রম্বসের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র কোনটি?
A
দৈর্ঘ্য × প্রস্থ
B
½ × কর্ণদ্বয়ের গুণফল
C
বাহু²
D
½ × ভূমি × উচ্চতা
উত্তরের বিবরণ
রম্বস একটি বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজ, যার চারটি বাহু সমান দৈর্ঘ্যের হয়। এটি দেখতে অনেকটা ঘুড়ির মতো, তবে এর কর্ণদ্বয় একে অপরকে সমকোণে ছেদ করে।
রম্বসের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য জানা থাকলে সহজেই সূত্রটি প্রয়োগ করা যায়। নিচে রম্বসের ক্ষেত্রফল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো—
সংজ্ঞা: রম্বস হলো এমন এক চতুর্ভুজ যার চারটি বাহু সমান এবং কর্ণদ্বয় একে অপরকে সমকোণে ছেদ করে।
কর্ণদ্বয়: দুটি কর্ণ হলো — একটি বড় কর্ণ (d₁) ও একটি ছোট কর্ণ (d₂)। এরা একে অপরকে ৯০° কোণে ছেদ করে।
ক্ষেত্রফলের সূত্র:রম্বসের ক্ষেত্রফল = ½ × (প্রথম কর্ণ × দ্বিতীয় কর্ণ) অর্থাৎ, Area = ½ × d₁ × d₂
সূত্রের উৎপত্তি: রম্বসকে দুটি সমান সমকোণী ত্রিভুজে ভাগ করা যায়। প্রতিটি ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল = ½ × (½d₁) × (½d₂) = ¼ × d₁ × d₂।
যেহেতু দুটি ত্রিভুজ আছে, তাই মোট ক্ষেত্রফল = 2 × (¼ × d₁ × d₂) = ½ × d₁ × d₂।
উদাহরণ: যদি কোনো রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১০ সেমি ও ৮ সেমি হয়, তবে ক্ষেত্রফল = ½ × ১০ × ৮ = ৪০ বর্গ সেমি।
বাহু দিয়ে ক্ষেত্রফল (যদি কোণ জানা থাকে):
কখনও কর্ণ জানা না থাকলে, বাহু (a) ও কোণ (θ) দিয়ে সূত্র হয়—
Area = a² × sinθ
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
-
রম্বসের কর্ণদ্বয় একে অপরকে সমকোণে অর্ধেক করে।
-
কর্ণদ্বয় রম্বসের কোণকে সমান দুই ভাগে বিভক্ত করে।
-
চারটি বাহু সমান কিন্তু কোণ সবসময় ৯০° নয়।
বাস্তব প্রয়োগ: রম্বস আকৃতি ব্যবহৃত হয় ঘুড়ি, অলঙ্কার ডিজাইন, কাপড়ের নকশা, ও টাইলসের আকৃতিতে। ক্ষেত্রফল সূত্র ব্যবহার করে এ ধরনের ডিজাইনের মাপ নির্ণয় করা হয়।
সুতরাং, রম্বসের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সঠিক সূত্র হলো — ½ × কর্ণদ্বয়ের গুণফল, যা সবচেয়ে সহজ ও নির্ভুল পদ্ধতি।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র?
Created: 4 months ago
A
(১/২) (ভূমি × উচ্চতা)
B
দৈর্ঘ্য × প্রস্থ
C
২ (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ)
D
ভূমি × উচ্চতা
প্রশ্ন: কোনটি সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র?
সমাধান:
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল = ভূমি × উচ্চতা
- সামান্তরিকের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল।
- সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় পরষ্পর অসমান।
- সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় যদি পরস্পর সমান হয় তবে সামান্তরিকটি আয়তক্ষেত্র হবে।]

0
Updated: 4 months ago
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র কি?
Created: 6 days ago
A
ভুমি × উচ্চতা
B
২ × (ভূমি × উচ্চতা)
C
ভূমি ÷ উচ্চতা
D
½ (ভূমি × উচ্চতা)
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল গণনার অন্যতম মৌলিক সূত্র হলো ½ (ভূমি × উচ্চতা)। এটি জ্যামিতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, যা ব্যবহার করে আমরা যেকোনো ত্রিভুজের আয়তন বা ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে পারি। নিচে বিস্তারিতভাবে এর ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ তুলে ধরা হলো।
ত্রিভুজ হলো তিন বাহুবিশিষ্ট একটি বহুভুজ, যার একটি ভূমি থাকে এবং সেই ভূমির বিপরীত কোণ থেকে একটি লম্ব আঁকা যায়, যাকে উচ্চতা বলে। ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল মূলত নির্দেশ করে, ত্রিভুজটি কতটা স্থান দখল করেছে।
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র:
ক্ষেত্রফল = ½ × ভূমি × উচ্চতা
অর্থাৎ, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হলে ভূমি (base) এবং উচ্চতা (height) — এই দুই মান জানা প্রয়োজন। উচ্চতা বলতে বোঝানো হয়, ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু থেকে ভূমির উপর অঙ্কিত লম্বের দৈর্ঘ্য।
উদাহরণ:
যদি কোনো ত্রিভুজের ভূমি 10 সেমি এবং উচ্চতা 8 সেমি হয়,
তাহলে ক্ষেত্রফল = ½ × 10 × 8 = 40 বর্গসেন্টিমিটার।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ:
-
ভূমি ও উচ্চতার সম্পর্ক:
ভূমি যেটি নেওয়া হবে, উচ্চতাটি অবশ্যই সেই ভূমির উপর লম্ব হতে হবে। ভুল উচ্চতা ব্যবহার করলে ফলাফল সঠিক হবে না। -
সব ধরনের ত্রিভুজে প্রযোজ্য:
সমবাহু, সমদ্বিবাহু ও বিষমবাহু—সব ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে এই সূত্র প্রযোজ্য, তবে উচ্চতার মান প্রতিটি ত্রিভুজে আলাদা হতে পারে। -
সূত্রের উৎপত্তি:
একটি আয়তক্ষেত্রকে যদি কর্ণ বরাবর কেটে দুটি সমান অংশে ভাগ করা হয়, তবে প্রতিটি অংশই একটি ত্রিভুজ হয়। যেহেতু আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = ভূমি × উচ্চতা, তাই ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল হবে তার অর্ধেক অর্থাৎ ½ (ভূমি × উচ্চতা)। -
একক:
ভূমি ও উচ্চতা যদি সেন্টিমিটারে দেওয়া হয়, তবে ক্ষেত্রফল হবে বর্গসেন্টিমিটার (cm²); যদি মিটারে দেওয়া হয়, তবে ক্ষেত্রফল হবে বর্গমিটার (m²)। -
প্রয়োগ:
-
স্থাপত্য ও প্রকৌশলে ত্রিভুজাকার কাঠামোর ক্ষেত্রফল মাপতে
-
জমির ত্রিভুজাকৃত অংশের আয়তন নির্ণয়ে
-
গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যায় ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে এই সূত্র ব্যবহৃত হয়।
-
-
বিশেষ নোট:
ত্রিভুজের অন্যান্য ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতিও আছে, যেমন হেরনের সূত্র বা কোণ ব্যবহার করে সূত্র, তবে মৌলিক ও সহজতম সূত্র হলো ½ (ভূমি × উচ্চতা)।
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র ½ (ভূমি × উচ্চতা) আমাদের জ্যামিতির ভিত্তিগত ধারণা গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বাস্তব জীবনের নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
সঠিকভাবে ভূমি ও উচ্চতা নির্ধারণ করতে পারলে, এই সূত্র দিয়ে যেকোনো ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল সহজেই নির্ণয় করা যায়।

0
Updated: 6 days ago
গোলকের আয়তনের সূত্র-
Created: 17 hours ago
A
V = πR²
B
V = 2πR³
C
V = 4/3 πR³
D
V = 1/3 πR²
গোলক একটি ত্রিমাত্রিক জ্যামিতিক আকৃতি, যার প্রতিটি বিন্দু একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দু থেকে সমদূরত্বে অবস্থান করে। এটি সম্পূর্ণভাবে গোলাকার এবং সমান ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হওয়ায় এর আয়তন নির্ধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সূত্র ব্যবহৃত হয়, যা গণিতের অন্যতম মৌলিক সূত্র হিসেবে পরিচিত।
গোলকের আয়তন নির্ণয়ের জন্য নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন:
-
সংজ্ঞা: একটি বৃত্তকে তার ব্যাসের চারদিকে এক পূর্ণ ঘূর্ণন করালে যে ঘনবস্তু তৈরি হয়, সেটিই গোলক।
-
কেন্দ্র ও ব্যাসার্ধ: গোলকের কেন্দ্রে থেকে পৃষ্ঠের যেকোনো বিন্দুর দূরত্বকে ব্যাসার্ধ (R) বলে। কেন্দ্রকে সাধারণত “O” দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
আয়তনের সূত্র: গোলকের আয়তন নির্ণয়ের সূত্র হলো V = 4/3 πR³। এখানে,
-
V = আয়তন
-
π (পাই) ≈ 3.1416
-
R = ব্যাসার্ধ
-
-
সূত্রের তাৎপর্য: সূত্রে দেখা যায়, আয়তন ব্যাসার্ধের ঘন এর সমানুপাতিক। অর্থাৎ ব্যাসার্ধ যত বাড়ে, আয়তন তত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
-
উৎপত্তি ধারণা: ক্যালকুলাসের মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় যে, একটি অতি ক্ষুদ্র গোলকীয় স্তরের আয়তনকে ইন্টিগ্রেশন করলে মোট গোলকের আয়তন 4/3 πR³ হয়।
-
উদাহরণ:
যদি একটি গোলকের ব্যাসার্ধ ৩ সেমি হয়, তবে
V = 4/3 × π × (3)³
= 4/3 × 3.1416 × 27
= 113.04 ঘন সেমি (প্রায়)। -
প্রয়োগক্ষেত্র: গোলকের আয়তন সূত্রটি পদার্থবিজ্ঞান, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বাস্তব জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়; যেমন বল, গ্রহ, বুদ্বুদ বা পানির ফোঁটা ইত্যাদির আয়তন নির্ণয়ে।
-
বিশেষ দিক: গোলক অন্যান্য ত্রিমাত্রিক বস্তুর তুলনায় সবচেয়ে সুষম আকারবিশিষ্ট, কারণ এর সমস্ত বিন্দু কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী।
সুতরাং, গোলকের আয়তন নির্ণয়ের সঠিক সূত্র হলো V = 4/3 πR³, যা দ্বারা আমরা একটি সম্পূর্ণ গোলাকৃতির বস্তুর অভ্যন্তরীণ স্থান বা ঘনমাত্রা নির্ধারণ করতে পারি।

0
Updated: 17 hours ago