উমাইয়া কোন্ খলিফা যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে মসুলে পলায়ন করেন?
A
দ্বিতীয় মারওয়ান
B
ইয়াজিদ
C
সুলাইমান
D
মুতাওয়াক্কিল
উত্তরের বিবরণ
৭৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি, ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা পরিচিত জাব নদীর যুদ্ধ নামে। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই উমাইয়া খিলাফতের অবসান এবং আব্বাসীয় খিলাফতের সূচনা ঘটে।
-
যুদ্ধটি জাব নদীর তীরে কুসাফ নামক স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।
-
এতে উমাইয়া খিলাফতের শেষ খলিফা মারওয়ান বিন মুহাম্মদ আব্বাসীয় বাহিনীর হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
-
পরাজয়ের পর তিনি মসুল, হাররান হয়ে দামেস্কে, এবং পরে প্যালেস্টাইন হয়ে মিসরের দিকে পালিয়ে যান।
-
কিন্তু মিসরের পথে তিনি ধৃত হয়ে নিহত হন।
-
তাঁর মস্তক কুফায় আব্বাসীয় খলিফা আবুল আব্বাসের কাছে প্রেরণ করা হয়, যা উমাইয়া বংশের পতন ও আব্বাসীয় শাসনের সূচনার প্রতীকী ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে।

0
Updated: 18 hours ago
কোন্ বিষয়কে কেন্দ্র করে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের সাথে বাইজ্যান্টাইনদের সাথে সংঘর্ষ বাধে?
Created: 1 day ago
A
সরকারি কাজকর্মে আরবি ভাষার প্রচলন
B
পবিত্র কোরআনে নোক্তার প্রচলন
C
মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন
D
কোনটিই নয়
খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান ইসলামী ইতিহাসে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল আরবি মুদ্রা প্রবর্তন, যা ইসলামী সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিশাল ভূমিকা রাখে।
-
তাঁর শাসনামলে প্রথমবারের মতো খাঁটি আরবি ভাষায় মুদ্রা প্রচলন করা হয়।
-
এ উদ্দেশ্যে তিনি রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় টাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে সমগ্র সাম্রাজ্যে একক মানের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
-
তিনি রোমান, পারস্য, হিমারীয় ও বিভিন্ন আঞ্চলিক মুদ্রা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে নতুনভাবে
-
দিনার (স্বর্ণমুদ্রা),
-
দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) এবং
-
ফাল্স (তাম্রমুদ্রা) প্রচলন করেন।
-
-
এই সংস্কারের ফলে ইসলামী অর্থনীতি এক ঐক্যবদ্ধ কাঠামো পায়, তবে বাইজ্যান্টাইন সাম্রাজ্যের সঙ্গে মুদ্রা প্রচলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষও সৃষ্টি হয়।
-
তাঁর এই পদক্ষেপ পরবর্তীকালে ইসলামী অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্য ও কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার ভিত্তি সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago
আরব বেদুইন কারা?
Created: 2 days ago
A
আহল আল্ হাদারা
B
আহল আল্ বাদিয়া
C
আহল আল্ রায়
D
আহল আল্ আকল
আরব বেদুইন বা البدو العرب (Al-Badu al-‘Arab) হলো সেই যাযাবর আরব জনগোষ্ঠী যারা প্রাচীনকাল থেকে আরব উপদ্বীপের বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে জীবনযাপন করতেন। তারা ছিল স্বাধীনচেতা, কঠোর পরিশ্রমী ও মরুপ্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এক স্বতন্ত্র সমাজগোষ্ঠী।
-
আরব বেদুইনরা স্থায়ীভাবে কোনো স্থানে বসবাস করতেন না; তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পশুপালন ও জীবিকার সন্ধানে স্থানান্তরিত হতেন।
-
তাদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আরব সমাজের প্রাচীনতম রূপকে প্রতিফলিত করে।
-
তাই “আরব বেদুইন” বলতে মূলত “আহল আল্ বাদিয়া” অর্থাৎ মরুভূমিবাসী জনগোষ্ঠীকেই বোঝানো হয়।

0
Updated: 2 days ago
আইয়ামে-ই-জাহেলীয়া যুগে আরবদের সর্বজন পূজিত প্রতিমা মূর্তি ছিল-
Created: 18 hours ago
A
হোবল
B
ইয়াগুস
C
নসর
D
লাত ও মানাত
আইয়ামে জাহেলিয়া বা ইসলাম-পূর্ব যুগে, আরব সমাজে বহু দেব-দেবীর পূজা প্রচলিত ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রতিমা ছিল হুবাল, যা আরবদের প্রধান উপাস্য হিসেবে পরিচিত।
-
হুবাল ছিল বিশেষভাবে কুরাইশ গোত্রের সবচেয়ে বড় উপাস্য দেবতা।
-
এর মূর্তিটি কাবা শরিফের ভেতরে স্থাপিত ছিল এবং সেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হতো।
-
হুবালের পাশাপাশি আরও অনেক দেব-দেবী ও মূর্তি যেমন লাত, মানাত ও উজ্জা পূজিত হতো, তবে হুবালের ধর্মীয় মর্যাদা ছিল সর্বাধিক।
-
ইসলামের আবির্ভাবের পর মহানবী ﷺ তাওহীদের দাওয়াতের মাধ্যমে মূর্তিপূজার অবসান ঘটান, এবং কাবা পুনরায় এক আল্লাহর উপাসনার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago