পুরস্কার বানান, নিচের কোন শব্দটির বানান শুদ্ধ?
A
পুরস্কার
B
পূরস্কার
C
পুরষ্কার
D
পূরষ্কার
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘স্ক’ ও ‘ষ্ক’ যুক্তবর্ণ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। মূল সমস্যা হলো কোন ক্ষেত্রে ‘স্ক’ হবে আর কোন ক্ষেত্রে ‘ষ্ক’ হবে তা বুঝতে না পারা। এই বিষয়টি বুঝলে পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার ইত্যাদি শব্দের সঠিক বানান সহজে নির্ধারণ করা যায়।
নিচে সহজভাবে নিয়ম ও উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
সহজ কৌশল:
-
যুক্তবর্ণ (‘স্ক’ বা ‘ষ্ক’)–এর আগের বর্ণের দিকে লক্ষ্য করুন।
-
যদি সেই বর্ণটির সঙ্গে ই-কার বা উ-কার যুক্ত থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘ষ্ক’।
-
আর যদি ই-কার বা উ-কার না থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘স্ক’।
উদাহরণ বিশ্লেষণ:
-
পুরস্কার: ‘র’ বর্ণটি ফ্রি আছে (কোনও ই-কার/উ-কার নেই) → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: পুরস্কার -
পরিষ্কার: ‘র’–এর সঙ্গে ই-কার যুক্ত → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: পরিষ্কার -
মনস্কামনা: ‘ন’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: মনস্কামনা -
আবিষ্কার: ‘ব’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: আবিষ্কার -
বহিষ্কার: ‘হ’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: বহিষ্কার -
নমস্কার: ‘ম’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: নমস্কার
ব্যাকরণগত নিয়ম (বিসর্গ সন্ধি):
এ নিয়ম অনুসারে ‘ঃ’-এর পরিবর্তন হয় পরবর্তী ধ্বনির উপর নির্ভর করে—
-
যদি ‘অ/আ’ স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে স হয়।
যেমন:
পুরঃ + কার → পুরস্কার
নমঃ + কার → নমস্কার
তিরঃ + কার → তিরস্কার
মনঃ + কামনা → মনস্কামনা -
আর যদি ‘অ/আ’ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে ষ হয়।
যেমন:
আবিঃ + কার → আবিষ্কার
বহিঃ + কার → বহিষ্কার
নিঃ + পাপ → নিষ্পাপ
চতুঃ + কোণ → চতুষ্কোণ
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি:
-
ঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয়। যেমন – গ, ঘ, জ, ঝ।
-
অঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয় না। যেমন – ক, খ, চ, ছ।
সারসংক্ষেপ: ই-কার বা উ-কার থাকলে → ‘ষ্ক’ (যেমন আবিষ্কার, বহিষ্কার) । ই-কার বা উ-কার না থাকলে → ‘স্ক’ (যেমন পুরস্কার, নমস্কার)।
ফলাফল: শুদ্ধ বানানগুলো হলো—
পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার, বহিষ্কার, নমস্কার।
অশুদ্ধ: পুরষ্কার, পরিস্কার, মনষ্কামনা, আবিস্কার, নমষ্কার।
এই নিয়ম মনে রাখলে যুক্তবর্ণের বানান নিয়ে আর ভুল হবে না।

0
Updated: 2 days ago
অশুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
নিক্বণ
B
শূদ্রাণী
C
সূচগ্রমোদিনী
D
শুশ্রূষা
অশুদ্ধ বানান: সূচগ্রমোদিনী
শুদ্ধ বানান: সূচ্যগ্রমোদিনী
এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ—
-
সুচের ডগায় ধরে এমন পরিমাণ ভূমি
-
সামান্য পরিমাণ জমি
অন্যদিকে, নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ—
-
শুশ্রূষা
-
নিক্বণ
-
শূদ্রাণী
(উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি প্রমিত বানান?
Created: 4 weeks ago
A
কর্ণেল
B
স্বয়ম্বর
C
একান্নবর্তী
D
সুচিষ্মিতা
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী কিছু শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বানানের ব্যবহার নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সঠিক বানান জানা আমাদের সঠিকভাবে লেখালেখি ও উচ্চারণে সহায়তা করে। নিচে উদাহরণ দেওয়া হলো–
-
সঠিক বানান: একান্নবর্তী
-
পদ: বিশেষ্য পদ
-
অর্থ: একসঙ্গে আহার ও বসবাস করে এমন পরিবার, যৌথ পরিবার (joint family)
অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বানানের কিছু উদাহরণ:
-
অশুদ্ধ: কর্ণেল → শুদ্ধ: কর্নেল
-
অশুদ্ধ: স্বয়ম্বর → শুদ্ধ: স্বয়ংবর
-
অশুদ্ধ: সুচিষ্মিতা → শুদ্ধ: শুচিস্মিতা

0
Updated: 4 weeks ago
নিচের বিকল্পগুলো থেকে শুদ্ধ বানান বাছাই করুন-
Created: 2 weeks ago
A
অন্যমনষ্ক
B
সমিচীন
C
মনীষী
D
অপকর্শ
মনীষী হলো একটি বিশেষণ পদ এবং এটি সংস্কৃত শব্দ থেকে উদ্ভূত। শব্দের গঠন হলো মনীষা + ইন্, যার অর্থ হলো তীক্ষ্ণধী, বিদ্বান বা প্রতিভাসম্পন্ন।
-
মনীষী (বিশেষণ)
-
সংস্কৃত শব্দ থেকে উদ্ভূত
-
প্রকৃতি প্রত্যয়: মনীষা + ইন্
-
অর্থ: তীক্ষ্ণধী, বিদ্বান, প্রতিভাসম্পন্ন
-
উদাহরণ: মনীষী ব্যক্তি মানে প্রতিভাসম্পন্ন বা জ্ঞানী ব্যক্তি
-
-
মনীষা
-
মনীষী(-ষিন্) বিশেষণ আকারে ব্যবহৃত
-
অর্থ: মনীষাসম্পন্ন, তীক্ষ্ণধী
-
-
সমীচীন (বিশেষণ)
-
সংস্কৃত শব্দ
-
অর্থ: সংগত, উপযুক্ত, উত্তম
-
-
আরো কিছু শুদ্ধ বানান
-
অপকর্শ → শুদ্ধ: অপকর্ষ
-
অন্যমনষ্ক → শুদ্ধ: অন্যমনস্ক
-
অন্যপুর্বা → শুদ্ধ: অন্যপূর্বা
-
জাজ্জ্বল্যমান → শুদ্ধ: জাজ্বল্যমান
-
প্রোজ্বলিত → শুদ্ধ: প্রজ্বলিত
-
শ্বাশত → শুদ্ধ: শাশ্বত
-

0
Updated: 2 weeks ago