বাংলা গীতি কবিতায় ভোরের পাখি কে?
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
প্যারীচাঁদ মিত্র
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
• 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'- বিহারীলাল চক্রবর্তীকে গীতি কাব্য-ধারার 'ভোরের পাখি' উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন।
• 'ভোরের পাখি' বলার কারণ:
- বিহারীলালই প্রথম বাংলায় ব্যক্তির আত্মলীনতা, ব্যক্তিগত অনুভূতি ও গীতোচ্ছ্বাস সহযোগে কবিতা রচনা করেন।
- এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রথম। তাই তাকে 'ভোরের পাখি' বলা হয়েছে।
----------------------------
• বিহারীলাল চক্রবর্তী:
- বিহারীলাল চক্রবর্তী আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার অন্যতম পুরোধা এবং রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুরু হিসেবে পরিচিত।
- বাংলা গীতিকবিতার জনক হিসেবে পরিচিত বিহারীলাল চক্রবর্তী।
- তিনি আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে 'ভোরের পাখি' উপাধিতে আখ্যায়িত করেন।
- বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রথম সার্থক গীতিকবিতা ‘বঙ্গসুন্দরী’।
- তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সারদামঙ্গল।
• বিহারীলাল চক্রবর্তী রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
- স্বপ্নদর্শন,
- সঙ্গীত শতক,
- বঙ্গসুন্দরী,
- নিসর্গ সন্দর্শন,
- বন্ধু বিয়োগ,
- সারদামঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি'র রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
শামসুর রাহমান
B
আলতাফ মাহমুদ
C
হাসান হাফিজুর রহমান
D
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
• 'একুশে ফেব্রুয়ারী' সংকলন:
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার জন্য ঢাকায় যে আত্মদান করা হয় তার স্মরণে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে হাসান হাফিজুর রহমান 'একুশে ফেব্রুয়ারী' নামে একটি সাহিত্য সংকলন সম্পাদনা করেন।
- এর প্রকাশক ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান।
- সম্পাদক ও প্রকাশক উভয়েই বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
- এই সংকলনে কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নক্শা, ইতিহাস শিরোনামে ৬টি বিভাগে মোট ২২ জন লেখক লিখেছেন।
- এই সংকলনেই প্রথম প্রকাশিত হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানটি।
- প্রকাশের তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় 'কালাপাহাড়'-কে স্মরণ করেছেন কেন?
Created: 2 months ago
A
ব্রাহ্মণ্যযুগে নব মুসলিম ছিলেন বলে
B
ইসলামের গুণকীর্তন করেছিলেন বলে
C
প্রাচীন বাংলার বিদ্রোহী ছিলেন বলে
D
প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে
‘মানুষ’ কবিতায় কালাপাহাড় প্রসঙ্গ
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘মানুষ’ কবিতায় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব গজনি মামুদ, চেঙ্গিস খান ও কালাপাহাড়ের নাম উল্লেখ করেছেন। এখানে বিশেষভাবে কালাপাহাড়কে স্মরণ করেছেন ধর্ম ও সংস্কারের অন্ধত্ব ও বিদ্বেষ ভাঙার প্রতীক হিসেবে।
কবির বক্তব্য— মসজিদ বা মন্দিরে মানুষের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা যায় না; স্রষ্টার ঘরে কপাট লাগানো অন্যায়। তাই কবি আহ্বান জানাচ্ছেন, ভক্তির নামে গড়া ভজনালয়ের তালা-দেওয়া দরজা ভেঙে ফেলতে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
ডাক নাম: ‘দুখু মিয়া’।
-
সাহিত্যজগতে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে।
-
বাংলা গানের ভুবনে খ্যাতি পেয়েছেন ‘বুলবুল’ হিসেবে।
নজরুলের কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অগ্নিবীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
প্রলয় শিখা
-
নির্ঝর
-
ভাঙার গান
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্ৰবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
নতুন চাঁদ ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 3 months ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
দোলন চাঁপা
D
বাঁধনহারা
বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী চেতনার এক উজ্জ্বল প্রকাশ হলো কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-র অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় কবিতা, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, ২২ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দে, সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এই একটি মাত্র কবিতার মাধ্যমেই নজরুল বাংলা সাহিত্যে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দ্রোহ, বিপ্লব, সাহস ও চেতনার উন্মেষ। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং একটি শক্তিশালী মানসিকতার প্রতীক, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস জোগায়। নজরুল এর আগে ও পরে বহু দ্রোহাত্মক কবিতা রচনা করলেও, 'বিদ্রোহী' যেন তার আত্মার কণ্ঠস্বর।
এই মহাকাব্যিক কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে। বইটি তিনি উৎসর্গ করেন মহান বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতেই পাওয়া যায় স্বাধীনতা, সাম্য ও বীরত্বের জাগরণ।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
১. প্রলয়োল্লাস (প্রথম কবিতা)
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বরধারিণী মা
৪. আগমনী
৫. ধূমকেতু
৬. কামালপাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মোহররম
এই কবিতাগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম শুধু কবি নন, বরং একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি সাম্রাজ্যবাদ, কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্ররূপে ব্যবহার করেছেন।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
'বিদ্রোহী' কবিতা - বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago