কোনটি জারক পদার্থ নয়?
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্নে বলা হয়েছে, “কোনটি জারক পদার্থ নয়?” — এখানে ‘জারক পদার্থ’ বলতে বোঝায় এমন একটি পদার্থ, যা অন্য পদার্থকে জারিত (oxidize) করে, অর্থাৎ ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিজে হ্রাসপ্রাপ্ত (reduced) হয়।
বিষয়টি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো বিবেচনা করা যায়—
অক্সিজেন, ক্লোরিন, এবং ব্রোমিন— এরা সবাই শক্তিশালী জারক পদার্থ, কারণ তারা সহজেই ইলেকট্রন গ্রহণ করতে সক্ষম। যেমন, অক্সিজেন জারণ বিক্রিয়ায় অংশ নিয়ে অন্য পদার্থ থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ করে, ক্লোরিন ও ব্রোমিনও একইভাবে অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
অন্যদিকে, হাইড্রোজেন জারণ ঘটায় না বরং নিজে সহজেই ইলেকট্রন দান করে। সে কারণে হাইড্রোজেন একটি হ্রাসকারী পদার্থ (reducing agent)। যখন হাইড্রোজেন কোনো যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, তখন তা অন্য পদার্থকে ইলেকট্রন দেয়— অর্থাৎ অন্য পদার্থকে হ্রাস করে, নিজে জারিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ধাতু অক্সাইডের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় দেখা যায় হাইড্রোজেন নিজে জল তৈরি করে অক্সিজেনকে ইলেকট্রন দেয়, ফলে ধাতু পুনরায় মুক্ত হয়—
CuO + H₂ → Cu + H₂O
এখানে হাইড্রোজেন জারক নয়, বরং হ্রাসকারী হিসেবে কাজ করছে।
অন্যদিকে, অক্সিজেন, ক্লোরিন ও ব্রোমিন—সবাই ইলেকট্রন গ্রহণ করে নতুন যৌগ তৈরি করে, যা তাদের জারক পদার্থ হিসেবে প্রমাণ করে।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে হাইড্রোজেনই একমাত্র পদার্থ যা জারক নয়, কারণ এটি অন্যকে জারিত না করে বরং নিজে ইলেকট্রন দান করে হ্রাস ঘটায়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ক) হাইড্রোজেন।

0
Updated: 1 day ago
প্রচলিত শক্তির উৎস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
জৈবগ্যাস শক্তি
C
সৌরশক্তি
D
জোয়ার-ভাটাজনিত শক্তি
শক্তি সম্পদ
শক্তির সংজ্ঞা
কোনো কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতাকেই শক্তি বলে।
শক্তির প্রকারভেদ
১) জড়শক্তি বা অচেতন শক্তি
প্রাণহীন পদার্থ থেকে সৃষ্ট শক্তি।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদির আবিষ্কারের ফলে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়।
আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি।
উৎস অনুযায়ী জড়শক্তি দুই ভাগে বিভক্ত:
ক. প্রচলিত শক্তির উৎস
খনিজ তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস।
শিল্পসভ্যতার প্রধান চালিকাশক্তি।
খ. অপ্রচলিত শক্তির উৎস
আণবিক শক্তি, সৌরশক্তি, ভূ-তাপ শক্তি, জোয়ার-ভাঁটার শক্তি, জৈবগ্যাস শক্তি।
নতুন যুগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
২) জৈবশক্তি বা চেতন শক্তি
জীবন্ত প্রাণী বা মানুষের চিন্তা-শক্তি থেকে উৎপন্ন শক্তি।
যেমন: গরু, ঘোড়া, উট, হাতি ইত্যাদির শ্রমশক্তি।
মানুষের জ্ঞান ও চিন্তাশক্তিও এক প্রকার মানসিক শক্তি।
এই শক্তি ব্যবহার করেই মানুষ প্রাকৃতিক জড় পদার্থ থেকে নতুন শক্তি তৈরি করে।
উৎস: ভূগোল দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী)।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি গ্রীন শক্তির উদাহরণ নয়?
Created: 1 month ago
A
বায়ু বিদ্যুৎ
B
সৌর শক্তি
C
জলবিদ্যুৎ
D
কয়লা শক্তি
কয়লা শক্তি হলো একটি অনবায়নযোগ্য শক্তি, যা গ্রীন শক্তি নয়। শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকার:
-
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহারযোগ্য।
-
পরিবেশ বান্ধব এবং এটিকে গ্রীন শক্তি বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
সৌর শক্তি
-
জলবিদ্যুৎ
-
বায়ু বিদ্যুৎ
-
বায়োগ্যাস
-
ভূ-তাপীয় শক্তি
-
-
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য নয়।
-
প্রকৃতিতে এর উৎস সীমিত।
-
উৎপাদনের খরচ বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নয়।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা
-
খনিজ তেল
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
নিউক্লিয় শক্তি
-
-

0
Updated: 1 month ago
বাতাস একটি -
Created: 2 weeks ago
A
ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ
B
প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ
C
ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
D
অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
বায়ু মূলত নাইট্রোজেন (N2), অক্সিজেন (O2), এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) দ্বারা গঠিত, সঙ্গে থাকে জলীয় বাষ্প (H2O) এবং অল্প পরিমাণ অন্যান্য গ্যাস। এই উপাদানগুলোর মধ্যে অক্সিজেন একটি প্যারাম্যাগনেটিক উপাদান,
অর্থাৎ এটি চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হয়, যখন নাইট্রোজেন, আর্গন, এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ডায়াম্যাগনেটিক, অর্থাৎ তারা চুম্বক ক্ষেত্র থেকে হটতে চায়। তবে, অক্সিজেনের প্যারাম্যাগনেটিক বৈশিষ্ট্য অন্যান্য ডায়াম্যাগনেটিক গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, তাই বায়ুকে সামগ্রিকভাবে প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ হিসেবে ধরা হয়।
• Magnetic Susceptibility (χm) দিয়ে ডায়াচৌম্বক এবং প্যারাচৌম্বক পদার্থ পৃথক করা যায়।
-
ডায়াচৌম্বক পদার্থের χm ক্ষুদ্র কিন্তু ঋণাত্মক (χm < 0)।
-
প্যারাচৌম্বক পদার্থের χm ক্ষুদ্র কিন্তু ধণাত্মক (χm > 0)।
-
বায়ুর χair = 3.6 × 10^-7, ধণাত্মক হওয়ায় χm > 0, অর্থাৎ এটি প্যারাম্যাগনেটিক।
• Relative Magnetic Permeability (μr) দ্বারা ও তাদের পার্থক্য বোঝা যায়।
-
ডায়াচৌম্বক পদার্থের μr < 1।
-
প্যারাচৌম্বক পদার্থের μr > 1।
-
বায়ুর μair = 1.00000036, যা সামান্য 1 এর বেশি, তাই μr > 1।
• অক্সিজেনের χ0 = 1.8 × 10^-6, ধনাত্মক মানের কারণে এটি প্যারাচৌম্বক।
• নাইট্রোজেনের χn = -6.7 × 10^-9, ঋণাত্মক মানের কারণে এটি ডায়াচৌম্বক।
• বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন 78.02% এবং অক্সিজেন 20.71% থাকায় χ0 × 20.71% > χn × 78.02%, অর্থাৎ অক্সিজেনের প্যারাম্যাগনেটিক প্রভাব প্রাধান্য পায়।
• ডায়াচৌম্বক পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় এবং পদার্থ চুম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়। উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ।
• প্যারাচৌম্বক পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে পদার্থ চুম্বকের দিকে মুখ করে। উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাটিনাম, টিন।
• ফেরো চৌম্বক পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং চুম্বকের অভিমুখ অনুযায়ী অক্ষকে সাজায়। উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট।
সারসংক্ষেপে, বায়ুতে উপস্থিত অক্সিজেনের প্যারাম্যাগনেটিক বৈশিষ্ট্য নাইট্রোজেনসহ অন্যান্য গ্যাসের ডায়াম্যাগনেটিক বৈশিষ্ট্যের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, তাই বায়ু একটি প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago