গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য প্রস্থাবিত সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন কত?

A

 ৯১ বর্গ কিলোমিটার

B

৯ বর্গ কিলোমিটার

C

 ৭ বর্গ কিলোমিটার

D

৮ বর্গ কিলোমিটার

উত্তরের বিবরণ

img

সোনাদিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ, যা কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অন্যতম স্থান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার, যা তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও এর কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• সোনাদিয়া দ্বীপটি কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত, যা বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য অত্যন্ত উপযোগী স্থান হিসেবে বিবেচিত।
• দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার, যা অন্যান্য উপকূলীয় দ্বীপের তুলনায় ছোট হলেও এর প্রাকৃতিক গভীরতা ও নৌচলাচলের সুবিধা অনেক বেশি।
• বাংলাদেশের সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এখানে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর (Deep Sea Port) নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, যাতে বৃহৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ সরাসরি নোঙর করতে পারে।
• গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল—চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের চাপ কমানো, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা।
• তবে পরিবেশবিদ ও গবেষকদের মতে, সোনাদিয়া দ্বীপের আশপাশে রয়েছে বহুমূল্যবান জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে সমুদ্রকচ্ছপ, পরিযায়ী পাখি ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, যা উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে হুমকির মুখে পড়তে পারে।
• বর্তমানে সোনাদিয়া প্রকল্পটি সক্রিয়ভাবে অগ্রসর না হলেও, দ্বীপটির অবস্থান ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এখনও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
• দ্বীপটি জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নিয়মিতভাবে আকারে কিছুটা পরিবর্তিত হয়, তবে এর গড় আয়তন ৯ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন ৯ বর্গ কিলোমিটার, যা ছোট হলেও ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সঠিক উত্তর হলো (খ) ৯ বর্গ কিলোমিটার

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD