কানাডা উত্তর আমেরিকার একটি উন্নত ও বৃহৎ দেশ, যার রাজধানী অটোয়া। এটি দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। নিচে কানাডা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো—
আয়তন: কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর মোট আয়তন প্রায় ৯,৯৭৬,১৪০ বর্গ কিলোমিটার, যা প্রায় বাংলাদেশের আয়তনের ৬৮ গুণেরও বেশি।
অবস্থান: দেশটি উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত এবং এর দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র, উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।
রাজধানী অটোয়া:
-
অটোয়া অন্টারিও প্রদেশে অবস্থিত।
-
এটি কানাডার চতুর্থ বৃহত্তম শহর।
-
অটোয়া নদীর তীরে গড়ে উঠেছে এই শহর।
-
এখানে কানাডার পার্লামেন্ট ভবন ও প্রধান সরকারি দপ্তরগুলো অবস্থিত।
ভাষা: কানাডার দুটি সরকারি ভাষা আছে — ইংরেজি ও ফরাসি। অটোয়াতেও এই দুই ভাষার ব্যবহার সাধারণ।
রাজনৈতিক ইতিহাস:
-
১৮৬৭ সালে কানাডা স্বশাসিত ডোমিনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
১৯৮২ সালের ১৭ এপ্রিল, “কানাডা অ্যাক্ট” স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডার কাছে সাংবিধানিক ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
-
এর মাধ্যমে কানাডা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:
-
বর্তমানে কানাডার জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
-
এটি একটি উন্নত শিল্পোন্নত দেশ, যার অর্থনীতি প্রধানত প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রযুক্তি ও সেবাখাতে নির্ভরশীল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
-
কানাডা তার অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য, হ্রদ, বনভূমি ও পর্বতশ্রেণির জন্য বিশ্বখ্যাত।
-
দেশটিতে প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি হ্রদ রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
বিশ্বে অবস্থান:
-
কানাডা জাতিসংঘ, ন্যাটো, জি৭ ও কমনওয়েলথসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার সক্রিয় সদস্য।
-
শান্তি, মানবাধিকার ও শিক্ষা ব্যবস্থার মানের দিক থেকে দেশটি বিশ্বের শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
সারসংক্ষেপে, অটোয়া কেবল কানাডার প্রশাসনিক কেন্দ্র নয়, বরং এটি দেশটির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এখান থেকেই কানাডার নীতিনির্ধারণ ও শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়।