ভারতের কতটি ‘ছিটমহল’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?
A
১৬২টি
B
১১১টি
C
৫১টি
D
১০১টি
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: খ) ১১১টি
ব্যাখ্যা:
ছিটমহল বলতে বোঝায়—একটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এমন একটি ভূমিখণ্ড, যা অন্য দেশের ভেতরে অবস্থিত। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে বহু বছর ধরে এমন ছিটমহল ছিল, যা দুই দেশের নাগরিকদের জন্য ছিল এক গভীর প্রশাসনিক ও মানবিক সমস্যা। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় ২০১৫ সালে, “ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তি (Land Boundary Agreement – LBA)” বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভূমি-বিনিময় ঘটে এবং তখন—
-
ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়,
-
অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝাতে কিছু মূল তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—
-
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল থেকে যায়।
-
এই ভূমিগুলো প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাসিন্দারা নাগরিক অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা ভোটাধিকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
-
দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তি কার্যকর হয় ৩১ জুলাই ২০১৫ সালে, যখন উভয় দেশ তাদের নিজ নিজ ছিটমহলের বিনিময় সম্পন্ন করে।
-
বাংলাদেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল মোট আয়তনে প্রায় ১৭,১৬০ একর জমি নিয়ে গঠিত।
-
এই বিনিময়ের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীরা প্রথমবারের মতো নিজেদের পছন্দের দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ পান, যা ছিল মানবিক দিক থেকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
-
ফলে সীমান্তে প্রশাসনিক বিভ্রান্তি দূর হয়, আইন-শৃঙ্খলা জোরদার হয় এবং সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রায় আসে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা।
সবশেষে বলা যায়, ২০১৫ সালের স্থলসীমা চুক্তির মাধ্যমে ভারতের মোট ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
ভারত ও নেপালের মধ্যকার বিতর্কিত একটি অঞ্চল-
Created: 1 month ago
A
লাদাখ
B
কালাপানি
C
কাশ্মীর
D
তিনবিঘা করিডোর
• কালাপানি
-
কালাপানি হলো ভারত ও নেপালের মধ্যে বিতর্কিত একটি অঞ্চল, যা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত।
-
বর্তমানে এটি ভারত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
-
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অঞ্চল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিরোধ আছে।
-
বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে কালাপানি, লিপুলেখ ও সুস্তা অন্যতম।
-
অবস্থান: নেপালের উত্তর-পশ্চিম অংশে; দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন, উত্তরে চীনের তিব্বত।
-
এই ভূখণ্ড হলো ভারত, নেপাল ও চীনের সংযোগস্থল।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সীমান্ত
-
তিন বিঘা করিডোর: বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ পথ।
-
কাশ্মীর: ভারত ও পাকিস্তান মধ্য অবস্থিত; কিছু অংশ ভারত শাসিত, কিছু পাকিস্তান শাসিত।
উৎস: BBC ও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ✅

0
Updated: 1 month ago
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তাসখন্দ চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৬৩ সালে
B
১৯৬৪ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৬ সালে
তাসখন্দ চুক্তি
-
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত।
-
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আপাত অবসান ঘটায়।
-
স্বাক্ষর স্থল: তাসখন্দ, উজবেকিস্তান (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)।
-
মধ্যস্থতাকারী: সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিজিন।
-
স্বাক্ষরকারী: ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান।

0
Updated: 3 weeks ago
ভারত প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল কবে?
Created: 2 months ago
A
১৯৭৪ সালে
B
১৯৮২ সালে
C
২০০১ সালে
D
১৯৮৫ সালে
ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষা
-
প্রথম পরীক্ষা (Smiling Buddha)
-
তারিখ: ১৮ মে, ১৯৭৪
-
স্থান: পোখরান টেস্টিং সাইট, রাজস্থান
-
সরকারি দাবি: শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে (মাটি সরানো, খননকাজ, খাল খনন)
-
বাস্তবতা: ১৯৯৭ সালে দলের প্রধান রাজা রামান্না স্বীকার করেন যে এটি আসলে একটি অস্ত্র পরীক্ষা ছিল
-
-
দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা
-
তারিখ: মে ১৯৯৮, একই পোখরান সাইটে
-
পরীক্ষার সংখ্যা: ৫টি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা
-
ফলাফল: ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র ঘোষণা করে
-
উৎস: Arms Control Association

0
Updated: 2 months ago