ইয়াসরীবের অভিবাসনে রাসুল (সাঃ) এর মূল লক্ষ্য ছিল-
A
আকাবার শপথের প্রতি সম্মান
B
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
C
অনুসারীদের জন্য নিরাপদ আবাস ২০০. গড়ে তোলা
D
ইসলাম প্রচারের অনুকূল কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
উত্তরের বিবরণ
ইয়াসরিবে (পরবর্তীতে মদিনা) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হিজরতের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের বিকাশ ও মুসলিম সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি ছিল ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ, যা পরবর্তীতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মক্কার কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে সেখানে ইসলামের প্রচার ও মুসলমানদের জীবনধারণ ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছিল।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী করিম (সা.) সিদ্ধান্ত নেন ইসলামকে একটি স্বাধীন, নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশে প্রতিষ্ঠা করার।
-
তাই তিনি মুসলমানদের নিয়ে ইয়াসরিবে হিজরত (অভিবাসন) করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার সূচনা ঘটায়।
-
এ অভিবাসন ছিল কেবল ধর্মীয় নয়, বরং ইসলামের প্রচার, মুসলিম ঐক্য ও আত্মরক্ষার জন্য একটি সুদূরপ্রসারী কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
রেফারেন্স: ইসলামের ইতিহাস — সৈয়দ মাহমুদুল হাসান।

0
Updated: 18 hours ago
রাসুলের (সাঃ)-এর সময় মদিনার ইহুদিরা মোট কয়টি শাখায় বিভক্ত ছিল?
Created: 18 hours ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
মদিনা সনদ অনুযায়ী ইহুদি ও মুসলমানরা সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং রাষ্ট্রীয় ঐক্য বজায় রাখবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু বাস্তবে ইহুদিরা গোপনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকত, যা পরবর্তীতে একাধিক সংঘর্ষের কারণ হয়ে ওঠে।
-
মদিনায় বসবাসকারী ইহুদিরা মূলত তিনটি প্রধান গোত্রে বিভক্ত ছিল—
১. বনু কায়নুকা
২. বনু নজির
৩. বনু কুরায়জা -
৬২৪ খ্রিস্টাব্দে মহানবী ﷺ বনু কায়নুকা গোত্রকে তাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মদিনা থেকে বিতাড়িত করেন।
-
পরবর্তীতে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দে একই অপরাধে বনু নজির গোত্রকেও মদিনা থেকে নির্বাসিত করা হয়।
-
শেষে বনু কুরায়জা গোত্রও মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও মিত্রভঙ্গের কারণে শাস্তি ভোগ করে।
-
এভাবে নবী করিম ﷺ-এর সময়ে মদিনার ইহুদিদের তিনটি প্রধান গোত্রই রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের কারণে মদিনা থেকে অপসারিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
কোন্ সময় হতে আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয়?
Created: 19 hours ago
A
বাসুসের যুদ্ধের পর
B
কাহতান বংশের উত্থানের পর
C
বুয়াসের যুদ্ধের পর
D
মিনাইয়ান রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর
কাহতান বংশের উত্থান আরব জাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে বিবেচিত। এই বংশের আবির্ভাবের পর থেকেই আরবদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিকাশের প্রকৃত ধারার সূচনা হয়।
-
কাহতান বংশের উত্থানের পর থেকেই আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয় বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।
-
এই বংশের বংশধরদের বলা হয় আরবে আরিবা, যার অর্থ প্রকৃত আরব।
-
তারা মূলত দক্ষিণ আরবের ইয়েমেন অঞ্চলে বসবাস করত এবং ভাষা, সংস্কৃতি ও বংশগৌরবে নিজেদেরকে প্রাচীন আরব জাতির প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করত।

0
Updated: 19 hours ago
সুলতানা রাজিয়ার হত্যাকারী ছিল?
Created: 1 day ago
A
জামাল উদ্দীন
B
আলতুনিয়া
C
আপন ভ্রাতা মুঈনুদ্দিন বাহরাম
D
রুকন উদ্দীন
দিল্লি সালতানাতের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর সিংহাসন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে একাধিক ক্ষমতাসংগ্রামের ঘটনাই ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
দিল্লির আভিজাত আমিরগণ ইলতুৎমিশের তৃতীয় পুত্র মুঈনুদ্দিন বাহরামকে সুলতান ঘোষণা করেন।
-
রাজিয়া সুলতানা ও তাঁর স্বামী ইখতিয়ারউদ্দিন আলতুনিয়া সিংহাসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাহরামের বিরুদ্ধে এক বৃহৎ সেনাবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হন।
-
কিন্তু দিল্লির নিকটে সংঘটিত যুদ্ধে তাদের সম্মিলিত বাহিনী পরাজিত হয় বাহরামের সেনাদের কাছে।
-
পরবর্তীতে, ১২৪০ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে কাইথল নামক স্থানে, এক হিন্দু আততায়ীর হাতে রাজিয়া সুলতানা ও আলতুনিয়া নিহত হন।
-
এর মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী সুলতানের শাসনের অবসান ঘটে, যা দিল্লি সালতানাতের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও তীব্র করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago