'লালসালু' উপন্যাস কার লেখা?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
জসীমউদ্দীন
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এমন এক সাহিত্যিক, যিনি বাস্তব জীবনের ধর্মীয় ভণ্ডামি, সমাজব্যবস্থা ও মানবমনকে গভীরভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘লালসালু’ বাংলা সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি, যেখানে গ্রামীণ সমাজের ধর্মীয় প্রতারণা ও সহজ-সরল মানুষের অন্ধ বিশ্বাসকে বাস্তবতার আলোয় প্রকাশ করা হয়েছে।
উপন্যাসটি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
-
প্রকাশকাল ও পটভূমি: ‘লালসালু’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। গল্পের প্রেক্ষাপট একটি গ্রামের ধর্মীয় আবহে গড়ে উঠেছে, যেখানে এক মিথ্যা পীর “মজিদ” একটি অচেনা কবরকে “মাজার” বলে দাবি করে সেখানে লাল কাপড় (লালসালু) বিছিয়ে মানুষকে প্রতারণা করে।
-
মূল চরিত্র ও প্রতীক: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ, যিনি ধর্মকে ব্যবহার করেন নিজের স্বার্থে। এখানে লালসালু প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় ভণ্ডামির। লালের আবরণে ঢাকা সেই মাজার আসলে প্রতারণার প্রতীক, যা সমাজের সহজ-সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখে।
-
বিষয়বস্তু ও বার্তা: উপন্যাসে ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষকে শোষণ, ভয় ও বিভ্রান্ত করার প্রবণতাকে লেখক গভীরভাবে সমালোচনা করেছেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দেখিয়েছেন, কীভাবে ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য ধর্মকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়। এইভাবে তিনি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতাকে উন্মোচন করেছেন।
-
ভাষা ও শৈলী: লেখকের ভাষা সংক্ষিপ্ত, কাব্যিক ও গভীর অর্থবহ। তিনি লোকজ ভাষার ছোঁয়ায় গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর লেখার মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং প্রতীকের ব্যবহার ‘লালসালু’-কে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: ‘লালসালু’ কেবল একটি উপন্যাস নয়, এটি বাংলা সাহিত্যে মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা ও প্রতীকের সার্থক ব্যবহার প্রতিষ্ঠা করেছে। পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, নাটক ও অন্যান্য মাধ্যমে রূপায়িত হয়ে সমাজের নানা স্তরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়।
অতএব, ‘লালসালু’ উপন্যাসের লেখক হলেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, যিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় ভণ্ডামি ও সমাজবাস্তবতার এক গভীর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন।

0
Updated: 1 day ago
পিস্টনের আয়তন যত বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি ততো বাড়ে। উক্তিটি _____?
Created: 1 month ago
A
সম্পর্কহীন
B
সত্য
C
মিথ্যা
D
কোনটিই নয়
প্রশ্নে বলা হয়েছে: “পিস্টনের আয়তন যত বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি ততো বাড়ে।”
এই উক্তিটি মিথ্যা।
কারণ
-
ইঞ্জিনের শক্তি পিস্টনের আয়তনের উপর নির্ভর করে না।
-
বরং এটি নির্ভর করে পিস্টন ও সিলিন্ডারের সংখ্যার উপর।
∴ তাই উক্তিটি মিথ্যা।

0
Updated: 1 month ago
ক্ষুদ্র জাতিগােষ্ঠী নিয়ে লেখা উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
B
ক্ষুধা ও আশা
C
কর্ণফুলি
D
ধানকন্যা
‘কর্ণফুলী’ উপন্যাস আলাউদ্দিন আল আজাদের অন্যতম খ্যাতি সম্পন্ন কृति, যা পাহাড় ও সমুদ্র ঘেরা একটি বিশেষ জনপদের জীবনচিত্র ফুটিয়ে তোলে। এই উপন্যাসে চাকমা উপজাতির জীবন ও সংস্কৃতি, তাঁদের সংগ্রাম এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা দিক উপস্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি উপন্যাসে চাকমা ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, যা উপজাতীয় সংস্কৃতিকে আরও বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করেছে।
-
সাহিত্যিক: আলাউদ্দিন আল আজাদ
-
উপজাতি ও জীবনচিত্র: চাকমা উপজাতির জীবন সংগ্রাম, কাহিনী কেন্দ্র করে
-
ভাষা: মূলত বাংলা, কিছু অংশে চাকমা ভাষার ব্যবহার
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাঙ্গামিলা (আদিবাসী), দেওয়ানপুত্র (চাকমা প্রেমিক), ইসমাইল (বাঙালি), জলি, রমজান প্রভৃতি
-
উপন্যাসের বিষয়: উপজাতি জীবন, প্রেম, সামাজিক সম্পর্ক, জীবন সংগ্রাম
আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক এবং সাহিত্য-সমালোচক।
-
জন্ম: ৬ মে ১৯৩২, রামনগর, রায়পুর থানা, নরসিংদী জেলা
-
শিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স (১৯৫৩), স্নাতকোত্তর (১৯৫৪)
-
চলচ্চিত্র: তাঁর উপন্যাস ‘তৈশ নম্বর তৈলচিত্র’ অবলম্বনে সুভাষ দত্ত নির্মিত বসুন্ধরা চলচ্চিত্র
উল্লেখযোগ্য গল্পগন্থ:
-
জেগে আছি
-
ধানকন্যা
-
জীবন জমিন
উপন্যাসসমূহ:
-
কর্ণফুলী
-
তৈশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শেষরাত বসন্তের প্রথমদিন
-
ক্ষুধা ও আশা
-
শ্যামল ছায়ার সংবাদ
নাটকসমূহ:
-
ধন্যবাদ
-
নিঃশব্দ যাত্রা
-
নরকে লাল গোলাপ
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
-
লেলিহান পান্ডুলিপি
-
নিখোঁজ সনেটগুচ্ছ
-
সাজঘর
-
শ্রেষ্ঠ কবিতা

0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আরেক ফাল্গুন
B
জীবন ঘষে আগুন
C
নন্দিত নরকে
D
পিঙ্গল আকাশ
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাস
বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন ও ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনের অভিজ্ঞতায় জহির রায়হান ‘আরেক ফাল্গুন ‘ উপন্যাসটি রচনা করেন।
- ‘আরেক ফাল্গুন ‘ উপন্যাসটি ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ হয়ে ১৯৫৫ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন, জনতার সম্মিলন, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, তাদের প্রেম- প্রণয় ইত্যাদি উপন্যাসটির মূল বিষয়।
- 'আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো'- এই উপন্যাসের সংলাপ।
• এই উপন্যাসের চরিত্র গুলো হলো:
- মুমিন,
-আসাদ,
- রসুল,
- সালমা।
জহির রায়হান রচিত উপন্যাস:
- হাজার বছর ধরে,
- বরফ গলা নদী,
- আর কতদিন,
- তৃষ্ণা,
- শেষ বিকেলের মেয়ে,
- কয়েকটি মৃত্যু।
অন্যদিক,
• হাসান আজিজুল হক রচিত 'জীবন ঘষে আগুন' গল্পগ্রন্থটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
• 'নন্দিত নরকে' হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
• পিঙ্গল আকাশ কথা সাহিত্যিক শওকত আলী লিখিত প্রথম উপন্যাস। ১৯৬৩ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago