সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
উত্তরের বিবরণ
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি, যা বাংলায় বলা হয় “পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপের মাধ্যমে গণনা”। এই পদ্ধতিতে বাঘের চলাফেরার পথে তাদের পদচিহ্ন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বাঘের আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এটি বহু বছর ধরে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• “পাগ-মার্ক পদ্ধতি” মূলত বাঘের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নির্ধারণের একটি প্রাচীন ও কার্যকর কৌশল। বাঘের প্রতিটি পদচিহ্নের আকার, গভীরতা ও নকশা আলাদা হয়ে থাকে, যা দিয়ে এক বাঘকে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
• সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মাটিতে, বালিতে বা কাদা জমিতে খুব স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা এই ছাপগুলো প্লাস্টার কাস্ট বা মাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
• প্রতিটি পদচিহ্নের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আঙুলের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেন, পদচিহ্নটি পুরুষ না স্ত্রী বাঘের, এবং একই বাঘের পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।
• পাগ-মার্ক পদ্ধতি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় অতীতে সুন্দরবনে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে যখন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ বা ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রচলিত ছিল না।
• তবে বর্তমানে এই পদ্ধতির সঙ্গে ক্যামেরা ট্র্যাপ ও GIS প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে গণনা আরও নির্ভুল হয়। তবুও, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পাগ-মার্ক পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• এই পদ্ধতি শুধু সংখ্যা নয়, বরং বাঘের গমনপথ, কার্যক্ষেত্র (territory), ও আচরণগত তথ্য সম্পর্কেও ধারণা দেয়।
• যদিও এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে—যেমন একই বাঘের একাধিক ছাপ গণনায় আসতে পারে বা বৃষ্টিতে ছাপ নষ্ট হতে পারে—তবুও সুন্দরবনের কঠিন ভূপ্রকৃতির কারণে এটি এখনো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর উপায়।
সবশেষে বলা যায়, সুন্দরবনের বাঘ গণনায় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) পাগ-মার্ক।

0
Updated: 1 day ago
সম্প্রতি উন্মোচিত ১০০ টাকার নতুন নোটে নিম্নের কোন ছবিটি রয়েছে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
সুন্দরবন
B
মেট্রোরেল
C
পদ্মা সেতু
D
কর্ণফুলী টানেল
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে বাজারে ১০০ টাকার নতুন নোট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নোটের এক পাশে ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং অপর পাশে সুন্দরবনের ছবি রয়েছে। নোটের মূল রং নীল এবং এটি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্তৃক স্বাক্ষরিত।
-
নতুন নোটের মোট পরিমাণ: ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
-
বিতরণ: সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাংকের শাখায় নয়; যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদেরকে স্বল্প পরিমাণে নতুন নোট প্রদান করা হয়েছে
-
নোটের বৈশিষ্ট্য: এক পাশে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ, অপর পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দরবন
-
নোটের রং: নীল

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ একক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
পদ্মা বহুমুখী সেতু
B
পায়রা সমুদ্র বন্দর
C
মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
D
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
তথ্যগুলো হলো:
-
প্রকল্পের গুরুত্ব: দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প।
-
বাস্তবায়ন সংস্থা: বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
-
স্থান: পাবনার ঈশ্বরদী।
-
ক্ষমতা: ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট।
-
অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা: রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায়, রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার।
-
প্রকল্প খরচ: প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
-
মেয়াদ: জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫; পরে বাড়িয়ে ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত করা হয়েছে।

0
Updated: 1 month ago
কত সালে জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৩ সালে
জাতীয় সংসদ ভবন
-
অবস্থান: ঢাকার শেরে-বাংলা নগর
-
স্থপতি: লুই ক্যান (প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি)
-
পরিকল্পনা: গৃহীত ১৯৫৯ সালে
-
নকশা অনুমোদন: ১৯৬২ সালে
-
নির্মাণ শুরু: ১৯৬৪ সালে
-
ভৌগোলিক বিবরণ:
-
১০৮ একর জমির উপর অবস্থিত
-
বিশাল খোলা চত্বর
-
সম্পূর্ণ কংক্রিটের ঢালাইয়ে বৃত্তাকার নয়তলা
-
সমাপ্তি ও উদ্বোধন:
-
১৯৮২ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
-
২৮ জানুয়ারি, ১৯৮২ প্রেসিডেন্ট জাস্টিস আব্দুস সাত্তার উদ্বোধন
-
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন
উল্লেখ্য:
-
এর আগে জাতীয় সংসদের অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হতো, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago