'কিতাবুল আগানী' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
A
আবুল ফারাজ ইস্পাহানী
B
আবদুর রহমান সুফী
C
আবুল ওয়াফা
D
হুনাইন ইবনে ইসহাক
উত্তরের বিবরণ
আবুল ফারাজ ইস্পাহানী রচিত ‘কিতাবুল আগানী’ আরবি সাহিত্য ও ইসলামী সভ্যতার ইতিহাসে এক অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। এটি ছিল আরবদের সংগীত, কবিতা, সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনের এক বিস্তৃত দলিল।
-
গ্রন্থটিতে আরবদের সাহিত্য, সঙ্গীত, কবি ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের জীবনচিত্র বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এটি ইসলামী স্বর্ণযুগের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের অন্যতম দলিল হিসেবে স্বীকৃত।
-
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুন এই গ্রন্থটিকে প্রশংসা করে “আরবদের রেজিস্টার” বা “আরব জাতির ঐতিহাসিক দলিল” বলে অভিহিত করেছেন।
-
‘কিতাবুল আগানী’ পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে আরবি সাহিত্য, ইতিহাস ও সংগীতচর্চার মূল উৎস হিসেবে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

0
Updated: 18 hours ago
কোন্ সময় হতে আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয়?
Created: 19 hours ago
A
বাসুসের যুদ্ধের পর
B
কাহতান বংশের উত্থানের পর
C
বুয়াসের যুদ্ধের পর
D
মিনাইয়ান রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর
কাহতান বংশের উত্থান আরব জাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে বিবেচিত। এই বংশের আবির্ভাবের পর থেকেই আরবদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিকাশের প্রকৃত ধারার সূচনা হয়।
-
কাহতান বংশের উত্থানের পর থেকেই আরব জাতির প্রকৃত ইতিহাস শুরু হয় বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।
-
এই বংশের বংশধরদের বলা হয় আরবে আরিবা, যার অর্থ প্রকৃত আরব।
-
তারা মূলত দক্ষিণ আরবের ইয়েমেন অঞ্চলে বসবাস করত এবং ভাষা, সংস্কৃতি ও বংশগৌরবে নিজেদেরকে প্রাচীন আরব জাতির প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করত।

0
Updated: 19 hours ago
'জাজিরাতুল আরব' প্রধানত কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত?
Created: 1 day ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের প্রকৃতি, জলবায়ু ও জীবনযাত্রা ভিন্ন হলেও, এদের সম্মিলিত বৈশিষ্ট্যই আরব সভ্যতার ভিত্তি গঠন করেছে।
-
মরু অঞ্চল (Arabian Desert): এটি উপদ্বীপের বৃহত্তম অংশজুড়ে বিস্তৃত। এখানে বালুময় মরুভূমি, শুষ্ক জলবায়ু ও সীমিত উদ্ভিদজগৎ বিদ্যমান।
-
পাহাড়ী অঞ্চল (Arabian Petraca): মূলত পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে পাথুরে পাহাড়, উপত্যকা ও দুর্গম এলাকা দেখা যায়।
-
উর্বর অঞ্চল (Arabian Felix): দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি তুলনামূলকভাবে সবুজ ও কৃষির উপযোগী, যেখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও উর্বর মাটি রয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ বিষয়কে কেন্দ্র করে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের সাথে বাইজ্যান্টাইনদের সাথে সংঘর্ষ বাধে?
Created: 1 day ago
A
সরকারি কাজকর্মে আরবি ভাষার প্রচলন
B
পবিত্র কোরআনে নোক্তার প্রচলন
C
মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন
D
কোনটিই নয়
খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান ইসলামী ইতিহাসে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল আরবি মুদ্রা প্রবর্তন, যা ইসলামী সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিশাল ভূমিকা রাখে।
-
তাঁর শাসনামলে প্রথমবারের মতো খাঁটি আরবি ভাষায় মুদ্রা প্রচলন করা হয়।
-
এ উদ্দেশ্যে তিনি রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় টাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে সমগ্র সাম্রাজ্যে একক মানের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
-
তিনি রোমান, পারস্য, হিমারীয় ও বিভিন্ন আঞ্চলিক মুদ্রা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে নতুনভাবে
-
দিনার (স্বর্ণমুদ্রা),
-
দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) এবং
-
ফাল্স (তাম্রমুদ্রা) প্রচলন করেন।
-
-
এই সংস্কারের ফলে ইসলামী অর্থনীতি এক ঐক্যবদ্ধ কাঠামো পায়, তবে বাইজ্যান্টাইন সাম্রাজ্যের সঙ্গে মুদ্রা প্রচলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষও সৃষ্টি হয়।
-
তাঁর এই পদক্ষেপ পরবর্তীকালে ইসলামী অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্য ও কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার ভিত্তি সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago