স্নেহ জাতীয় পদার্থের বায়োসিনথেসিস প্রধানত কোথায় হয়?
A
মাইটোকন্ড্রিয়া
B
ক্লোরোপ্লাষ্ট
C
সাইটোপ্লাজম
D
নিউক্লিয়াস
উত্তরের বিবরণ
স্নেহ জাতীয় পদার্থ (লিপিড) বলতে মূলত ট্রাইগ্লিসারাইড, ফসফোলিপিড, স্টেরল ইত্যাদি যৌগকে বোঝায়, যা কোষের গঠন ও শক্তি সঞ্চয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব যৌগের জৈবসংশ্লেষণ (biosynthesis) প্রধানত কোষের সাইটোপ্লাজমে, বিশেষ করে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Smooth Endoplasmic Reticulum – SER)-এ ঘটে।
-
লিপিড সংশ্লেষণের মূল উপাদান হলো Acetyl-CoA, যা থেকে ক্রমান্বয়ে ফ্যাটি অ্যাসিড (fatty acid) তৈরি হয়।
-
এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো পরবর্তীতে ফসফোলিপিড, ট্রাইগ্লিসারাইড ও অন্যান্য জটিল লিপিড-এ রূপান্তরিত হয়।
-
মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (SER) হলো লিপিড সংশ্লেষণ, স্টেরয়েড উৎপাদন ও ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ার প্রধান কেন্দ্র।
-
তাই বলা যায়, স্নেহ জাতীয় পদার্থের সংশ্লেষণ প্রধানত কোষের সাইটোপ্লাজমে, বিশেষত মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামে সম্পন্ন হয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের প্রকৃতিক পরিবেশে পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মায়-
Created: 7 hours ago
A
Cycas revoluta
B
Cycas circinalis
C
Cycas pectinata
D
Cycas Media
Cycas pectinata হলো Gymnosperm শ্রেণীর একটি উদ্ভিদ, যা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে জন্মায়। এটি বাংলাদেশের একমাত্র স্বাভাবিকভাবে জন্মানো Cycad প্রজাতি, যার কাণ্ড খেজুরের মতো ও পাতাগুলো পত্রকবিশিষ্ট (pinnate)।
-
Cycas revoluta, C. circinalis ও C. media প্রজাতিগুলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশে এদের প্রাকৃতিকভাবে জন্ম প্রায় নেই, মাঝে মাঝে উদ্যান বা অলঙ্করণমূলকভাবে রোপণ করা হয়।
অতএব, বাংলাদেশের স্বাভাবিকভাবে জন্মানো একমাত্র Cycas প্রজাতি হলো Cycas pectinata, যা পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষভাবে দেখা যায়।

0
Updated: 7 hours ago
কোনটি সত্য নয়-
Created: 1 day ago
A
প্রোটন এমাইনো এসিডের পলিমার
B
প্রোটিন এমাইনো এসিডের পলিমার
C
প্রোটিনকে ‘বায়োমার্কার' বলা হয়
D
উচ্চতাপে প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি ঘটে
প্রোটিন হলো জীবদেহের একটি মৌলিক জৈব যৌগ, যা অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত পলিমার এবং পেপটাইড বন্ধনে (peptide bond) সংযুক্ত থাকে। এটি জীবদেহের গঠন, বিপাক ও নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
(ক) প্রোটিন সত্যিই অ্যামাইনো অ্যাসিডের পলিমার, যেখানে বহু অ্যামাইনো অ্যাসিড পেপটাইড বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি জটিল ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে।
-
(খ) একই বক্তব্য পুনরাবৃত্ত হওয়ায় এটি নতুন তথ্য প্রদান করে না।
-
(গ) “প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা হয়” — এই বক্তব্য আংশিক সত্য। সব প্রোটিন বায়োমার্কার নয়, তবে কিছু প্রোটিন যেমন Troponin, Albumin রোগ নির্ণয়ে বায়োমার্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
বায়োমার্কার হলো এমন অণু যা জীবদেহের শারীরবৃত্তীয় বা রোগগত অবস্থা নির্দেশ করে। প্রোটিন এর একটি ধরন হতে পারে, কিন্তু সব প্রোটিনই বায়োমার্কার নয়।
-
(ঘ) প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি (denaturation) ঘটে যখন তা উচ্চ তাপ, অস্বাভাবিক pH বা রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে তার স্বাভাবিক ত্রিমাত্রিক গঠন হারায়।
-
তাই বলা যায়, প্রোটিন হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত বৃহৎ অণু, যা নির্দিষ্ট অবস্থায় বিকৃতি (denaturation) প্রাপ্ত হতে পারে, তবে সব প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা সঠিক নয়।

0
Updated: 1 day ago
জাইলেম ও ফ্লোয়েমের বিভক্তির মাধ্যমে মূল-কান্ডের ট্রানজিশন ঘটে কোন উদ্ভিদে?
Created: 7 hours ago
A
Mirabilis
B
Cucurbita
C
Fumaria
D
Phoenix
Cucurbita উদ্ভিদে মূল থেকে কান্ডে পরিবর্তনের সময় একটি বিশেষ গঠনগত প্রক্রিয়া দেখা যায়, যাকে ভাসকুলার ট্রানজিশন (vascular transition) বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় মূলের জাইলেম ও ফ্লোয়েম স্তবক বিভক্ত (splitting) হয়ে ধীরে ধীরে কাণ্ডের স্টিলের (stele) সঙ্গে যুক্ত হয়, ফলে মূল ও কান্ডের পরিবাহী টিস্যুর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
-
প্রক্রিয়ার ধাপ: মূলের ভাসকুলার বান্ডিলগুলো বিভাজিত হয়ে উপরের দিকে উঠতে উঠতে কাণ্ডের ভাসকুলার গঠনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
-
এই বিভাজন বা splitting প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবাহী টিস্যুর নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ (continuity) গঠিত হয়।
-
Esau (1977) লিখেছেন, “In Cucurbita, transition from root to stem occurs by splitting of xylem and phloem strands.”
-
Eames & MacDaniels (1947) উল্লেখ করেছেন, “The vascular transition in Cucurbita is achieved through the division (splitting) of xylem and phloem bundles.”
-
বাংলা ব্যাখ্যা অনুযায়ী: “Cucurbita-তে মূলের জাইলেম ও ফ্লোয়েম বিভক্ত হয়ে কান্ডের স্টিলের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ট্রানজিশন বলা হয়।”

0
Updated: 7 hours ago