সমসাময়িক অমুসলিম নৃপতিগণের মধ্যে রাসুল (সাঃ) সর্বপ্রথম কার কাছে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে পত্রযুগে দূত প্রেরণ করেন?
A
পারস্য সম্রাট
B
রোমান সম্রাট
C
ইয়েমেন অধিপতি
D
আবিসিনিয়ার বাদশাহ
উত্তরের বিবরণ
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে, হুদায়বিয়ার সন্ধির পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলাম প্রচারের পরিধি বিস্তারের উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী অমুসলিম শাসকদের কাছে দাওয়াতপত্র প্রেরণ করেন। এর মাধ্যমে ইসলাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
-
সমসাময়িক অমুসলিম শাসকদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম আবিসিনিয়ার (ইথিওপিয়া) রাজা নজ্জাশী-এর নিকট ইসলাম গ্রহণের আহ্বানবাহী পত্র প্রেরণ করেন।
-
রাজা নজ্জাশী মহানবীর বার্তা শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং ইসলাম সম্পর্কে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
-
পরবর্তীতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মুসলমানদের আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান করেন।
-
এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 18 hours ago
আরব সীজার' কোন্ মুসলিম শাসককে আখ্যায়িত করা হয়?
Created: 5 days ago
A
হযরত উমর (রাঃ)
B
হযরত ওসমান (রাঃ)
C
হযরত মোয়াবিয়া (রাঃ)
D
হযরত উমর ইবনে আবদুল আজিজ
৬৬১ খ্রিস্টাব্দে মুয়াবিয়া (রা.) ক্ষমতা গ্রহণ করে উমাইয়া খেলাফতের সূচনা করেন। তাঁর শাসনামলে ইসলামী সাম্রাজ্য নতুন সীমানা অতিক্রম করে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মুয়াবিয়া ক্ষমতা দখলের পর উত্তর আফ্রিকা, ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলসহ বহু এলাকা বিজয় করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও সেনাপতি।
-
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শাসক হিসেবে তিনি কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল) অবরোধ করেন, যা ইসলামী সাম্রাজ্যের শক্তি ও প্রভাব বিস্তারের প্রতীক ছিল।
-
তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সামরিক কৌশল তাঁকে ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
-
এজন্যই তাঁকে বলা হয় “আরবদের জুলিয়াস সিজার”, কারণ তাঁর নেতৃত্বে আরবরা রোমানদের মতোই শক্তিশালী সাম্রাজ্য গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।

0
Updated: 5 days ago
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) খন্দক যুদ্ধের অভিনব কৌশল কার পরামর্শে গ্রহণ করলেন?
Created: 2 days ago
A
হযরত সালমান ফারসী
B
হযরত আবু বকর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত সা'দ (রাঃ)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ মদিনায় এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে ইসলামের শত্রুরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ ইসলামী ইতিহাসে কৌশল, ঐক্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
এই যুদ্ধে কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে।
-
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেন, যা ছিল সেই সময়ের এক অভিনব প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
পবিত্র কুরআনে এই যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।

0
Updated: 2 days ago
মুতার যুদ্ধে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করেন সেনাপতি-
Created: 1 day ago
A
জায়িদ (রাঃ)
B
জাফর (রাঃ)
C
আবদুল্লাহ (রাঃ)
D
খালিদ বিন ওয়ালিদ সায়ফুল্লাহ (রাঃ)
৬২৯ খ্রিস্টাব্দে, রোমান সম্রাট সুহারবিল একজন মুসলিম দূতকে হত্যা করলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কঠোর প্রতিবাদস্বরূপ আরবের বাইরে প্রথম সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)।
-
এই অভিযানে সংঘটিত হয় বিখ্যাত মুতা যুদ্ধ, যেখানে মুসলমানরা রোমান বাহিনীর মুখোমুখি হন।
-
যুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে তিনজন সেনাপতি—যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.), জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.), ও আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.)—শহীদ হন।
-
এরপর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.), যিনি অসাধারণ কৌশল ও বীরত্বের মাধ্যমে মুসলমানদের বিজয় এনে দেন।
-
মহানবী (সা.) তাঁর এই বীরত্বে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে “সাইফুল্লাহ” অর্থাৎ “আল্লাহর তরবারি” উপাধি প্রদান করেন।

0
Updated: 1 day ago