আকাবার দ্বিতীয় শপথে কতজন মদীনাবাসী ইসলাম গ্রহণ করেছিল?
A
৬ জন
B
১২ জন
C
১৫ জন
D
২০ জন
উত্তরের বিবরণ
নবুয়তের একাদশ বর্ষে (৬২১ খ্রিস্টাব্দে) ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যা প্রথম আকাবা বায়াত নামে পরিচিত। এটি ছিল ইসলামের বিস্তারে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
-
সেই বছর হজ্জের সময় মদিনার আওস ও খাজরাজ গোত্রের বারো জন ব্যক্তি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
-
তাদের মধ্যে আওস গোত্রের ২ জন এবং খাজরাজ গোত্রের ১০ জন ছিলেন।
-
তারা মহানবী (সা.)-এর হাতে ইসলামের বায়াত (অঙ্গীকার) গ্রহণ করেন এবং ইসলাম প্রচার ও মদিনায় মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
-
এই বায়াত ইসলামের ইতিহাসে মদিনায় ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
মি'রাজ শব্দের অর্থ কী?
Created: 5 days ago
A
উর্ধ্বগমন
B
আকাশ ভ্রমণ
C
রাত্রীকালিন ভ্রমণ
D
ভূ-পৃষ্ঠ ভ্রমণ
৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখে নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নির্দেশে বোরাক নামের দ্রুতগতির বাহনে আরোহন করে আরশে আজিমে গমন করেন। এই ঘটনায় তিনি আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশনা প্রাপ্ত হন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
‘মিরাজ’ শব্দের অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন বা উপরে আরোহণ।
-
এটি নবীজির জীবনের অন্যতম অলৌকিক ঘটনা।
-
এই সফরে নবী মুহাম্মদ (সা.) আসমানের বিভিন্ন স্তর পরিদর্শন করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
-
মিরাজের মাধ্যমেই মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়, যা ইসলামী জীবনের অন্যতম মৌলিক ইবাদত।

0
Updated: 5 days ago
ইয়াজিদের মনোনয়ন সম্পর্কে কে রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেছিলেন?
Created: 5 days ago
A
ওমর ইবনে আবী রাবীয়াহ
B
লাবীদ ইবনে রাবীয়াহ
C
হাসসান ইবনে ছাবিত
D
মিসকিন আল্ দারিমি
উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া (রা.) যখন তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করতে দ্বিধায় ছিলেন, তখন মিসকিন আল-দারিমি নামের এক কবি ইয়াজিদের প্রশংসায় রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মিসকিন আল-দারিমি তাঁর কবিতার মাধ্যমে ইয়াজিদের গুণাবলি ও যোগ্যতা তুলে ধরেন।
-
এই কবিতা মুয়াবিয়ার মানসিক দ্বিধা দূর করতে প্রভাব ফেলে, ফলে তিনি ইয়াজিদকে উত্তরসূরি মনোনয়নে আগ্রহী হন।
-
কবিতার মাধ্যমে মিসকিন আল-দারিমি মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন।
-
এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে রাজনৈতিক কবিতার প্রভাবের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 5 days ago
আরবের গোত্রপতি বাঁচাইয়ের পদ্ধতি ছিল?
Created: 5 days ago
A
জন্ম সূত্রে
B
বিত্তশালী হওয়া
C
গোত্রীয় ঐকমত্য
D
পেশীশক্তি
আরবের গোত্রভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি গোত্রের নেতৃত্ব দিতেন একজন গোত্রীয় প্রধান বা শায়খ। তিনি গোত্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রতিটি গোত্রে ‘শায়খ’ নামে একজন দলপতি বা নেতা নিযুক্ত থাকতেন।
-
বয়স, বিচারবুদ্ধি, সাহস, অর্থনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে গোত্রীয় ঐকমত্য বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শায়খ নির্বাচিত হতেন।
-
শায়খের নেতৃত্ব স্থায়ী ছিল না; গোত্রীয় সিদ্ধান্ত বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে পরিবর্তন করা যেত।
-
এই শাসনব্যবস্থা ছিল মূলত গোত্রকেন্দ্রিক ও পরামর্শভিত্তিক, যা আরব সমাজে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখত।

0
Updated: 5 days ago