বাংলা বর্ণমালা কয়টি?
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫২টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষা। এর লেখার পদ্ধতি বাংলা লিপি নামে পরিচিত। বাংলা লিপির নিজস্ব বর্ণমালা আছে, যা ধ্বনিভিত্তিক এবং উচ্চারণ অনুযায়ী গঠিত। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। নিচে বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
স্বরবর্ণ (১১টি):
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হলো সেই বর্ণসমূহ, যেগুলো উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ বাধা ছাড়াই মুখ দিয়ে বের হয়।
স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
এই বর্ণগুলো একা উচ্চারিত হয় এবং অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
দ্রষ্টব্য: “ঐ” ও “ঔ” হলো যৌগিক বা দ্বিস্বর স্বরবর্ণ, যেমন — অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ।
ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি):
যে বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ কিছুটা বাধা পায়, সেগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণগুলো ক্রমানুসারে হলো:
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল
শ, ষ, স, হ
ড়, ঢ়, য়, ৎ
এই বর্ণগুলো মিলিয়ে মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ গঠিত হয়েছে।
মোট সংখ্যা: স্বরবর্ণ (১১) + ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯) = ৫০টি বর্ণ।
বিশেষ তথ্য:
-
বাংলা বর্ণমালা প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
বাংলা লিপি ধ্বনিভিত্তিক হওয়ায় একে "ধ্বনিমূলক লিপি" বলা হয়।
-
বাংলা ভাষায় বর্ণের সাহায্যে শব্দ গঠন হয়, আর শব্দের মাধ্যমে বাক্য তৈরি হয়।
-
বাংলা লিপি ব্যবহারের সূচনা প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকেই দেখা যায়।
বাংলা বর্ণমালার গুরুত্ব:
বাংলা বর্ণমালা শুধু ভাষার প্রতীক নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ। এই বর্ণমালার মাধ্যমে সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে ভাষার বিকাশ ঘটেছে।
সারসংক্ষেপে: বাংলা বর্ণমালা ৫০টি বর্ণ নিয়ে গঠিত — এর মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। এটি বাংলা ভাষার ভিত্তি, যা আমাদের কথা, লেখা ও চিন্তাকে প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।

0
Updated: 16 hours ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 1 week ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 1 week ago
৮) স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়-
Created: 2 months ago
A
কার
B
অণু
C
ফলা
D
রেফ
কারবর্ণ ও অনুবর্ণ
১. কারবর্ণ (স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ)
-
বাংলা স্বরবর্ণের মোট ১০টি সংক্ষিপ্ত রূপ আছে, যাকে বলা হয় কার।
-
কারবর্ণ: া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ো, ৌ
-
বৈশিষ্ট্য:
-
স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয় না।
-
ব্যঞ্জনবর্ণের আগে, পরে, উপরে, নিচে বা উভয় দিকে যুক্ত হয়।
-
কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসন্তচিহ্ন না থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে ব্যঞ্জনের সঙ্গে [অ] আছে।
-
২. অনুবর্ণ (ব্যঞ্জনের বিকল্প রূপ)
-
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়।
-
অনুবর্ণের মধ্যে আছে: ফলা, রেফ, বর্ণসংক্ষেপ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা কোন তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
• ধ্বনিতত্ত্ব:
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে যেহেতু বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা এর অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি।

0
Updated: 1 month ago