কোন অঙ্গানুটি অটোফ্যাগীতে (Authophogy)-তে জড়িত?
A
লাইসোসোম
B
লাইবোসোম
C
অমসৃণ এডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
D
গলগি বডি
উত্তরের বিবরণ
লাইসোসোম (Lysosome) হলো কোষের এক ধরনের পরিপাক অঙ্গাণু, যা বিভিন্ন হাইড্রোলাইটিক এনজাইম ধারণ করে এবং কোষের অভ্যন্তরে ভাঙন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তীব্র খাদ্যাভাব বা কোষীয় চাপের সময় এই অঙ্গাণুটি স্বগ্রাস (Autophagy) ও স্ববিনাশ (Autolysis) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
-
অটোফ্যাগি (Autophagy):
লাইসোসোম ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো বা অপ্রয়োজনীয় অঙ্গানুগুলোকে আবদ্ধ করে ভেঙে ফেলে, অর্থাৎ “নিজ কোষের অংশকে খেয়ে ফেলে”।
এটি এক ধরনের self-cleaning প্রক্রিয়া, যা কোষের টিকে থাকা ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে। -
অটোলাইসিস (Autolysis):
যখন লাইসোসোমের ঝিল্লি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়, তখন এর এনজাইমগুলো কোষের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো কোষটিকেই ভেঙে গলিয়ে ফেলে।
এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোলাইসিস বা self-digestion, অর্থাৎ কোষের স্ব-বিনাশ। -
তীব্র খাদ্যাভাবের সময়, লাইসোসোমের প্রাচীর ফেটে গিয়ে এনজাইম নিঃসৃত হয়, যা অঙ্গানুগুলোর ধ্বংস ঘটায় (Autophagy), এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থায় পুরো কোষ ধ্বংস হয়ে যায় (Autolysis)।
-
ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান (জীববিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র) অনুযায়ী, “তীব্র খাদ্যাভাবের সময় লাইসোসোমের প্রাচীর ফেটে যায় এবং এনজাইম বের হয়ে কোষের অন্যান্য অঙ্গাণুগুলো বিনষ্ট করে দেয়—এটি স্বগ্রাস বা অটোফ্যাগী। এভাবে পুরো কোষটিও পরিপাক হয়ে যেতে পারে—এটি অটোলাইসিস।”
অতএব, Autophagy ও Autolysis—উভয় প্রক্রিয়ায়ই লাইসোসোমের এনজাইম কোষের অভ্যন্তরীণ পরিপাক ও নিয়ন্ত্রিত ধ্বংসে মূল ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন উদ্ভিদে CAM প্রক্রিয়া দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
গম
B
গিনি ঘাস
C
পাট
D
পাথরকুচি
CAM (Crassulacean Acid Metabolism) হলো এক বিশেষ ধরনের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া, যা মূলত শুষ্ক ও মরুভূমি অঞ্চলের রসালো উদ্ভিদে (succulent plants) দেখা যায়। এই পদ্ধতি উদ্ভিদকে পানির ক্ষয় রোধ করে টিকে থাকতে সাহায্য করে, বিশেষত যেখানে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি এবং আর্দ্রতা কম থাকে।
-
CAM উদ্ভিদে রাতে স্টোমাটা খোলা থাকে, ফলে তারা কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করতে পারে।
-
গ্রহণকৃত CO₂ ম্যালিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে ভ্যাকুয়োলে সংরক্ষিত থাকে।
-
দিনে স্টোমাটা বন্ধ থাকে, যাতে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে পানি ক্ষয় রোধ হয়।
-
দিনের আলোতে সংরক্ষিত ম্যালিক অ্যাসিড ভেঙে CO₂ মুক্ত করে, যা Calvin cycle-এ ব্যবহৃত হয়ে গ্লুকোজ উৎপন্ন করে।
-
এই প্রক্রিয়ার ফলে CAM উদ্ভিদগুলো অল্প পানিতেও কার্যকর সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে।
-
উদাহরণ: Bryophyllum (পাথরকুচি), Opuntia (নাগফণী), Kalanchoe, Aloe vera — এরা সকলেই CAM পথ অনুসরণ করে।

0
Updated: 1 day ago
উদ্ভিদ কোষের অভ্যন্তরে PH রক্ষা করে কোনটি?
Created: 7 hours ago
A
কোষগহ্বর
B
নিউক্লিওপ্লাজম
C
গ্লাইঅক্সিজেম
D
সাইটোপ্লাজম
উদ্ভিদ কোষে কোষগহ্বর (Vacuole) একটি ঝিল্লি-বেষ্টিত তরলপূর্ণ অঙ্গানু, যা কোষের অভ্যন্তরে pH ভারসাম্য ও জলচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি কোষের বিভিন্ন দ্রবণ সংরক্ষণ ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ নির্গমনে সহায়তা করে।
-
গঠন: কোষগহ্বর একটি একক স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি (Tonoplast) দ্বারা আবৃত থাকে। এর ভেতরের তরলকে বলে কোষরস (Cell sap)।
-
কোষরসের উপাদান: এতে থাকে পানি, খনিজ লবণ, জৈব অ্যাসিড, চিনির দ্রবণ, রঞ্জক ও এনজাইম।
-
মূল কাজসমূহ:
-
pH নিয়ন্ত্রণ: কোষরসে থাকা জৈব অ্যাসিড ও আয়ন ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কোষের অভ্যন্তরীণ অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখে।
-
Osmotic balance রক্ষা: কোষে জলচাপ (turgor pressure) নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
অপ্রয়োজনীয় পদার্থ সংরক্ষণ ও নির্গমন করে।
-
রঞ্জক পদার্থ সংরক্ষণ: যেমন anthocyanin, যা কোষের রং নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
-
কোষ বৃদ্ধি সহায়তা: পানি শোষণ করে আয়তন বৃদ্ধি করে কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।
-
ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান এর মতে, “কোষগহ্বর কোষের অভ্যন্তরে জলচাপ ও pH এর ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দ্রবণ সংরক্ষণ করে।”
Vashishta, Sinha & Singh বলেছেন, “The vacuole maintains osmotic and pH balance of the cell through its sap containing organic acids and salts.”
Alberts et al. উল্লেখ করেছেন, “The vacuole helps in maintaining the internal pH of plant cells by regulating ion concentration and proton gradients across the tonoplast.”

0
Updated: 7 hours ago
দু'টি ভিন্ন উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের মিলনস্থানের উদ্ভিদ এবং পাহাড়ের ঢালু এলাকার উদ্ভিদ জরীপ করার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 day ago
A
Transect method (ট্রানসেক্ট পদ্ধতি)
B
Bisect method (সমদ্বিখন্ডক পদ্ধতি)
C
Line intercept (রেখা ইন্টারসেপ্ট পদ্ধতি)
D
Quadrate method (বর্গক্ষেত্র পদ্ধতি)
ট্রানসেক্ট পদ্ধতি (Transect Method) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত জরিপ বা উদ্ভিদ সমাজবিদ্যার (phytosociological) পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রেখা বরাবর বা তার পাশে উদ্ভিদের প্রজাতি ও সংখ্যা রেকর্ড করা হয়। এটি বিশেষত এমন এলাকায় ব্যবহৃত হয় যেখানে পরিবেশের পরিবর্তন ক্রমান্বয়ে ঘটে বা ভিন্ন সম্প্রদায়ের সংযোগস্থল (ecotone) বিদ্যমান।
-
উদ্দেশ্য: ভিন্ন পরিবেশ বা ঢালু ভূমিতে উদ্ভিদের বিন্যাস, বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা।
-
ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্র:
-
দুই ভিন্ন উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের সংযোগস্থল (ecotone) অধ্যয়ন।
-
ঢালু ভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল বা পরিবেশগত গ্রেডিয়েন্ট (environmental gradient) বরাবর উদ্ভিদ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
-
-
পদ্ধতির ধরণ:
১. Line Transect: নির্দিষ্ট দিক বরাবর দড়ি বা মাপার ফিতা টানা হয়; এর বরাবর উদ্ভিদের প্রজাতি নথিভুক্ত করা হয়।
২. Belt Transect: Line transect-এর দুই পাশে নির্দিষ্ট প্রস্থের একটি বেল্ট নির্ধারণ করে, সেই বেল্টের মধ্যে সব উদ্ভিদ গণনা করা হয়। -
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র:
-
Odum (1971) বলেছেন, “Transect method is used to study vegetation along an environmental gradient or ecotone.”
-
Misra (1968) লিখেছেন, “The transect method is suitable for studying vegetation variation across slopes and transition zones.”
-
অর্থাৎ, ট্রানসেক্ট পদ্ধতি ঢালু অঞ্চল বা দুই সম্প্রদায়ের মিলনস্থলে উদ্ভিদের পরিবর্তন নির্ণয়ের জন্য উপযুক্ত।
-
-
সম্পর্কিত অন্যান্য পদ্ধতি:
-
Quadrat Method: সমতল অঞ্চলে উদ্ভিদের ঘনত্ব, সংখ্যা ও বন্টন নির্ণয়ে ব্যবহৃত।
-
Line Intercept Method: নির্দিষ্ট রেখা বরাবর উদ্ভিদের আচ্ছাদন (cover) পরিমাপে ব্যবহৃত।
-
Bisect Method: প্রাণীর চলাচল বা ক্ষেত্র বিভাজনের জন্য ব্যবহৃত, তবে এটি বর্তমানে অপ্রচলিত।
-

0
Updated: 1 day ago