'শেষের কবিতা' কি জাতীয় রচনা?
A
কাব্যগ্রন্থ
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
গল্প সংকলন
উত্তরের বিবরণ
‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনন্য সৃষ্টিকর্ম, যা তাঁর সাহিত্য জীবনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এটি কাব্যিক ভাষায় রচিত হলেও প্রকৃত অর্থে এটি একটি উপন্যাস, যেখানে প্রেম, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং মানসিক দ্বন্দ্বের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ঘটেছে। উপন্যাসটির মূল আকর্ষণ এর দার্শনিক ভাবনা ও গভীর মানবিক আবেগের মিশ্রণ।
উপন্যাসটি সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো—
-
রচনাপ্রকার: ‘শেষের কবিতা’ একটি উপন্যাস। যদিও এতে কবিত্বময় ভাষা ও ছন্দময় বর্ণনা বিদ্যমান, কিন্তু মূল কাঠামো ও বিষয়বস্তুর কারণে এটি উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত।
-
লেখক: এটি রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করেছেন তাঁর অসামান্য সৃষ্টিশীলতা ও দার্শনিক চিন্তাধারার মাধ্যমে।
-
প্রকাশকাল: উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে, যা রবীন্দ্রনাথের পরিণত বয়সের এক প্রতিফলন।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: লাবণ্য, অমিত ও কেতকীর ত্রিকোণ সম্পর্ক উপন্যাসটির মূল আবর্তন। এই তিনজনের চিন্তা, অনুভূতি ও সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সমাজ, প্রেম এবং ব্যক্তিত্বের সংঘাত ফুটে উঠেছে।
-
প্রেমের দার্শনিকতা: এতে প্রেমকে শুধু রোমান্টিক অনুভূতি হিসেবে নয়, বরং বুদ্ধি ও আত্মসম্মানের সঙ্গে সম্পর্কিত এক জটিল মানসিক অবস্থারূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
ভাষার ব্যবহার: উপন্যাসটি কাব্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত ও দার্শনিক আলোচনায় পরিপূর্ণ। কথোপকথনের মধ্যে কবিত্ব ও রসবোধের মিশ্রণ একে অন্যরকম সৌন্দর্য দিয়েছে।
-
প্রেক্ষাপট: গল্পের বেশিরভাগ অংশ ঘটেছে শিলঙে, যা প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে চরিত্রদের মনোজগতের মিল খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।
-
মূল ভাবধারা: মানবজীবনের দ্বন্দ্ব, প্রেমে আত্মসম্মান ও স্বাধীনতার গুরুত্ব, এবং সমাজের প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা—এসবই উপন্যাসটির মূলে নিহিত।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: ‘শেষের কবিতা’ বাংলা উপন্যাসের ধারায় নতুনত্ব এনে দিয়েছে। এখানে সংলাপ ও মনস্তত্ত্বের যে সূক্ষ্ম প্রয়োগ দেখা যায়, তা পরবর্তীকালে বাংলা কথাসাহিত্যের রূপ পরিবর্তনে সহায়ক হয়েছে।
সব মিলিয়ে, ‘শেষের কবিতা’ একটি উপন্যাস, যেখানে কাব্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক গভীরতার সমন্বয়ে রবীন্দ্রনাথ এক অনন্য সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেছেন। এটি শুধু প্রেমকাহিনি নয়, বরং চিন্তা, আত্মোপলব্ধি ও মানবসম্পর্কের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।

0
Updated: 1 day ago
'য়া রো পো বা' এলোমেলো বর্ণগুলো দ্বারা গঠিত বাগ্ধারাটির কী অর্থ প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
সৌভাগ্য
B
অহংকার
C
অপচয়
D
অকৃতজ্ঞ
এই বাক্যে দেওয়া এলোমেলো বর্ণগুলো—'য়া রো পো বা'—সাজালে পোয়াবারো শব্দটি পাওয়া যায়।
-
পোয়াবারো (বিশেষ্য)
-
সৌভাগ্য।
-
পাশা খেলার সুবিধাজনক দানবিশেষ।
-
সূত্র:

0
Updated: 1 month ago
'বহিপীর' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি-
Created: 3 weeks ago
A
রূপক নাটক
B
ঐতিহাসিক নাটক
C
সামাজিক নাটক
D
মনস্তাত্ত্বিক নাটক
‘বহিপীর’ নাটকটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি সামাজিক নাটক এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এটি ১৯৫৫ সালে রচিত এবং ১৯৬৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। নাটকটি বহিপীরের সর্বগ্রাসী স্বার্থ এবং নতুন দিনের প্রতীক হিসেবে এক বালিকার বিদ্রোহের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
-
নাটকের নামকরণ মূল চরিত্র বহিপীর এর নামে, যিনি ধর্মকে ভণ্ডভাবে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহার করেন।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
বহিপীর
-
তাহেরা
-
হাতেম
-
আমেনা
-
হাশেম
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'রতন' কোন ছোটগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
ক্ষুধিত পাষাণ
B
ডাকঘর
C
পোস্টমাস্টার
D
সমাপ্তি
‘পোস্টমাস্টার’ ছোটগল্প
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রারম্ভিক ছোটগল্পগুলোর একটি।
-
গল্পে একটি স্বজনহারা নিঃসহায় গ্রাম্য বালিকা এর স্নেহালোলুপ হৃদয় ও আসন্ন স্নেহবিচ্যুতির আশঙ্কা গল্পের শেষাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এই আবেগ পাঠকের হৃদয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুরণিত হয়।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: রতন।
অন্য ছোটগল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ
-
সমাপ্তি → মৃন্ময়ী
-
শাস্তি → চন্দরা
-
ক্ষুধিত পাষাণ → মেহের আলি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago