কোনটি সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তির উদাহরণ?
A
ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক
B
ভিক্ষা দাও দুয়ারে ভিক্ষুক
C
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। বস্তু নয় - ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। যেমন: ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। কে, রে - চতুর্থী বিভক্তি।
0
Updated: 3 months ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সরোবরে
B
চশমা
C
সরোজ
D
চম্পক
"সরোবর" শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যা বড় পুষ্করিণী, দিঘি বা হ্রদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পদ্ম, শাপলা প্রভৃতি ফুলযুক্ত জলাশয়ের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, "ফুটিয়াছে সরোবরে কমলনিকর"।
-
'সরোবর' শব্দে 'এ' সপ্তমী বিভক্তিযুক্ত হয়ে গঠিত শব্দ 'সরোবরে'।
বিভক্তি বলতে এমন কিছু বর্ণ বা চিহ্ন বোঝানো হয়, যা বাক্যের একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। বাংলা ভাষায় বিভক্তির মোট ৭টি প্রকার রয়েছে:
-
প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি: শূণ্য, অ।
-
দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে, রে।
-
তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক।
-
চতুর্থী বিভক্তি: কে, রে।
-
পঞ্চমী বিভক্তি: হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে।
-
ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর।
-
সপ্তমী বিভক্তি: এ, য়, তে।
এগুলি বাংলা ভাষার ব্যাকরণের মূল বিভক্তি বিধি, যা বাক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) এবং অভিগম্য অভিধান।
0
Updated: 1 week ago
দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক- বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী কোন বিভক্তি?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয়া বিভক্তি
B
প্রথমা বিভক্তি
C
দ্বিতীয়া বিভক্তি
D
শূন্য বিভক্তি
বিভক্তি
বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজ কথায়, এটি নির্দেশ করে কোন শব্দ কোন ক্রিয়ার বা পদের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলা শব্দের ৭ ধরনের বিভক্তি:
-
প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি: ০, অ
-
দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে, রে
-
তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক
-
চতুর্থী বিভক্তি: কে, রে
-
পঞ্চমী বিভক্তি: হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে
-
ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর
-
সপ্তমী বিভক্তি: এ, য়, তে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
কোন প্রকারের দ্বিত্বে বিভক্তি যুক্ত হতে দেখা যায়?
Created: 3 weeks ago
A
অনুকার দ্বিত্ব
B
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
C
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
D
ক ও খ উভয়ই
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বে বিভক্তি যুক্ত হতে পারে, অর্থাৎ এই দ্বিত্বে শব্দের পুনরাবৃত্তির সঙ্গে বিভক্তি সংযোজন দেখা যায়। অন্যদিকে, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও অনুকার দ্বিত্বে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয় না।
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন দ্বিত্ব যেখানে একই শব্দ পুনরায় ব্যবহৃত হয়। এটি বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত—দুই রূপেই হতে পারে।
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব:
ভালো ভালো (কথা)
কত কত (লোক)
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
ঘুম ঘুম (চোখ)
উড়ু উড়ু (মন)
গরম গরম (জিলাপি)
হায় হায় (করা)
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব:
কথায় কথায় (বাড়া)
মজার মজার (কথা)
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
চোখে চোখে (রাখা)
মনে মনে (হাসা)
সুরে সুরে (বলা)
পথে পথে (হাঁটা)
অন্যদিকে, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও অনুকার দ্বিত্বে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয় না, কারণ এগুলো মূলত ধ্বনিগত অনুকরণ বা মিলনভিত্তিক শব্দগঠন।
0
Updated: 3 weeks ago