“কালাপানি“ কোন দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অমীমাংসিত ভূখন্ড?
A
ভারত ও নেপাল
B
পাকিস্তান ও চীন
C
ভূটান ও ভারত
D
বাংলাদেশ ও ভারত
উত্তরের বিবরণ
“কালাপানি” একটি দীর্ঘদিনের সীমান্তবিরোধপূর্ণ এলাকা, যা ভারত ও নেপাল—এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত। এটি হিমালয়ের পাদদেশে, ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল এবং নেপালের ধৌলাগিরি অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সঠিক উত্তর হলো ভারত ও নেপাল।
বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝাতে নিচে বিশ্লেষণ দেওয়া হলো—
ভৌগোলিক অবস্থান:
কালাপানি অঞ্চলটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত, যা নেপালের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের সীমান্তঘেঁষা এলাকা। এখানে লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা—এই তিনটি স্থান নিয়ে প্রধান বিরোধ বিদ্যমান।
বিরোধের উৎপত্তি:
বিরোধের সূচনা হয় ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি থেকে, যা ব্রিটিশ ভারত ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী মহাকালী (শারদা) নদীর পূর্বতীর নেপালের অংশ এবং পশ্চিমতীর ভারতের অংশ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নদীর উৎসস্থান বা মূল প্রবাহ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
ভারতের অবস্থান:
ভারত দাবি করে, কালাপানি ও লিপুলেখ অঞ্চল তার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ এবং ব্রিটিশ আমল থেকেই এটি ভারতের ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচিত।
নেপালের অবস্থান:
অন্যদিকে, নেপাল দাবি করে যে মহাকালী নদীর উৎস লিম্পিয়াধুরা থেকে শুরু হয়, ফলে পুরো কালাপানি অঞ্চল নেপালের পশ্চিম সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত। তাদের মতে, ভারতের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ এই অঞ্চলে অবৈধভাবে চলছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
২০২০ সালে ভারত একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে যেখানে কালাপানি অঞ্চলকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। এর প্রতিবাদে নেপালও নিজের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ—এই তিনটি অঞ্চলকে নেপালের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে এই বিরোধ নতুন করে আন্তর্জাতিক আলোচনায় আসে।
অর্থনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব:
কালাপানি অঞ্চলটি হিমালয়ের এক অত্যন্ত কৌশলগত স্থান, যা ভারতের জন্য চীন সীমান্তের নিকটে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে এটি লিপুলেখ পাস–এর কাছাকাছি, যা ভারত ও চীনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ এবং কৈলাশ–মানস সরোবর যাত্রার অন্যতম রুট।
সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, কালাপানি বিরোধটি মূলত ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল একটি সীমান্তবিরোধ, যার শান্তিপূর্ণ সমাধান এখনো হয়নি।
উ. ক) ভারত ও নেপাল
ব্যাখ্যা: কালাপানি এলাকা ভারত–নেপাল সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত অঞ্চল। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নদীর উৎস ও সীমারেখা নির্ধারণে মতপার্থক্য থাকায় এটি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

0
Updated: 1 day ago
মালবর্ক দুর্গের সাথে কোন দেশ সম্পর্কিত?
Created: 3 weeks ago
A
সুইডেন
B
পোল্যান্ড
C
জার্মানি
D
মিশর
মালবর্ক দুর্গ
-
অবস্থান: উত্তর পোল্যান্ডের নোগাত নদীর তীরে
-
আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গ।
-
নির্মাণ: ১৩ শতকে পোল্যান্ডের মালবর্কে, প্রায় ৫২ একর জায়গাজুড়ে।
-
নির্মাতা: জার্মান ক্যাথলিক ধর্মীয় ক্রুসেডারদের সংগঠন টিউটনিক নাইটস।
-
বৈশিষ্ট্য: ইউরোপের সর্ববৃহৎ সুরক্ষিত গথিক স্থাপনা।
-
১৯৯৭ সালে ইউনেসকো এটিকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

0
Updated: 3 weeks ago
সম্প্রতি আদালতের রায়ে থাইল্যান্ডের কোন প্রধানমন্ত্রীকে পদচ্যুত করা হয়? (সেপ্টেম্বর-২০২৫)
Created: 4 weeks ago
A
থাকসিন শিনাওয়াত্রা
B
পায়টংটার্ন শিনাওয়াত্রা
C
প্রায়ুত চ্যান-ও-চা
D
পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী:
-
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অনুতিন চার্নভিরাকুল।
-
নির্বাচনের তারিখ: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর
-
ভোটাভুটি: পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত
-
পার্টি: ভুমজয়থাই পার্টি
-
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৪৯২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৩১১ ভোট পান অনুতিন চার্নভিরাকুল
-
বিরোধী দল: রক্ষণশীল, পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল
পূর্ববর্তী দায়িত্ব:
-
উপপ্রধানমন্ত্রী
-
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
-
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
-
পরিচিতি: ২০২২ সালে গাঁজা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণে
প্রেক্ষাপট:
-
২০২৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি দেশটির শীর্ষ পদ দখল করেছিল।
-
সম্প্রতি আদালতের রায়ে পরিবারের উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুত হন।

0
Updated: 4 weeks ago
কিয়োটো প্রটোকল কোন দেশে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
কিয়োটো প্রটোকল:
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বাধ্যতামূলকভাবে হ্রাসকরণের আন্তর্জাতিক চুক্তি হচ্ছে কিয়োটো প্রটোকল।
- স্বাক্ষরিত হয়: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭।
- কার্যকর হয়: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫।
- স্বাক্ষরের স্থান: কিয়োটো, জাপান।
- স্বাক্ষরিত দেশ: ৮৩টি।
- অনুমোদনকারী দেশ: ১৯২টি।

0
Updated: 1 month ago