ধান গাছের পাতার বাদামী দাগ রোগের প্যাথোজেন কোনটি?
A
Fusarium moniliforme
B
Macrophomina
C
Xanthomonas oryzae
D
Helminthosporium oryzae
উত্তরের বিবরণ
ধানের বাদামী দাগ রোগ (Brown spot disease) একটি গুরুত্বপূর্ণ ছত্রাকজনিত রোগ, যা ধানের পাতায় বাদামী দাগ সৃষ্টি করে ফলন হ্রাস ঘটায়। এটি মূলত Helminthosporium oryzae দ্বারা সংঘটিত হয়, যার বর্তমান বৈজ্ঞানিক নাম Bipolaris oryzae।
-
রোগজীবাণুর ধরন: ছত্রাক (Fungus)
-
শ্রেণি: Deuteromycetes
-
বৈজ্ঞানিক নাম: Helminthosporium oryzae (syn. Bipolaris oryzae)
রোগের লক্ষণ:
-
পাতায় প্রথমে ছোট ছোট বাদামী বা ধূসর দাগ দেখা যায়।
-
দাগগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে চক্রাকার বা ডিম্বাকার আকার নেয়।
-
আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায়, ফলে পাতার সালোকসংশ্লেষণ ব্যাহত হয়।
-
গুরুতর সংক্রমণে ধানের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
সম্পর্কিত অন্যান্য রোগজীবাণু:
-
(ক) Fusarium moniliforme → ধানের বীজ পচন বা foot rot রোগ সৃষ্টি করে।
-
(খ) Macrophomina phaseolina → জুটে stem rot (স্টেম রট) রোগ সৃষ্টি করে।
-
(গ) Xanthomonas oryzae → ধানে ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট (Bacterial leaf blight) রোগের জন্য দায়ী।

0
Updated: 1 day ago
কোন মিথক্রিয়াটি নেতিবাচক?
Created: 7 hours ago
A
Neutralism
B
Ammensalism
C
Commensalism
D
Protocooperation
মিথস্ক্রিয়া (Symbiotic interactions) হলো দুই বা ততোধিক জীবের মধ্যে এমন সম্পর্ক, যেখানে একে অপরের উপস্থিতি উপকার, ক্ষতি বা নিরপেক্ষ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এই সম্পর্ক প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
Neutralism (0,0): উভয় জীবের জন্য কোনো প্রভাব নেই।
উদাহরণ: দুই ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ যারা একে অপরের বৃদ্ধি বা বেঁচে থাকার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। -
Ammensalism (-,0): এক পক্ষের ক্ষতি হয়, অন্য পক্ষের কোনো প্রভাব পড়ে না।
উদাহরণ: Penicillium ছত্রাক পেনিসিলিন উৎপন্ন করে যা ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করে, কিন্তু ছত্রাক নিজে প্রভাবিত হয় না। এটি নেতিবাচক মিথস্ক্রিয়ার উদাহরণ। -
Commensalism (+,0): এক পক্ষ উপকার পায়, অন্য পক্ষ অপ্রভাবিত থাকে।
উদাহরণ: Orchid গাছের ডালে ভর করে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু গাছের কোনো ক্ষতি হয় না। -
Protocooperation (+,+): উভয় পক্ষ উপকার পায়, তবে সম্পর্কটি বাধ্যতামূলক নয়।
উদাহরণ: পোল বীজের উপর মাকড়সা ও পোকা খাওয়া প্রাণীর সম্পর্ক, যেখানে উভয়েই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হয়।

0
Updated: 7 hours ago
এক ব্যক্তির ক্রোমোজোম-২১ এর তিনটি কপি থাকলে তার কি রোগ আছে?
Created: 7 hours ago
A
Klinefelter Syndrome
B
Turner Syndrome
C
Down Syndrome
D
Patau Syndrome
Down Syndrome হলো একটি ক্রোমোসোমজনিত অস্বাভাবিকতা, যেখানে ক্রোমোসোম ২১-এর তিনটি কপি (Trisomy 21) উপস্থিত থাকে। এর ফলে মানসিক বিকাশে বিলম্ব, চ্যাপ্টা মুখমণ্ডল ও শারীরিক বৃদ্ধি হ্রাসসহ নানা জিনগত লক্ষণ দেখা যায়।
-
Klinefelter Syndrome (XXY): এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘটে, যখন একটি অতিরিক্ত X ক্রোমোসোম উপস্থিত থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত বন্ধ্যাত্ব, উচ্চ দেহাকৃতি ও দুর্বল পেশি বিকাশ প্রদর্শন করে।
-
Turner Syndrome (XO): এটি মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘটে, যখন একটি X ক্রোমোসোম অনুপস্থিত থাকে। এতে খাটো উচ্চতা, বন্ধ্যাত্ব ও গোনাডের অপরিপূর্ণতা দেখা যায়।
-
Patau Syndrome (Trisomy 13): এখানে ক্রোমোসোম ১৩-এর একটি অতিরিক্ত কপি থাকে, যার ফলে গুরুতর জন্মগত বিকৃতি, মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও স্বল্প আয়ু দেখা দেয়।
অতএব, এ সকল syndrome-ই ক্রোমোসোমের সংখ্যা বা গঠনে ত্রুটিজনিত জিনগত ব্যাধি, যা মানব বিকাশে বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 7 hours ago
হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদকে কি প্রয়োগের মাধ্যমে ডিপ্লয়েড হোমোজাইগাস উদ্ভিদে পরিণত করা সম্ভব?
Created: 7 hours ago
A
কলচিসিন
B
ইথিলিন
C
অক্সিন
D
কুইনাইন
Haploid উদ্ভিদ হলো এমন উদ্ভিদ যার প্রতিটি কোষে থাকে মাত্র একটি ক্রোমোজোম সেট (n)। এই ধরনের উদ্ভিদকে ডিপ্লয়েড (2n) ও হোমোজাইগাস অবস্থায় রূপান্তর করা যায় কলচিসিন (Colchicine) ব্যবহার করে, যা উদ্ভিদ প্রজনন ও বংশগতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কলচিসিনের কাজ: এটি মাইক্রোটিউবুল গঠনে বাধা দেয়, ফলে মাইটোসিসের বিভাজন সম্পূর্ণ হয় না। এর ফলে ক্রোমোজোম দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং হ্যাপলয়েড উদ্ভিদ ডিপ্লয়েড (2n) ও হোমোজাইগাস হয়ে ওঠে।
-
এই পদ্ধতি উদ্ভিদ প্রজনন, জাত উন্নয়ন ও জেনেটিক বিশুদ্ধতা রক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
-
অপরদিকে, ইথিলিন, অক্সিন ও কুইনাইন হলো উদ্ভিদ বৃদ্ধি ও উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ, কিন্তু হ্যাপলয়েড থেকে ডিপ্লয়েড উদ্ভিদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় না।

0
Updated: 7 hours ago