“এ মাটি সোনার বাড়া“ - এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
উপাদানবাচক বিশেষণ
C
রূপবাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
উত্তরের বিবরণ
এই বাক্যে “এ মাটি সোনার বাড়া” কথাটি একটি আবেগমিশ্রিত রূপক প্রয়োগ, যেখানে ‘সোনা’ শব্দটি বাস্তব অর্থে ধাতুবিশেষ নয়, বরং মাটির গুণ, মূল্য ও মর্যাদা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে বক্তা নিজের দেশের মাটির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন, যেন মাটি নিজেই অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। তাই এই ‘সোনা’ শব্দটি বিশেষণের অতিশায়ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এখানে মূল ভাবটি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়—
মাটিকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে তার মূল্যবান ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝানো হয়েছে। বাস্তবে মাটি ধাতু নয়, কিন্তু ভালোবাসা ও গর্ব প্রকাশের জন্য ‘সোনা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
বাংলা ভাষায় বিশেষণের অতিশায়ন তখন ঘটে, যখন কোনো গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে অতিরিক্তভাবে প্রকাশ করে কোনো কিছুর শ্রেষ্ঠত্ব বা মহিমা বোঝানো হয়। এই অতিরঞ্জন বাস্তব নয়, কিন্তু ভাবপ্রকাশে গভীরতা আনে।
“এ মাটি সোনার বাড়া” কথায় বক্তা বোঝাতে চেয়েছেন যে, এই দেশের মাটি এত উর্বর, এত প্রিয় ও সমৃদ্ধ যে তা সোনার মতো মূল্যবান। অর্থাৎ এখানে মাটির গুণকে অতিরঞ্জনের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে।
যদি বাক্যে “রূপবাচক বিশেষণ” ব্যবহৃত হতো, তবে তা কোনো নির্দিষ্ট গুণ বা রূপের দিক নির্দেশ করত, যেমন “নীল আকাশ” বা “সবুজ মাঠ”। কিন্তু ‘সোনার মাটি’ বাস্তব রঙ বা উপাদানের কথা বলে না, বরং মূল্য ও মর্যাদা বোঝায়।
‘উপাদানবাচক বিশেষণ’ ব্যবহৃত হয় তখন, যখন কোনো বস্তুর গঠনের উপাদান বোঝানো হয়, যেমন “লোহার দরজা” বা “সোনার আংটি”। কিন্তু এখানে মাটি বাস্তবেই সোনার তৈরি নয়, তাই তা প্রযোজ্য নয়।
‘বিধেয় বিশেষণ’ ব্যবহৃত হয় কর্তা বা পদ সম্পর্কে মন্তব্য করতে, যেমন “সে ভালো”, “ফুল সুন্দর”—কিন্তু “এ মাটি সোনার বাড়া” তে ‘সোনা’ কর্তার বিধেয় নয়, বরং তার গুণের অতিশায়ন।
সুতরাং, এই বাক্যে ‘সোনা’ শব্দটি মাটির অতুলনীয় মূল্য ও গৌরব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত অতিশয়ণমূলক বিশেষণ। এর মাধ্যমে বক্তা দেশপ্রেম, গর্ব ও আবেগের এক গভীর রূপ তুলে ধরেছেন। এটি সাহিত্যিক অলঙ্কারে এক ধরণের অতিশয়োক্তি বা hyperbole, যা ভাষার আবেগঘন সৌন্দর্য বাড়ায়।
তাই এই উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ শব্দটি বিশেষণের অতিশায়ন হিসেবে ব্যবহৃত, যা মাটির প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 day ago
'ভালো' শব্দটি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়েছে নিচের কোন বাক্যে?
Created: 3 weeks ago
A
আপন ভালো সবাই চায়।
B
তিনি সবসময় অন্যের ভালোর জন্য কাজ করেন।
C
ভালো বাড়ি পাওয়া কঠিন।
D
ভালো আর মন্দের মধ্যে পার্থক্য বোঝা দরকার।
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ একই সময়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে "ভালো", "মন্দ", "পুণ্য", "নিশীথ", "শীত" ইত্যাদি শব্দ দেখা যায়।
উদাহরণ:
ভালো:
-
বিশেষণ রূপে: ভালো বাড়ি পাওয়া কঠিন। (বাড়ির গুণ বা মান নির্দেশ করছে)
-
বিশেষ্য রূপে: আপন ভালো সবাই চায়। (ভালো এখানে একটি বস্তু বা ধারণা হিসেবে ব্যবহৃত)
মন্দ:
-
বিশেষণ রূপে: মন্দ কথা বলতে নেই।
-
বিশেষ্য রূপে: এখানে কী মন্দটা তুমি দেখলে?
পুণ্য:
-
বিশেষণ রূপে: তোমার এ পুণ্য প্রচেষ্টা সফল হোক।
-
বিশেষ্য রূপে: পুণ্যে মতি হোক।
নিশীথ:
-
বিশেষণ রূপে: নিশীথ রাতে বাজছে বাঁশি।
-
বিশেষ্য রূপে: গভীর নিশীথে প্রকৃতি সুপ্ত।
শীত:
-
বিশেষণ রূপে: শীতকালে কুয়াশা পড়ে।
-
বিশেষ্য রূপে: শীতের সকালে চারদিক কুয়াশায় অন্ধকার।

0
Updated: 3 weeks ago
“এ যে আমাদের চেনা লোক“ - বাক্যে ‘চেনা‘ কোন পদ?
Created: 3 days ago
A
বিশেষ্য
B
অব্যয়
C
ক্রিয়া
D
বিশেষণ
উ. বিশেষণ
‘চেনা’ শব্দটি এখানে বিশেষণ পদ, কারণ এটি ‘লোক’-এর গুণ বা পরিচয় নির্দেশ করছে। এই শব্দটি লোকটির অবস্থা বা পরিচিতির ধারণা প্রকাশ করে।
-
বিশেষণ সেই পদ যা বিশেষ্যের গুণ, অবস্থা, পরিমাণ বা পরিচয় প্রকাশ করে।
-
এখানে ‘লোক’ বিশেষ্য এবং ‘চেনা’ তার গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝাচ্ছে।
-
শব্দটি ক্রিয়ামূলক হলেও এখানে তা গুণবাচক রূপে ব্যবহৃত, যেমন— চেনা মুখ, চেনা রাস্তা ইত্যাদি।
-
তাই প্রসঙ্গে ‘চেনা’ বিশেষণ পদ হিসেবে কাজ করছে।

0
Updated: 3 days ago
কোনটি বিশেষণবাচক শব্দ?
Created: 3 weeks ago
A
দহন
B
জীবনী
C
জীবাণু
D
জীবাশ্ম
জীবনী শব্দটি বাংলা একাডেমির অভিধান অনুযায়ী বিশেষণবাচক শব্দ। এটি অন্য কিছু বস্তুর বা জীবনের বৈশিষ্ট্য বা অবস্থার বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
-
ক) দহন – বিশেষ্য (জ্বালানোর কাজ বা প্রক্রিয়া বোঝায়)।
-
গ) জীবাণু – বিশেষ্য (ক্ষুদ্র জীবকে নির্দেশ করে)।
-
ঘ) জীবাশ্ম – বিশেষ্য (প্রাচীন জীবের দেহাবশেষ বোঝায়)।

0
Updated: 3 weeks ago