সম্প্রতি সুন্দরবন এলাকায় কোন নদীতে কয়লাবাহী কার্গো ডুবে যায়?
A
তিস্তা
B
ভৈরব
C
শ্যালা
D
মধুমতি
উত্তরের বিবরণ
সম্প্রতি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর হরিণটানা এলাকায় 'সি হর্স-১' নামক একটি কার্গো জাহাজ ১,২৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায়। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল এবং একটি ডুবন্ত জলযানের মাস্তুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি শ্যালা নদীতে নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করে।

0
Updated: 1 day ago
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নাম কি?
Created: 5 months ago
A
মিসিসিপি-মিসৌরী
B
নীলনদ
C
শাত-ইল-আরব
D
আমাজন
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হচ্ছে নীলনদ। এটি পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়ে। এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬,৬৫০ কিলোমিটার।
অনেকেই মনে করেন আমাজন নদী সবচেয়ে বড়, কারণ এটি পানিপ্রবাহ (water volume) ও নদী অববাহিকার (basin area) দিক থেকে সবচেয়ে বিশাল। তবে দৈর্ঘ্যের বিচারে এখনও নীলনদকেই সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হিসেবে ধরা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো:
- আমাজন নদী: খুব বড় এবং পানি বহনের দিক থেকে শীর্ষে, কিন্তু দৈর্ঘ্যে কিছুটা কম।
- মিসিসিপি-মিসৌরী: যুক্তরাষ্ট্রের বড় নদী, তবে নীলনদ বা আমাজনের চেয়ে ছোট।
- শাত-ইল-আরব: এটি ইরাক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের একটি ছোট নদী, দৈর্ঘ্যে মাত্র প্রায় ২০০ কিলোমিটার।
তাই প্রশ্ন অনুযায়ী সঠিক উত্তর: খ. নীলনদ।

0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 5 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 months ago
গারো পাহাড় থেকে নিম্নের কোন নদীর উৎপত্তি?
Created: 2 months ago
A
সোমেশ্বরী
B
আত্রাই
C
নিতাই
D
বাঙালি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নদ নদীর উৎপত্তিস্থল
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশের পাহাড়
গারো পাহাড়
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ পাহাড়।
-
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত।
-
পাদদেশে অবস্থিত জেলা: ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ।
-
মোট আয়তন: প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিমি।
-
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: নকরেক (ভারত অংশে)।
-
উচ্চতা: ৪,৬৫২ ফুট ≈ ১,৪০০ মিটার।
-
প্রধান শহর: তুরা।
-
প্রধান নদী: সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী।
সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী
-
উৎপত্তি: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে।
-
প্রধান ঝর্ণাধারা: বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া; পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদী এর স্রোতধারা যুক্ত।
-
বাংলাদেশের প্রবেশ: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
-
মোড়ল নদীতে মিলন: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাউলাই নদী।
-
প্রাচীন নাম: সিমসাং।
অন্যান্য নদী
-
নিতাই নদী: ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা দিয়ে প্রবাহিত।
-
বাঙালি নদী: উৎপত্তি নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী, পরে গাইবান্ধা ও বগুড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নাম ধারণ।

0
Updated: 2 months ago