কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়?
A
ধূসর পান্ডুলিপি
B
ঝরা পালক
C
মহা পৃথিবী
D
বেলা শেষের গান
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান কবি, যিনি প্রকৃতি, একাকীত্ব, সময় ও অস্তিত্বের গভীর বোধকে তাঁর কবিতায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোতে মানবজীবনের অন্তর্গত নিঃসঙ্গতা, মাটির গন্ধ, এবং প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ফুটে ওঠে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘বেলা শেষের গান’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থ।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো—
-
ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এখানে সময়, মৃত্যু, প্রকৃতি ও একাকীত্বের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা কবিতায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এই গ্রন্থ।
-
ঝরা পালক (১৯২৭): এটি তাঁর প্রথম দিকের রচনা। এই গ্রন্থে রোমান্টিকতার ছোঁয়া থাকলেও তাতে পরবর্তী জীবনানন্দীয় চিন্তার বীজ পাওয়া যায়।
-
মহা পৃথিবী (১৯৪৪): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মানবসভ্যতার সংকটের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গ্রন্থে কবি এক গভীর দার্শনিক বোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মানবজীবনের ক্ষয় ও পুনর্জন্মের ভাবনাও এতে বিদ্যমান।
অন্যদিকে, ‘বেলা শেষের গান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সংগীত-সংকলন, যেখানে জীবনের শেষ প্রহরের ভাব, ঈশ্বরপ্রেম, ও মানবিক শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। এই কারণে এটি জীবনানন্দ দাশের কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়—
-
‘ধূসর পান্ডুলিপি’, ‘ঝরা পালক’ ও ‘মহা পৃথিবী’— জীবনানন্দ দাশের মৌলিক ও বহুল পরিচিত কাব্যগ্রন্থ।
-
‘বেলা শেষের গান’— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি, জীবনানন্দ দাশের নয়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর ঘ) বেলা শেষের গান।

0
Updated: 1 day ago
ধূসরতার কবি বলা হয় কাকে?
Created: 1 week ago
A
বিষ্ণু দে
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সমর সেন
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, সময়, একাকিত্ব ও অস্তিত্বের গভীর অনুভূতি মিশে আছে। বাংলা কাব্যের ঐতিহ্যে তিনি এমন এক কবি, যিনি রোমান্টিক সৌন্দর্য ও বাস্তব জীবনের বেদনাকে একসূত্রে গেঁথে এক নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি করেছেন।
জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে, বরিশালে।
-
তাঁকে বলা হয় “ধূসরতার কবি”, কারণ তাঁর কবিতায় জীবনের নিঃসঙ্গতা ও ম্লান বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে বলেছেন “চিত্ররূপময় কবিতা”।
-
তাঁর প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
-
এ গ্রন্থের ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতাগুলির একটি, যা সময় ও ক্লান্ত মানবমনের শান্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
জীবনানন্দ দাশের প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা

0
Updated: 1 week ago
জীবনানন্দ দাশকে 'নির্জনতম কবি' বলে আখ্যায়িত করেন কে?
Created: 1 month ago
A
বিষ্ণু দে
B
বুদ্ধদেব বসু
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
সৈয়দ শামসুল হক
জীবনানন্দ দাশ
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে বরিশালে।
-
কাব্যধারা ও স্বীকৃতি:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে “চিত্ররূপময়” আখ্যা দিয়েছেন।
-
অন্যান্য পরিচিতি: ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি।
-
বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দকে “নির্জনতম কবি” বলে অভিহিত করেছেন।
-
-
বিখ্যাত রচনা ও প্রবন্ধ
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: “কবিতার কথা”, যেখানে উল্লেখযোগ্য উক্তি: “সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি”।
-
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ:
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন (যার উপর আডগার এলেন পো-এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়)
-
ঝরা পালক
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা
-
মৃত্যুর পর প্রকাশিত: রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা
-
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
"পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন/ মানুষ তব ঋণী পৃথিবীর কাছে" উদ্ধৃতিটি 'বলাকা 'কাব্যের কোন কবিতার অংশ?
Created: 1 week ago
A
সুরঞ্জনা
B
সুদর্শনা
C
সুচেতনা
D
সবিতা
এই চরণদুটি জীবনানন্দ দাশের ‘সুচেতনা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবি পৃথিবীর প্রতি মানুষের চিরন্তন ঋণ ও মানবসভ্যতার সংকটময় অবস্থাকে গভীর দার্শনিক ভাবনায় প্রকাশ করেছেন। মানুষ যতই প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হোক না কেন, পৃথিবীর প্রতি তার নির্ভরতা ও ঋণ অস্বীকার করা যায় না।
-
কবি বলেছেন, পৃথিবী এখন গভীর অসুখে আক্রান্ত, যা মানুষের লোভ, স্বার্থপরতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ফল।
-
মানুষের ক্রমবর্ধমান অসচেতনতা ও অবক্ষয় পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট করেছে, যার পরিণতিতে পৃথিবী আজ ক্লান্ত ও আহত।
-
তবুও কবি মনে করেন, মানুষ পৃথিবীর কাছেই চিরঋণী, কারণ পৃথিবীই তাকে বাঁচার শক্তি, আশ্রয় ও সম্পদ প্রদান করে।
-
এই চরণে একদিকে পৃথিবীর অসুস্থতার প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে মানুষের প্রতি পৃথিবীর উদার দানশীলতার স্বীকৃতি প্রকাশ পেয়েছে।
-
কবি মানুষের কাছে এক নৈতিক আহ্বান জানিয়েছেন— যেন মানুষ তার দায়বদ্ধতা বোঝে এবং পৃথিবীর সুস্থতা রক্ষায় সচেতন হয়।

0
Updated: 1 week ago