বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
A
সংস্কৃত
B
প্রাকৃত
C
অপভ্রংশ
D
পালি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত প্রাকৃত ভাষা থেকে, যা ছিল সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা। সংস্কৃত ছিল শিক্ষিত ও ধর্মীয় মানুষের ভাষা, আর প্রাকৃত ছিল সাধারণ জনগণের। সময়ের বিবর্তনে প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ, আর অপভ্রংশ থেকে আধুনিক বাংলা ভাষা গড়ে ওঠে।
নিচে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো সাজানো হল—
-
প্রাকৃত ভাষার সংজ্ঞা: প্রাকৃত বলতে বোঝানো হয় সেই ভাষাগুলিকে, যা ছিল সংস্কৃতের তুলনায় সহজ ও লোকভাষাভিত্তিক। এই ভাষাগুলোই সাধারণ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল।
-
ভাষা পরিবার: প্রাকৃত ভাষাগুলি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ইন্দো-ইরানীয় শাখার ইন্দো-আর্য উপশাখার অন্তর্গত।
-
প্রাকৃত ভাষার বৈশিষ্ট্য:
-
এগুলো ছিল অসংস্কৃত বা অমার্জিত রূপের ভাষা।
-
সংস্কৃতের তুলনায় উচ্চারণ ও ব্যাকরণে সহজ।
-
ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন পালি ভাষায় বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ রচিত হয়েছিল।
-
-
প্রধান প্রাকৃত ভাষাসমূহ: মাগধী প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত, অর্ধমাগধী প্রাকৃত, মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত প্রভৃতি।
-
বাংলা ভাষার উৎস: বাংলা ভাষার সরাসরি উৎপত্তি মাগধী প্রাকৃত থেকে। মাগধী প্রাকৃত → অপভ্রংশ → প্রাচীন বাংলা → মধ্য বাংলা → আধুনিক বাংলা।
-
অন্যান্য ভাষার উদ্ভব:
-
মাগধী প্রাকৃত → বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, বিহারী।
-
শৌরসেনী প্রাকৃত → পশ্চিমী হিন্দি, পাঞ্জাবি।
-
অর্ধমাগধী প্রাকৃত → পূর্বী হিন্দি।
-
মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত → মারাঠি।
-
-
প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ: সময়ের পরিবর্তনে প্রাকৃত ভাষার উচ্চারণ, শব্দরূপ ও ব্যাকরণে পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তিত রূপকে বলা হয় অপভ্রংশ ভাষা।
-
অপভ্রংশ থেকে বাংলা: প্রায় ১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে অপভ্রংশ ভাষা থেকে বাংলা ভাষার প্রাথমিক রূপ দেখা যায়, যা পরে আরও পরিশোধিত হয়ে আজকের আধুনিক বাংলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
-
ভৌগোলিক ভূমিকা: বাংলা ভাষার উৎপত্তিস্থল ছিল প্রাচীন মাগধ অঞ্চল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অংশবিশেষ এবং ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত।
-
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।বিশ্বের সপ্তম সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা (প্রায় ২৩ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলে)। বাংলা ভাষার সাহিত্যিক ঐতিহ্য প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
বাংলা ভাষা প্রাকৃত, বিশেষত মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। এটি এক দীর্ঘ ভাষাগত বিবর্তনের ফল, যেখানে লোকভাষা থেকে ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভাষা — আধুনিক বাংলা।

0
Updated: 2 days ago
নিম্নে বর্ণিত কোনটি ভাষার গুণ নয়?
Created: 1 month ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
বাক্য
-
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলা হয়।
-
কয়েকটি পদ একত্রিত হলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্য হয় না।
-
বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।
-
এছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহ মিলিতভাবে একটি অখণ্ড ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ভাষার বিচারে বাক্যের তিনটি গুণ:
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা।
২. আসত্তি:
-
মনোভাব প্রকাশের জন্য পদসমূহ এমনভাবে সাজানো যাতে বাক্যের অর্থ ও ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিলবন্ধন।
-
উদাহরণ: "বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়।" — এখানে পদসমূহের অর্থ ও ভাব একত্রে সমন্বিত।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি চলিত ভাষার শব্দ?
Created: 4 weeks ago
A
B
বন্য
C
তুলা
D
এসে
সাধু ও চলিত ভাষায় বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের রূপান্তর:
-
আসিয়া → এসে
-
মস্তক → মাথা
-
জুতা → জুতো
-
তুলা → তুলো
-
শুষ্ক/শুকনা → শুকনো
-
বন্য → বুনো
-
তাঁহারা/উঁহারা → তাঁরা/ওঁরা
-
তাহাকে/উহাকে → তাকে/ওকে
-
তাহার/তাঁহার → তার/তাঁর
-
পাইয়াছিলেন → পেয়েছিলেন
-
হইলেন → হলেন

0
Updated: 3 weeks ago
”ছেলেরা মাঠে খেলছে” বাক্যটিতে ”খেলছে” কোন ধরনের ক্রিয়া?
Created: 4 weeks ago
A
প্রযোজক ক্রিয়া
B
সরল ক্রিয়া
C
নামক্রিয়া
D
সংযোগ ক্রিয়া
সরল ক্রিয়া হলো সেই ধরনের ক্রিয়া যা একটি মাত্র পদ দিয়ে গঠিত হয় এবং কর্তা এককভাবে ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে। এটি বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক অংশ এবং বাক্যের মূল অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
সে লিখছে।
-
ছেলেরা মাঠে খেলছে।
-
উপরের উদাহরণে লিখছে এবং খেলছে হল সরল ক্রিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago