“নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার“ এক কথায় হবে -
A
নিদাঘ
B
নশ্বর
C
নষ্টমান
D
বনশ্বর
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: খ) নশ্বর
ব্যাখ্যা:
যে বস্তুর বা জীবের মধ্যে স্থায়িত্ব নেই, অর্থাৎ যা একসময় নষ্ট হয়ে যায়, তাকে নশ্বর বলা হয়। এই শব্দটি মূলত সংস্কৃত “নশ্” ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘নাশ হওয়া’ বা ‘নষ্ট হওয়া’। নশ্বর শব্দটি তাই সেই সমস্ত বস্তু, প্রাণী বা জিনিসকে বোঝায়, যা সময়ের সঙ্গে ধ্বংস বা বিলুপ্ত হয়। মানবজীবন, প্রকৃতি কিংবা জগতের সমস্ত দৃশ্যমান উপাদানই নশ্বর — কারণ এগুলো চিরস্থায়ী নয়।
নিচে শব্দটির তাৎপর্য ও প্রয়োগ বিশদে দেওয়া হলো–
-
নশ্বর শব্দের অর্থ হলো ক্ষণস্থায়ী, অস্থায়ী বা ধ্বংসপ্রবণ। অর্থাৎ যার মধ্যে স্থায়িত্ব নেই এবং যা সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।
-
এই শব্দটি সাধারণত মানুষের জীবন ও জাগতিক বস্তু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন— “মানবজীবন নশ্বর”, “এই পৃথিবীর সব কিছুই নশ্বর” ইত্যাদি।
-
নশ্বরতা মানবজীবনের একটি দার্শনিক ধারণাও বটে। এটি আমাদের শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি আনন্দ, দুঃখ, সম্পদ, সৌন্দর্য বা কীর্তি একদিন না একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাই মানুষকে উচিত বর্তমান সময়কে মূল্য দেওয়া এবং নৈতিকভাবে জীবনযাপন করা।
-
বৌদ্ধ দর্শনেও নশ্বরতা বা “অনিত্য” একটি মৌলিক ধারণা। বুদ্ধ বলেছেন, জীবের সমস্ত অস্তিত্ব পরিবর্তনশীল ও নশ্বর। কেউই চিরকাল এক অবস্থায় থাকে না; জন্ম, বৃদ্ধি ও ক্ষয়ের মধ্য দিয়েই সমস্ত সত্তা প্রবাহিত হয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহারেও নশ্বর শব্দটি গভীর তাৎপর্য বহন করে। কবি ও সাহিত্যিকেরা প্রায়ই এই শব্দটি ব্যবহার করেন জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতে। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু রচনায় মানবজীবনের নশ্বরতার ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
-
শব্দার্থগত দিক থেকে, “নষ্টমান” শব্দটি যদিও কাছাকাছি অর্থ বহন করে, তবে এটি এখনো নষ্ট হচ্ছে — অর্থাৎ “নষ্ট হতে থাকা” বোঝায়। অন্যদিকে “নশ্বর” শব্দটি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বা স্বভাবকে বোঝায়, যা প্রশ্নের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।
-
অন্য বিকল্পগুলো, যেমন “নিদাঘ” অর্থ তীব্র গরম বা গ্রীষ্মের উষ্ণতা, আর “বনশ্বর” শব্দটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, কারণ এর অর্থ বনসম্পর্কিত কোনো দেবতা বা রাজা — যা প্রশ্নের ভাবের সঙ্গে অসংগত।
সব মিলিয়ে, “নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার” — এর একক শব্দরূপ নশ্বর-ই সঠিক ও শুদ্ধ উত্তর, কারণ এটি এমন কিছুর প্রকৃতি বা স্বভাব বোঝায় যা চিরস্থায়ী নয়, বরং একসময় বিলুপ্ত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago
'যে নারীর সন্তান বাঁচে না'- এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
অনূঢ়া
B
মৃতবৎসা
C
অবীরা
D
রামা
নারী সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও অবস্থার এক কথায় প্রকাশ জানা গুরুত্বপূর্ণ।
-
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা
-
যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা / সুহাসিনী
-
যে নারীর অসূয়া নেই = অনসূয়া
-
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা
-
যে নারী সুন্দরী = রামা
-
যে নারী সাগরে বিচরন করে = সাগরিকা
-
যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া
-
যে নারী স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা
-
যে নারীকে সূর্যের আলো স্পর্শ করেনি = অসূর্যস্পশ্যা

0
Updated: 1 month ago
‘যা বলা হবে’ এর বাক্য সংকোচন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
উক্ত
B
বাচ্য
C
ভবিতব্য
D
বক্তব্য
যা বলা হবে = বক্তব্য। বলা হয়েছে এমন = উক্ত। ভাগ্য বা নিয়তি ভবিতব্য। অনুমান করা হয়েছে এমন অনুমিত।

0
Updated: 1 month ago
'যা পূর্বে ছিল এখন নেই এমন' এর এক কথায় প্রকাশ -
Created: 2 weeks ago
A
ভূতপূর্ব
B
অশ্রুতপূর্ব
C
অদৃষ্টপূর্ব
D
অদৃষ্টপূর্ব
‘যা পূর্বে ছিল এখন নেই এমন’ এর এক কথায় প্রকাশ হলো ভূতপূর্ব। এটি এমন কোনো ঘটনা বা অবস্থা নির্দেশ করে যা অতীতে ঘটেছিল কিন্তু বর্তমানে নেই।
অন্যদিকে—
-
যে বন হিংস্র জন্তুরে পরিপূর্ণ — শ্বাপদসংকুল
-
যা পূর্বে শোনা যায়নি এমন — অশ্রুতপূর্ব
-
যা পূর্বে দেখা যায়নি এমন — অদৃষ্টপূর্ব

0
Updated: 2 weeks ago