A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
সুকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫) গ্রন্থের রচয়িতা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ । তাঁর ভাষা বিষয়ক অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হলো - 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান '(১৯৬৫), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড - ১৯৫৩, ২য় খণ্ড - ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮) ।

0
Updated: 1 day ago
'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'- এর রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
B
চণ্ডীদাস
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
ভারতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী” কাব্যের সারসংক্ষেপ:
- ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈষ্ণব পদাবলির ধারার এবং ব্রজবুলি ভাষায় লিখিত একটি কাব্য।
- ১২৯১ সনে আষাঢ়ের মাঝামাঝি এ কাব্যটির প্রকাশকালে কবির নাম হিসেবে আখ্যাপত্রে লিখিত হয় ভানুসিংহ ঠাকুর। আর গ্রন্থটির প্রকাশক হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- প্রকাশকের বিজ্ঞাপনে বলা হয়: ভানুসিংহের পদাবলী শৈশব সঙ্গীতের আনুষঙ্গিক স্বরূপে প্রকাশিত হইল। ইহার অধিকাংশই পুরাতন কালের খাতা হইতে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছি।
- ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' গ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ রয়েছে।
- উল্লেখযোগ্য কবিতা- মরণ, প্রশ্ন।
- ‘মরণ’ কবিতার বিখ্যাত পঙ্ক্তি: "মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান।"
উৎস: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী কাব্যগ্রন্থ।

0
Updated: 1 week ago
'লালসালু' উপন্যাসটির লেখক কে?
Created: 3 weeks ago
A
মুনির চৌধুরী
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
শওকত আলী
লালসালু
প্রকাশ ও প্রেক্ষাপট:
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত ‘লালসালু’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি মাইলফলক, যেখানে গ্রামবাংলার জীবন, প্রকৃতি ও ধর্মীয় শোষণের বাস্তবতা গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কাহিনিসূত্রের মূল সুর:
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ, এক ধূর্ত ধর্মব্যবসায়ী। সে নোয়াখালি থেকে গারো পাহাড়ি অঞ্চলের এক গ্রামে এসে নামহীন একটি কবরকে পিরের মাজার বলে দাবি করে এবং ধর্মের নামে সরল মানুষদের ধোঁকা দিয়ে নিজের আধিপত্য কায়েম করে। মজিদের এই ষড়যন্ত্রে ধর্ম হয়ে ওঠে একটি শক্তিশালী অস্ত্র।
প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
মজিদ — ধর্মব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় চরিত্র
-
জমিলা — মজিদের দ্বিতীয়, প্রতিবাদী তরুণী স্ত্রী
-
খালেক ব্যাপারি — প্রভাবশালী গ্রামবাসী
-
রহিমা — মজিদের প্রথম স্ত্রী
-
আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা — অন্যান্য গ্রামীণ চরিত্র, যারা উপন্যাসে সমাজচিত্রকে ঘনীভূত করে
দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতেই অপমানিত মজিদ:
যদিও মজিদ ক্ষমতা, অর্থ ও নারীত্ব সব কিছু নিজের করায়ত্ত করতে চায়, কিন্তু জমিলা তাকে লাঞ্ছিত করে তার কর্তৃত্বের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়। জমিলাকে লেখক এক বিদ্রোহিণী নারীর প্রতীকে রূপ দিয়েছেন।
উপন্যাসের মূল্যায়ন:
'লালসালু' কেবল ধর্ম নিয়ে নয়, এটি সময়, সমাজ, ক্ষমতা ও প্রতারণার সীমানা পেরিয়ে এক কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকীর্তি। লেখকের ভাষায়,
"খোদার এলেমে বুক ভরে না, তলায় পেট শূন্য বলে।" — এই একটি পঙক্তিতেই মজিদের মতো ধর্মব্যবসায়ীদের ভণ্ডামি ফুটে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক অনুবাদ ও স্বীকৃতি:
-
ইংরেজিতে: Tree Without Roots (১৯৬৭)
-
ফরাসিতে: L’Arbre Sans Racines (১৯৬১), অনুবাদক: লেখকের স্ত্রী Anne Marie
✍️ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্: সমাজ-সচেতন কথাশিল্পী
-
জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২, ষোলশহর, চট্টগ্রাম
-
ছাত্রজীবনে সম্পাদনা করতেন হাতে লেখা পত্রিকা ভোরের আলো (ফেনি স্কুলে)
-
প্রথম গল্প: হঠাৎ আলোর ঝলকানি, প্রকাশিত হয় ঢাকা কলেজ ম্যাগাজিনে
-
পেশাগতভাবে কাজ করেছেন ‘দ্য স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় (১৯৪৫-১৯৪৭)
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
লালসালু (১৯৪৮)
-
চাঁদের অমাবস্যা
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
The Ugly Asian (ইংরেজি)
গল্পগ্রন্থ:
-
নয়নচারা
-
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
নাটক:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
উজান মৃত্যু
এইভাবে ‘লালসালু’ কেবল এক উপন্যাস নয়, বরং ধর্মীয় ভণ্ডামি ও ক্ষমতার লোভে সমাজে কীভাবে সাধারণ মানুষ নিপীড়িত হয়, তার এক শক্তিশালী সাহিত্যিক দলিল। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর এই সৃষ্টি বাংলা কথাসাহিত্যের এক অসাধারণ অর্জন।

0
Updated: 3 weeks ago
'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কার রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
চতুর্দশপদী কবিতাবলী: বাংলা সনেটের প্রথম সংকলন
বাংলা সাহিত্যে সনেটচর্চার সূচনা যাঁর হাতে, তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁর অমর কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১০২টি সনেট সংকলিত হয়েছে।
-
এটি ১৮৬৬ সালের ১লা আগস্ট গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগুলোর বেশিরভাগই তিনি বিদেশে অবস্থানকালে রচনা করেন।
-
রচনাশৈলীতে তিনি শেক্সপিয়রীয় সনেটরীতি অনুসরণ করলেও কিছু কিছু কবিতায় পেত্রার্কীয় আদর্শের ছায়া দেখা যায়।
-
এই কবিতাগুলি চতুর্দশ পংক্তি বিশিষ্ট, এবং এতে মিত্রাক্ষর ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ উভয়ই ব্যবহৃত হয়েছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত: আধুনিকতার পথিকৃৎ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, সাগরদাঁড়ি, যশোর) বাংলা সাহিত্যের একজন বিপ্লবী কবি ও নাট্যকার।
-
বাংলা সাহিত্যে সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের কৃতিত্ব তাঁর।
-
প্রথমবারের মতো অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-র দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে।
-
‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
তাঁর প্রথম রচিত কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘The Captive Lady’, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
তথ্যসূত্র:
<< বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
<< বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago