কাদেসিয়ার যুদ্ধে মুসলিমদের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন কে?
A
সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস
B
আবু উবাইদা
C
মীর সিমনান
D
রুস্তম
উত্তরের বিবরণ
খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামলে ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণকালে মুসলিম বাহিনী ও পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে কাদেসিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
পারস্য বাহিনী মহাবীর রুস্তম-এর নেতৃত্বে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়।
-
이에 খলিফা উমর (রা.) মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি হিসেবে অভিজ্ঞ যোদ্ধা সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে নিয়োগ দেন।
-
৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে, কাদেসিয়ার প্রান্তরে তিন দিনব্যাপী ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
অবশেষে মুসলমানরা বিজয় অর্জন করে এবং পারস্য সেনাপতি রুস্তম যুদ্ধে নিহত হন।
-
এই বিজয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীতে ইসলামী শাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে ওঠে।

0
Updated: 18 hours ago
মানজানিকের সাহায্যে বৃহদাকার প্রস্তর নিক্ষেপ করে মুসলিম বাহিনী কোন্ দুর্গটি ধ্বংস করে?
Created: 19 hours ago
A
আরোর
B
সিওয়ান
C
রাওয়ার
D
দাইবুল
সিন্ধু বিজয়ের অভিযানে সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম অসাধারণ সামরিক দক্ষতা ও কৌশল প্রদর্শন করেন। তাঁর অভিযানের সূচনা হয়েছিল উপকূলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগর দেবল (বা দাইবুল) বন্দরের দখল দিয়ে।
-
প্রথমেই তিনি দেবল/দাইবুল বন্দর অবরোধ করেন, যা ছিল শত্রুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।
-
শহরের প্রধান মন্দিরের চূড়ায় একটি লাল নিশান উড়ছিল, যা ছিল স্থানীয়দের ধর্মীয় ও প্রতিরোধের প্রতীক।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিম দুর্গের চারপাশে পরিখা খনন করে সৈন্য মোতায়েন করেন, যাতে শত্রুপক্ষ পালানোর সুযোগ না পায়।
-
এরপর তিনি মানজানিক (বৃহৎ প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্র) ব্যবহার করে দেবল দুর্গে প্রস্তর নিক্ষেপ করেন।
-
এতে দুর্গটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দেবলের সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ে, ফলে মুসলিম বাহিনী সহজেই বিজয় অর্জন করে।

0
Updated: 19 hours ago
ইয়াজিদের মনোনয়ন সম্পর্কে কে রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেছিলেন?
Created: 5 days ago
A
ওমর ইবনে আবী রাবীয়াহ
B
লাবীদ ইবনে রাবীয়াহ
C
হাসসান ইবনে ছাবিত
D
মিসকিন আল্ দারিমি
উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া (রা.) যখন তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করতে দ্বিধায় ছিলেন, তখন মিসকিন আল-দারিমি নামের এক কবি ইয়াজিদের প্রশংসায় রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মিসকিন আল-দারিমি তাঁর কবিতার মাধ্যমে ইয়াজিদের গুণাবলি ও যোগ্যতা তুলে ধরেন।
-
এই কবিতা মুয়াবিয়ার মানসিক দ্বিধা দূর করতে প্রভাব ফেলে, ফলে তিনি ইয়াজিদকে উত্তরসূরি মনোনয়নে আগ্রহী হন।
-
কবিতার মাধ্যমে মিসকিন আল-দারিমি মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন।
-
এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে রাজনৈতিক কবিতার প্রভাবের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 5 days ago
ইয়াসরীবের অভিবাসনে রাসুল (সাঃ) এর মূল লক্ষ্য ছিল-
Created: 18 hours ago
A
আকাবার শপথের প্রতি সম্মান
B
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
C
অনুসারীদের জন্য নিরাপদ আবাস ২০০. গড়ে তোলা
D
ইসলাম প্রচারের অনুকূল কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
ইয়াসরিবে (পরবর্তীতে মদিনা) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হিজরতের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের বিকাশ ও মুসলিম সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি ছিল ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ, যা পরবর্তীতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মক্কার কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে সেখানে ইসলামের প্রচার ও মুসলমানদের জীবনধারণ ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছিল।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী করিম (সা.) সিদ্ধান্ত নেন ইসলামকে একটি স্বাধীন, নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশে প্রতিষ্ঠা করার।
-
তাই তিনি মুসলমানদের নিয়ে ইয়াসরিবে হিজরত (অভিবাসন) করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার সূচনা ঘটায়।
-
এ অভিবাসন ছিল কেবল ধর্মীয় নয়, বরং ইসলামের প্রচার, মুসলিম ঐক্য ও আত্মরক্ষার জন্য একটি সুদূরপ্রসারী কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
রেফারেন্স: ইসলামের ইতিহাস — সৈয়দ মাহমুদুল হাসান।

0
Updated: 18 hours ago