'শঙ্খনীল কারাগার' উপন্যাসটি কার লেখা?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
হুমায়ুন আজাদ
C
আলাউদ্দীন আল-আজাদ
D
হুমায়ূন আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
‘শঙ্খনীল কারাগার’ হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস, যেখানে মানুষের মনের গভীর একাকিত্ব, প্রেম, বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক টানাপোড়েনকে সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। উপন্যাসটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়; এটি সমাজ, সম্পর্ক ও মানসিক সংকটের প্রতীকী বিশ্লেষণও বটে। লেখক অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাষা ও সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনার মাধ্যমে পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছেন।
উপন্যাসটির কাহিনির মূল কেন্দ্রে রয়েছে এক দম্পতির জটিল সম্পর্ক, যেখানে ভালোবাসা থাকলেও যোগাযোগের অভাব ও মানসিক দূরত্ব তাদের মধ্যে এক অদৃশ্য কারাগার তৈরি করে। এই কারাগারই লেখক রূপকভাবে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ নামে প্রকাশ করেছেন।
প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো—
-
মানব মনের নিঃসঙ্গতা ও ক্লান্তি: উপন্যাসে দেখা যায়, মানুষ কত সহজে নিজের চারপাশে এক অদৃশ্য দেয়াল গড়ে তোলে, যেখানে সে নিজেই বন্দি হয়ে যায়।
-
সম্পর্কের ভাঙন ও ভুল বোঝাবুঝি: চরিত্রগুলোর মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও পরস্পরকে বুঝতে না পারার ফলে তারা মানসিকভাবে ক্রমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
-
নারীর অবস্থান ও আত্মপরিচয়ের সন্ধান: নারী চরিত্রের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ নারীর মানসিক দোলাচল, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং সমাজের প্রতি তার নীরব প্রতিবাদকে তুলে ধরেছেন।
-
রূপক শিরোনামের তাৎপর্য: ‘শঙ্খনীল’ মানে মায়াময়, নরম অথচ বিষণ্ণ রঙ—যা জীবনের সৌন্দর্য ও দুঃখের সংমিশ্রণ বোঝায়; আর ‘কারাগার’ প্রতীক মানসিক বন্দিত্বের।
-
ভাষা ও বর্ণনাশৈলী: হুমায়ূন আহমেদের ভাষা সহজ, সাবলীল ও হৃদয়গ্রাহী। তাঁর লেখায় দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ মানুষগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা পাঠককে গল্পের ভেতরে টেনে নেয়।
-
সমসাময়িক বাস্তবতা ও সামাজিক প্রতিফলন: উপন্যাসে যে মানসিক সংকট ও দূরত্ব দেখা যায়, তা আধুনিক সমাজেও প্রযোজ্য—যেখানে প্রযুক্তি ও ব্যস্ততা সম্পর্কের উষ্ণতা কেড়ে নিচ্ছে।
এই উপন্যাস হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যিক জীবনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, কারণ এটি তাঁর মনস্তাত্ত্বিক লেখনির এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন। এখানে লেখক মানুষের অন্তর্জগতের আবেগ, ভয়, ভালোবাসা ও হতাশাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
অতএব, সঠিক উত্তর ঘ) হুমায়ূন আহমেদ, কারণ ‘শঙ্খনীল কারাগার’ তাঁরই রচনা, যা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 1 day ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 month ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
”শশী ও কুসুম” কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
আলালের ঘরের দুলাল
B
আনন্দমঠ
C
দেবী চৌধুরাণী
D
পুতুলনাচের ইতিকথা
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: "সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।" তাঁর উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ তে সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
-
উপন্যাসের শুরু হয় বজ্রাঘাতে নিহত হারু ঘোষের বর্ণনা দিয়ে।
-
নায়ক শশী ডাক্তার বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও, তার মধ্যে মড়াস্পর্শ অনুচিতসহ নানা কুসংস্কার কার্যকর থাকে।
-
উপন্যাসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের টানাপোড়েন ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় পুতুল বলতে বোঝানো হয়েছে সেই মানুষগুলোকে, যারা চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারে না; পুতুলের মতো সামান্য ধাক্কাতেই অন্যের ইশারায় পরিচালিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হারু ঘোষ, শশী, কুসুম প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পদ্মানদীর মাঝি
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
চিহ্ন
-
চতুষ্কোণ
-
সার্বজনীন
-
আরোগ্য ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
'প্রগতি' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 2 weeks ago
A
অজিতকুমার দত্ত
B
প্রেমেন্দ্র মিত্র
C
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
D
মোজাম্মেল হক
'প্রগতি' পত্রিকা ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় প্রকাশিত একটি মাসিক পত্রিকা, যা বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূচনা ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে দেখা যায় যে ঢাকা সময়োপযোগী সাহিত্যিক প্রবাহের সঙ্গে পিছিয়ে ছিল না। এই পত্রিকাটি কল্লোল এবং কালিকলম-এর সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনার মধ্যে গণ্য করা হয়।
-
প্রগতি পত্রিকার প্রকাশ: ১৯২৭ সালে ঢাকা থেকে মাসিকভাবে প্রকাশিত।
-
সম্পাদকবৃন্দ: বুদ্ধদেব বসু এবং অজিতকুমার দত্ত।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রচার ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
-
অন্য সমসাময়িক পত্রিকা ও ব্যক্তিত্ব:
-
মোজাম্মেল হক: মোসলেম ভারত পত্রিকার সম্পাদক।
-
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত: কল্লোল পত্রিকার নিয়মিত লেখক।
-
প্রেমেন্দ্র মিত্র: কালিকলম পত্রিকার সম্পাদক।
-

0
Updated: 2 weeks ago