কোনটি সত্য নয়-
A
প্রোটন এমাইনো এসিডের পলিমার
B
প্রোটিন এমাইনো এসিডের পলিমার
C
প্রোটিনকে ‘বায়োমার্কার' বলা হয়
D
উচ্চতাপে প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি ঘটে
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিন হলো জীবদেহের একটি মৌলিক জৈব যৌগ, যা অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত পলিমার এবং পেপটাইড বন্ধনে (peptide bond) সংযুক্ত থাকে। এটি জীবদেহের গঠন, বিপাক ও নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
(ক) প্রোটিন সত্যিই অ্যামাইনো অ্যাসিডের পলিমার, যেখানে বহু অ্যামাইনো অ্যাসিড পেপটাইড বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি জটিল ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে।
-
(খ) একই বক্তব্য পুনরাবৃত্ত হওয়ায় এটি নতুন তথ্য প্রদান করে না।
-
(গ) “প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা হয়” — এই বক্তব্য আংশিক সত্য। সব প্রোটিন বায়োমার্কার নয়, তবে কিছু প্রোটিন যেমন Troponin, Albumin রোগ নির্ণয়ে বায়োমার্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
বায়োমার্কার হলো এমন অণু যা জীবদেহের শারীরবৃত্তীয় বা রোগগত অবস্থা নির্দেশ করে। প্রোটিন এর একটি ধরন হতে পারে, কিন্তু সব প্রোটিনই বায়োমার্কার নয়।
-
(ঘ) প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি (denaturation) ঘটে যখন তা উচ্চ তাপ, অস্বাভাবিক pH বা রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে তার স্বাভাবিক ত্রিমাত্রিক গঠন হারায়।
-
তাই বলা যায়, প্রোটিন হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত বৃহৎ অণু, যা নির্দিষ্ট অবস্থায় বিকৃতি (denaturation) প্রাপ্ত হতে পারে, তবে সব প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা সঠিক নয়।

0
Updated: 1 day ago
হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদকে কি প্রয়োগের মাধ্যমে ডিপ্লয়েড হোমোজাইগাস উদ্ভিদে পরিণত করা সম্ভব?
Created: 7 hours ago
A
কলচিসিন
B
ইথিলিন
C
অক্সিন
D
কুইনাইন
Haploid উদ্ভিদ হলো এমন উদ্ভিদ যার প্রতিটি কোষে থাকে মাত্র একটি ক্রোমোজোম সেট (n)। এই ধরনের উদ্ভিদকে ডিপ্লয়েড (2n) ও হোমোজাইগাস অবস্থায় রূপান্তর করা যায় কলচিসিন (Colchicine) ব্যবহার করে, যা উদ্ভিদ প্রজনন ও বংশগতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কলচিসিনের কাজ: এটি মাইক্রোটিউবুল গঠনে বাধা দেয়, ফলে মাইটোসিসের বিভাজন সম্পূর্ণ হয় না। এর ফলে ক্রোমোজোম দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং হ্যাপলয়েড উদ্ভিদ ডিপ্লয়েড (2n) ও হোমোজাইগাস হয়ে ওঠে।
-
এই পদ্ধতি উদ্ভিদ প্রজনন, জাত উন্নয়ন ও জেনেটিক বিশুদ্ধতা রক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
-
অপরদিকে, ইথিলিন, অক্সিন ও কুইনাইন হলো উদ্ভিদ বৃদ্ধি ও উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ, কিন্তু হ্যাপলয়েড থেকে ডিপ্লয়েড উদ্ভিদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় না।

0
Updated: 7 hours ago
মূলের ত্বককে কি বলে?
Created: 1 day ago
A
এপিডার্মিস
B
এপিব্লেমা
C
হাইপোডার্মিস
D
কর্টেক্স
এপিব্লেমা (Epiblema) হলো মূলের সবচেয়ে বাইরের একস্তর বিশিষ্ট কোষীয় আবরণ, যা মূলকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং জল ও খনিজ লবণ শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই স্তর থেকেই মূলরোম (Root hair) উৎপন্ন হয়, যা শোষণ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে।
-
এপিব্লেমা মূলের সবচেয়ে বাইরের স্তর, যাকে অনেক সময় রাইজোডার্মিস (rhizodermis) বলা হয়।
-
এটি মূলকে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং একই সঙ্গে জল ও খনিজ লবণ শোষণে সাহায্য করে।
-
এপিব্লেমার কিছু বিশেষ কোষ থেকে সূক্ষ্ম এককোষী রোম গঠিত হয়, যেগুলোকে মূলরোম (Root hair) বলা হয়।
-
এই মূলরোমগুলো মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং জল ও খনিজ শোষণের পরিসর ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
-
মূলরোম স্বল্পস্থায়ী (short-lived), তবে নতুন রোম ক্রমাগত গঠিত হতে থাকে, যা উদ্ভিদের ধারাবাহিক শোষণ কার্যক্রম বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago
একপ্রতিসম ফুলের উদাহরণ হল-
Created: 1 day ago
A
ধুতুরা
B
জবা
C
সরিষা
D
অপরাজিতা
ফুলের প্রতিসাম্য (Symmetry) হলো ফুলকে এক বা একাধিক সমতল বরাবর সমান দুই ভাগে বিভক্ত করার সক্ষমতা। প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে ফুলকে সাধারণত দুই প্রকারে ভাগ করা হয়—বহুপ্রতিসম (Actinomorphic) ও একপ্রতিসম (Zygomorphic)।
-
(১) বহুপ্রতিসম ফুল (Actinomorphic):
ফুলের কেন্দ্র দিয়ে যেকোনো ব্যাস বরাবর টানলে ফুলটি সমান দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়।
উদাহরণ: ধুতুরা, জবা, সরিষা ইত্যাদি। -
(২) একপ্রতিসম ফুল (Zygomorphic):
ফুলটি কেবল একটি নির্দিষ্ট সমতল বরাবর সমান দুই ভাগে বিভক্ত করা সম্ভব।
উদাহরণ: অপরাজিতা (Clitoria), মটর (Pisum sativum), Cassia, Bean ইত্যাদি। -
অপরাজিতা ফুলে উপরের ও নিচের পাপড়ির গঠন অসমান, তাই এটি একপ্রতিসম (zygomorphic)।
-
B.P. Pandey উল্লেখ করেছেন, “Clitoria and Pisum are examples of zygomorphic (bilaterally symmetrical) flowers.”
-
N.C.E.R.T. Biology (Class XI) অনুসারে, “Zygomorphic flowers like Clitoria and Cassia can be divided into two equal halves only in one plane.”
-
সংক্ষেপে বলা যায়, যে ফুলকে কেবল একটি সমতল দ্বারা সমান দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়, তাকে একপ্রতিসম ফুল বলে; যেমন—অপরাজিতা ও মটর।

0
Updated: 1 day ago