নিচের কোনটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়?
A
জলীয় বাষ্প (H2O)
B
কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)
C
মিথেন (CH4)
D
নাইট্রিক অক্সাইড (NO)
উত্তরের বিবরণ
গ্রীনহাউজ গ্যাস মূলত পৃথিবীর তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য দায়ী, যা জীবনধারার উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে কিছু গ্যাস অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়ায়। এর বিপরীতে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়; এটি মূলত এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী একটি গ্যাস, যা পরিবেশ ও জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর।
-
গ্রীন হাউজ প্রভাব এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু গ্যাস সূর্যের তাপ শোষণ করে এবং পুনরায় বিকিরণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয়।
-
শীতপ্রধান দেশে কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁচের ছাউনিযুক্ত ঘর নির্মাণ করা হয়, যাকে গ্রীন হাউজ বলা হয়। এর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা সাধারণত ৩৮°C থেকে ৩৯°C পর্যন্ত থাকে, যা শাকসবজি বা অন্যান্য সবুজ ফসলের চাষের জন্য উপযুক্ত।
-
গ্রীন হাউজের কাঁচ দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গকে (VIBGYOR) ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ উষ্ণ হয়।
-
উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ থেকে ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি বিকিরিত হয়, কিন্তু এই রশ্মি কাঁচ ভেদ করতে পারে না, ফলে তাপ ঘরের ভেতরে আটকে যায় এবং তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
-
এই প্রক্রিয়ার অনুরূপভাবেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস সূর্যের তাপ আটকে রেখে পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে, যাদের গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়।
নিম্নে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাসসমূহ ও তাদের বায়ুমণ্ডলে আনুমানিক শতাংশ দেওয়া হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) – প্রায় ৪৯%, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রীন হাউজ গ্যাস।
-
মিথেন (CH4) – প্রায় ১৮%, যা পশুপালন, জলাভূমি ও গ্যাস উৎপাদন থেকে নির্গত হয়।
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) – প্রায় ৬%, যা কৃষিজ সার ব্যবহারের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে যায়।
-
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) – প্রায় ১৪%, যা রেফ্রিজারেন্ট ও এরোসল স্প্রে থেকে উৎপন্ন হয়।
-
ওজোন (O3) – প্রায় ৮%, যা বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে।
-
জলীয় বাষ্প (H2O) – স্বাভাবিকভাবে উপস্থিত থেকে তাপমাত্রা ধরে রাখায় বড় ভূমিকা রাখে।
যদিও শেষের গ্যাসগুলোর পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে তুলনামূলকভাবে কম, তবুও এদের ইনফ্রারেড রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা CO2-এর চেয়ে অনেক বেশি, ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধিতে এদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে, নাইট্রিক অক্সাইড (NO) কোনোভাবেই গ্রীন হাউজ গ্যাস নয়। এটি নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহের (NO, NO2) একটি অংশ, যা সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2)-এর সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে বৃষ্টির জলে অম্লীয় যৌগ তৈরি করে। এর ফলে এসিড বৃষ্টি হয়, যা মাটি, জলাশয়, উদ্ভিদ ও স্থাপত্য কাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
অতএব, গ্রীনহাউজ গ্যাস ও নাইট্রিক অক্সাইডের ভূমিকা সম্পূর্ণ ভিন্ন—গ্রীনহাউজ গ্যাস পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, আর নাইট্রিক অক্সাইড পরিবেশের অম্লতা বৃদ্ধি ও দূষণের জন্য দায়ী।

0
Updated: 2 days ago
গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয় কেন?
Created: 2 months ago
A
উষ্ণতা থেকে রক্ষার জন্য
B
অত্যধিক ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য
C
আলো থেকে রক্ষার জন্য
D
ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য
গ্রিন হাউজ
-
শীতের সময় বেশি ঠান্ডা থেকে গাছকে বাঁচাতে কাঁচ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ঘর বানানো হয়।
-
এই কাঁচের ঘরকে বলা হয় গ্রিন হাউজ।
-
এতে সূর্যের আলো ভেতরে ঢুকে ঘরের ভিতরটা গরম রাখে, যা গাছের জন্য উপকারি।
-
তাই ঠান্ডা জায়গায় গাছ বাঁচিয়ে রাখতে গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয়।

0
Updated: 2 months ago
মাথাপিছু গ্রিণ হাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী কোন দেশটি?
Created: 11 hours ago
A
রাশিয়া
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ইরান
D
জার্মানি

0
Updated: 11 hours ago
গ্রিন হাউজ গ্যাসের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আর্গন
B
হাইড্রোজেন
C
মিথেন
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
গ্রিন হাউজ প্রভাব:
- ওজোন স্তরে ক্ষত সৃষ্টি হলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষি ও পরিবেশের ওপর যে বিরুপ প্রভাব ফেলে একেই গ্রিন হাউজ প্রভাব (Green House Effect) বলা হয়।
- গ্রিন হাউস ইফেক্টের ফলে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হচ্চে।
- ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ ক্রমে গলে যাচ্ছে।
- এর ফলে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর নিম্নভূমি ক্রমশ নিমজ্জিত হবে।
- গ্রীন হাউজ ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোকে বলা হয় গ্রীন হাউজ গ্যাস।
- কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রীন হাউজ গ্যাস হচ্ছে:
• জলীয় বাষ্প,
• কার্বন ডাই-অক্সাইড,
• নাইট্রাস অক্সাইড,
• মিথেন,
• ওজোন,
• ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি।
- কার্বন ডাই সালফাইড এবং কার্বনিল সাইফাইড পরোক্ষ গ্রিন হাউজ গ্যাস।
অন্যদিকে,
- আর্গন, হাইড্রোজেন ও সালফার ডাই-অক্সাইড গ্রীন হাউজ গ্যাস নয়।

0
Updated: 1 month ago