি একজন অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ, যিনি ১৯১২ সালে বেলুনে উঠে উচ্চ বায়ুমণ্ডলে গবেষণা করে এই রশ্মির অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
চলুন ব্যাখ্যা করা যাক—
-
ভিক্টর হেস লক্ষ্য করেন যে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, বায়ুতে আয়নায়নের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ কোনো অজানা বিকিরণ মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর দিকে আসছে।
-
এই অজানা বিকিরণই পরবর্তীতে “Cosmic Rays” বা মহাজাগতিক রশ্মি নামে পরিচিত হয়।
-
এই রশ্মি মূলত উচ্চ শক্তিসম্পন্ন প্রোটন, ইলেকট্রন ও পারমাণবিক কণিকা দ্বারা গঠিত, যা মহাবিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে—বিশেষত সূর্য, সুপারনোভা ও গ্যালাক্টিক বিকিরণ অঞ্চল থেকে—আসে।
-
১৯৩৬ সালে ভিক্টর হেস তাঁর এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
অন্য বিকল্পগুলো ভুল কারণ—
-
আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও আলোক-তড়িৎ প্রভাবের জন্য পরিচিত।
-
টলেমি ছিলেন প্রাচীন জ্যোতির্বিদ, যিনি সৌরজগতের ভূকেন্দ্রিক তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।
-
এডউইন হাবল মহাবিশ্বের প্রসারণ তত্ত্ব ও গ্যালাক্সির অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য বিখ্যাত।
অতএব, মহাজাগতিক রশ্মির আবিষ্কারক হলেন — ভিক্টর হেস।
সঠিক উত্তর — ক) হেস।

0
Updated: 1 day ago
মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার কবে দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯২২ সালে
B
১৯৩৬ সালে
C
১৯৪৫ সালে
D
১৯৫০ সালে
Cosmic Rays (মহাজাগতিক রশ্মি):-
-
সংজ্ঞা: মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন আহিত কণাসমূহ প্রবেশ করলে সেগুলিকে মহাজাগতিক রশ্মি বা Cosmic rays বলা হয়।
-
আবিষ্কারক: ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস, একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
-
বেলুনে বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে, বিকিরণের উৎস মহাজাগতিক এবং এটি পরিবেশকে আয়নিত করে।
-
-
পুরস্কার: ১৯৩৬ সালে কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য।
উৎস: ব্রিটানিকা ও নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কোন রশ্মির কোন ভর বা চার্জ নেই?
Created: 1 month ago
A
বিটা
B
আলফা
C
পজিট্রন
D
গামা
গামা রশ্মি (γ-রশ্মি) হলো একটি ধরনের বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, যা আলোর মতো কণিকা নয়। এটি সাধারণত α-কণা বা β-কণার বিচ্ছুরণের পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পূর্ণবিন্যাসের ফলে উদ্ভূত হয়। γ-রশ্মির তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য অত্যন্ত ক্ষুদ্র, এমনকি রঞ্জন রশ্মির চেয়েও কম।
-
প্রকৃতি:
-
γ-রশ্মি কোনো কণিকা নয়, এটি তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ।
-
α-কণা বা β-কণার বিচ্ছুরণের পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পূর্ণবিন্যাসের ফলে উদ্ভূত হয়।
-
তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য খুবই কম, রঞ্জন রশ্মির চেয়েও ক্ষুদ্র।
-
-
বেগ:
-
γ-রশ্মি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, তাই এদের বেগ প্রতি সেকেন্ডে 186,000 মাইল বা 3×10⁸ মিটার/সেকেন্ড।
-
-
বায়ুর আয়নীকরণ ক্ষমতা:
-
প্রধানত পরোক্ষভাবে পদার্থকে আয়নিত করে।
-
বহু দীর্ঘ পথ পার হতে হয়, তাই আপেক্ষিক আয়নীকরণ ক্ষমতা খুব কম।
-
-
ছেদন ক্ষমতা:
-
α-কণার তুলনায় প্রায় 10,000 গুণ বেশি।
-
রঞ্জন রশ্মির মতো বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।
-
-
জীবকোষের উপর প্রভাব:
-
জীবন্ত কোষের ক্ষতি করতে সক্ষম।
-
γ-রশ্মি বিকিরণের ফলে নিউক্লিয়াসের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, কারণ এটি কেবল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
γ-রশ্মির কোনো ভর বা চার্জ নেই।
-

0
Updated: 1 month ago
কোন রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর?
Created: 1 month ago
A
রঞ্জন রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
অতিবেগুনি রশ্মি
D
ইনফ্রারেড রশ্মি
অতিবেগুনি, গামা ও এক্স-রশ্মি হলো বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, যা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং শক্তির দিক থেকে ভিন্ন। অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর, কারণ এটি চোখের উপরিভাগের কোষ নষ্ট করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। গামা রশ্মি ও এক্স-রে শক্তিশালী হলেও সাধারণত চোখে সরাসরি ক্ষতি করে না, আর ইনফ্রারেড রশ্মি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
গামা রশ্মি (γ-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে ছোট।
-
ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারণে কম্পাঙ্ক এবং শক্তি অত্যন্ত বেশি।
-
দৃশ্যমান আলোর তুলনায় শক্তি প্রায় ৫০,০০০ গুণ বেশি।
-
তেজস্ক্রিয় মৌল এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্গত হয়।
-
প্রাণীর দেহের জন্য ক্ষতিকর।
এক্স রশ্মি (X-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে 10⁻⁸ m পর্যন্ত।
-
উলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন; রঞ্জন রশ্মি নামেও পরিচিত।
-
গামা রশ্মির তুলনায় কম্পাঙ্ক ও শক্তি অপেক্ষাকৃত কম।
-
মানুষের দেহের নরম অংশের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাড় বা টিউমারজাত শক্ত টিস্যুর মধ্য দিয়ে যায় না।
-
চিকিৎসায় দেহের হাড় এবং টিউমার সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray):
-
এক্স-রে এবং দৃশ্যমান আলোর মধ্যবর্তী, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻⁸ m থেকে 4×10⁻⁷ m পর্যন্ত।
-
সূর্য রশ্মি প্রধান উৎস।
-
ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
দীর্ঘ সময় পড়লে চোখ ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

0
Updated: 1 month ago