বাংলাদেশে প্রথম চায়ের চাষ হয়?
A
সিলেটের তামাবিলে
B
সিলেটের জাফলংয়ে
C
সিলেটের মালনী ছড়ায়
D
সিলেটের শ্রীমঙ্গলে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে প্রথম চায়ের চাষ হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনী ছড়ায়, যা ব্রিটিশদের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল এবং এখান থেকেই দেশের চা শিল্পের সূচনা হয়, তাই সঠিক উত্তর গ) সিলেটের মালনী ছড়ায়।

0
Updated: 1 day ago
বিখ্যাত ওয়াটারলু যুদ্ধক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
রাশিয়া
B
ব্রাজিল
C
লণ্ডন
D
বেলজিয়াম
ওয়াটারলু যুদ্ধ ১৮১৫ সালে সংঘটিত একটি বিখ্যাত যুদ্ধ, যেখানে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বাহিনী ব্রিটিশ ও প্রুশিয়ান জোট বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। এই যুদ্ধক্ষেত্রটি বেলজিয়ামের একটি ছোট শহর ওয়াটারলুতে অবস্থিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ [তৎকালীন সাম্প্রতিক, বর্তমানে গুরুত্বহীন]

0
Updated: 6 days ago
নিচের কোন উদ্ভিদটিকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয়?
Created: 5 days ago
A
গোলাপ গাছ
B
সূর্যমুখী গাছ
C
তুলা গাছ
D
কচুরিপানা
তুলা গাছকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয় তার অনন্য বৈশিষ্ট্য, উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সূর্যের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে। এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা কৃষি, অর্থনীতি এবং শিল্প—তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক:
তুলা গাছ সূর্যের আলো ও তাপের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এটি উষ্ণ ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক ছাড়া তুলার ফুল ফোটে না এবং আঁশের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকরা একে ভালোবেসে ‘সূর্যকন্যা’ বলে ডাকেন।
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক পরিচয়:
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Gossypium herbaceum। এটি মালভেসি (Malvaceae) পরিবারের অন্তর্গত। এর আঁশ মূলত বীজের চারপাশে জন্মায়, যা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
তুলা পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান নগদ ফসল। এটি থেকে তৈরি সুতা, কাপড়, তেল ও পশুখাদ্য বহু শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প তুলার উপর নির্ভরশীল। তাই তুলা গাছ শুধু কৃষিতেই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখে।
কৃষিগত বৈশিষ্ট্য:
তুলা গাছ সাধারণত ৩-৫ ফুট উঁচু হয়। এটি শুকনো, উষ্ণ, বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। বপনের সময় মে-জুন মাস এবং তুলা তোলা হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এর জন্য নিয়মিত সূর্যালোক ও মাঝারি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।
প্রতীকী অর্থে সূর্যকন্যা:
তুলা গাছের ফুল ও ফল উজ্জ্বল রঙের হয় এবং এর বৃদ্ধি সূর্যের আলোয় সবচেয়ে ভালো হয়। সূর্যের কিরণে ফুল ফোটে, ফল পাকে, আর তুলা সাদা আঁশে ফুটে ওঠে যেন সূর্যের আলোয় জন্ম নেওয়া এক “কন্যা”। এজন্যই একে কাব্যিকভাবে “সূর্যকন্যা” বলা হয়।
পরিবেশগত গুরুত্ব:
তুলা গাছ মাটির উর্বরতা রক্ষা করে এবং কৃষিজ চক্রে ভারসাম্য রাখে। এর পাতা ও বীজপ্রক্রিয়াজাত অবশিষ্টাংশ পশুখাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তুলা গাছ প্রকৃত অর্থেই “সূর্যকন্যা” — কারণ এটি সূর্যের আলোয় বিকশিত হয়, মানুষের প্রয়োজন মেটায় এবং দেশের অর্থনীতিতে অমূল্য অবদান রাখে। এর প্রতিটি আঁশ সূর্যের আলোর মতোই উজ্জ্বল ও জীবনের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 5 days ago
Newton’s First Law of Motion is also known as:
Created: 2 weeks ago
A
Law of Action-Reaction
B
Law of Gravitation
C
Law of Acceleration
D
Law of Inertia
নিউটনের প্রথম গতি সূত্রকে জড়তার সূত্র (Law of Inertia) বলা হয়। এই সূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তুতে বাহ্যিক বল প্রয়োগ না হলে, যদি বস্তু স্থির অবস্থায় থাকে, তা চিরকাল স্থির থাকবে, এবং যদি গতিশীল অবস্থায় থাকে, তা একই বেগ ও একই দিক নিয়ে চলতে থাকবে। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর গতির পরিবর্তন ঘটাতে হলে অবশ্যই বাহ্যিক বল প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, একটি বল মাটিতে গড়াতে থাকলে ঘর্ষণ ও বায়ুরোধ না থাকলে সেটি অনন্তকাল গড়াতে পারত, কিন্তু ঘর্ষণ বলের কারণে তা থেমে যায়। সুতরাং, নিউটনের প্রথম সূত্র আমাদের জড়তা ও বাহ্যিক বলের সম্পর্ক বোঝায়। সঠিক উত্তর: ঘ) Law of Inertia।
নিউটনের গতি বিষয়ক প্রথম সূত্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
সূত্রটি বলে: “বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকবে।”
-
অর্থাৎ বাইরে থেকে বল ক্রিয়া না করলে:
-
স্থির বস্তু স্থির থাকবে, এবং
-
গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে চলবে।
-
-
এই সূত্র বস্তুর জড়তার ধর্ম এবং বলের সংজ্ঞা বোঝায়।
-
স্থির বস্তু সর্বদাই স্থির থাকতে চায় এবং গতিশীল বস্তু সর্বদাই গতিশীল থাকতে চায়; এ প্রবণতাকেই বলা হয় জড়তা।
-
সূত্রটির আরেকটি ব্যাখ্যা: কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ না হলে তার গতির পরিবর্তন বা স্থিতি পরিবর্তন হবে না, অর্থাৎ ত্বরণ শূন্য।
অন্য সূত্রসমূহ:
-
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র হলো বল সূত্র।
-
নিউটনের তৃতীয় সূত্র হলো বল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত সূত্র।

0
Updated: 2 weeks ago