আখলাক কাকে বলে?
A
শুধু সচ্চরিত্রকে
B
শুধু দুশ্চরিত্রকে
C
আচরণ বা ব্যবহারকে
D
সচ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্র দুটোই
উত্তরের বিবরণ
আখলাক শব্দটি আরবি উৎস থেকে এসেছে, যার অর্থ নৈতিক গুণাবলি বা চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। এটি মানুষের অন্তর্নিহিত নীতি, আচরণ ও মূল্যবোধকে প্রকাশ করে।
আখলাক দ্বারা বোঝানো হয় একজন মানুষের মানসিক ও নৈতিক দিক—যা ভালো কিংবা মন্দ হতে পারে। তাই, আখলাক শুধু ভালো চরিত্র নয়, বরং সব ধরনের চরিত্রকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
আখলাক শব্দের উৎস: এটি আরবি শব্দ “خُلُق” (খুলুক) থেকে এসেছে, যার অর্থ চরিত্র বা নৈতিকতা।
-
অর্থ: আখলাক মানে হলো মানুষের অভ্যন্তরীণ চরিত্র, নীতি ও আচরণ।
-
প্রকৃতি: আখলাক দুই ধরনের হতে পারে—
১. সচ্চরিত্র (হুসনুল আখলাক): এটি ভালো আচরণ, সততা, দয়া, ন্যায়পরায়ণতা, নম্রতা ইত্যাদি গুণে প্রকাশ পায়।
২. দুশ্চরিত্র (সু’উল আখলাক): এটি খারাপ আচরণ, মিথ্যাচার, অহংকার, হিংসা, রাগ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। -
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ: ইসলাম ধর্মে আখলাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন—“আমি উৎকৃষ্ট চরিত্রের পরিপূর্ণতা সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছি।”
-
সামাজিক প্রভাব: ভালো আখলাক সমাজে শান্তি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করে, আর খারাপ আখলাক সমাজে অস্থিরতা ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।
-
আখলাকের ভূমিকা:
-
মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
নৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
-
পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে।
-
ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের উন্নতিতে অবদান রাখে।
-
-
শিক্ষাগত দিক থেকে: ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় আখলাক একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো গুণ অর্জনের ও মন্দ কাজ পরিহারের শিক্ষা পায়।
সুতরাং, আখলাক বলতে বোঝায় মানুষের নৈতিক চরিত্রের সব দিক—ভালো ও খারাপ উভয়ই। তাই “সচ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্র দুটোই” উত্তরটি যথার্থ।

0
Updated: 1 day ago
'কিতাব আত্ তাসরিফ' গ্রন্থটি কোন বিষয়ে রচিত?
Created: 1 week ago
A
শল্য চিকিৎসা
B
ভূগোল বিদ্যা
C
জ্যোতির্বিদ্যা
D
গনিত বিদ্যা
‘কিতাব আত তাসরিফ’ ইসলামী স্বর্ণযুগের চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিকাশে মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করেছে।
১. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ একটি চিকিৎসা বিষয়ক বিশ্বকোষ, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখা নিয়ে রচিত।
২. গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল কাসিম আল-জাহরাভি (Abul Qasim al-Zahrawi), যিনি একজন খ্যাতনামা শল্যচিকিৎসক ও সার্জন ছিলেন।
৩. এতে শল্যচিকিৎসা, ওষুধ প্রস্তুতকরণ, শরীরবিদ্যা, দাঁতের যত্ন এবং পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
৪. আল-জাহরাভি তাঁর গ্রন্থে বিভিন্ন শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চিত্র সংযোজন করেন, যা সে সময়ে এক অনন্য উদ্ভাবন ছিল।
৫. এই বই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম ব্যবহারিক সার্জিক্যাল নির্দেশিকা হিসেবে স্বীকৃত।
৬. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল, এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি চিকিৎসকদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 1 week ago
জাবির বিন হাইয়ান কিসে বিখ্যাত?
Created: 1 week ago
A
আধুনিক রসায়ন
B
সাহিত্য
C
আধুনিক হস্তশিল্প
D
শিল্পকলা
জাবির বিন হাইয়ান ছিলেন বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে খ্যাত। তাঁর অবদান রসায়নকে জাদুবিদ্যা বা আলকেমির পর্যায় থেকে বের করে এনে একটি পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
-
তিনি স্ফটিকীকরণ, পাতন, পরিস্রাবণ, বাষ্পীভবন প্রভৃতি পরীক্ষাগারিক প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক রূপ দেন।
-
তাঁর গবেষণায় অম্ল (Acid), ক্ষার (Alkali) এবং রাসায়নিক যৌগের সংমিশ্রণ ও বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
জাবির বিন হাইয়ানকে পশ্চিমা জগতে “Father of Chemistry” নামে অভিহিত করা হয়।
-
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যার মধ্যে বহু গ্রন্থ আজও বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য।
-
তাঁর গবেষণা পরবর্তীকালে আবিসেনা (ইবনে সিনা), আল রাজি এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কাজ প্রমাণ করে যে ইসলামি স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চা ছিল যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 1 week ago
পবিত্র কোরআনের কোন্ সূরায় লৌহের কথা উল্লেখ করেন?
Created: 1 week ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা নাস
C
সূরা হাদীদ
D
সূরা ফীল্
সূরা আল-হাদীদ পবিত্র কোরআনের ৫৭ নম্বর সূরা, যেখানে ২৫ নম্বর আয়াতে লোহার (হাদীদ) উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে,
“আর আমি লৌহ (লোহা) নাযিল করেছি, যাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ।”
-
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা লোহার শক্তি, উপযোগিতা ও মানবকল্যাণে ভূমিকার কথা প্রকাশ করেছেন।
-
সূরার নাম ‘আল-হাদীদ’ অর্থাৎ ‘লোহা’, যা এই আয়াত থেকেই গৃহীত।
-
লোহা মানবসভ্যতার অগ্রগতি, যুদ্ধ, নির্মাণ ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আয়াতের ভাষা থেকে বোঝা যায়, লোহা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় প্রেরিত এক বিশেষ অনুগ্রহ।
-
বিজ্ঞানীরাও পরবর্তীতে প্রমাণ করেন যে লোহার মূল উপাদান নক্ষত্রে সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, যা আয়াতের অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 week ago