বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি?
A
ঢাকা
B
রাজশাহী
C
চট্টগ্রাম
D
খুলনা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বর্তমানে ৮টি বিভাগে বিভক্ত। প্রতিটি বিভাগের আয়তন ও জনসংখ্যা আলাদা হলেও আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় বিভাগ হলো চট্টগ্রাম বিভাগ।
এটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো—
-
বিভাগের নাম: চট্টগ্রাম
-
আয়তন: প্রায় ৩৩,৯০৯ বর্গকিলোমিটার
-
জেলার সংখ্যা: ১১টি (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা)
-
অবস্থান: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে, বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকা
-
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: পাহাড়, উপকূল, সমুদ্র সৈকত ও বন্দরসমৃদ্ধ এলাকা
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর এই বিভাগে অবস্থিত, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র
-
শহর: চট্টগ্রাম মহানগরী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও শিল্পনগরী
তুলনামূলক তথ্য:
-
আয়তনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগ, যার আয়তন প্রায় ২০,৫০৯ বর্গকিলোমিটার।
-
আর সবচেয়ে ছোট বিভাগ হলো ময়মনসিংহ, যার আয়তন প্রায় ১০,৬৬৯ বর্গকিলোমিটার।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ এলাকা পাহাড়ি ও উপকূলীয় হওয়ায় এখানে আবহাওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র।
-
পাহাড়ি তিন জেলা — বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি — মিলে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল।
-
এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং দেশের পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সব মিলিয়ে, আয়তনের দিক দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

0
Updated: 1 day ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কোন তারিখ থেকে?
Created: 3 months ago
A
জানুয়ারি ১০, ১৯৭৩
B
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭২
C
নভেম্বর ৪, ১৯৭২
D
অক্টোবর ১১, ১৯৭২
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়। বহু আলোচনা, বিতর্ক ও পর্যালোচনার পর গৃহীত এই সংবিধানকে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসে কার্যকর করা হয়, যা নতুন রাষ্ট্রের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।
সংবিধানের কাঠামো ও উপাদান:
-
এই সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
সংবিধানটি বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে রয়েছে ৭টি তফসিল যা বিভিন্ন আইনি বিবরণ সংযুক্ত করে।
-
প্রস্তাবনা অংশে সংবিধানের মূল চেতনা ও লক্ষ্য নির্দেশ করা হয়েছে।
-
সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ৪টি মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হচ্ছে:
১. জাতীয়তাবাদ
২. সমাজতন্ত্র
৩. গণতন্ত্র
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা
প্রণয়নের ধাপসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত খসড়া প্রণয়ন কমিটি ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে।
-
পরে, ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদের স্পিকার এটি প্রমাণীকরণ করেন, যা ছিল সংবিধান কার্যকর হওয়ার এক ধাপ আগে।
এই সংবিধান শুধু দেশের শাসনব্যবস্থার দিকনির্দেশনাই দেয় না, বরং এটি আমাদের নাগরিক অধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের চরিত্র ও মূল্যবোধের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 3 months ago
[তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন।] বাংলাদেশে কয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
১৪ টি
B
২৪ টি
C
৩৪ টি
D
৫০ টি (ব্যাখ্যা দেখুন)
[এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বর্তমানে ৫৭টি। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকার কর্তৃক অর্থায়িত ও পরিচালিত হয় এবং উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে।
এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯টি, খুলনা বিভাগে ৭টি, রাজশাহী বিভাগে ৬টি, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ৪টি করে এবং বরিশাল বিভাগে ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ।

0
Updated: 2 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনোগ্রামে কতটি তারকা চিহ্ন রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
২ টি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামে লাল রঙের একটি বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র দেখা যায়। এই মনোগ্রামটি তৈরি করেছেন এ এন এ সাহা।
মনোগ্রামের ওপরের দিকে লেখা থাকে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ", নিচে লেখা থাকে "সরকার"। আর বৃত্তের দুই পাশে থাকে চারটি তারকা—প্রতিটি পাশে দুটি করে।
উৎস: বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago