সূর্য মন্দির' নিরমান করেন কে?
A
সম্রাট অশোক
B
সম্রাট ললিতাদিত্য মাতান
C
সম্রাট হর্ষবর্ধন
D
সম্রাট কনিষ্ক
উত্তরের বিবরণ
সপ্তম শতাব্দীতে কাশ্মীর ছিল উত্তর ভারতের একটি স্বাধীন ও সমৃদ্ধ রাজ্য, যা শাসন করতেন কর্কট রাজবংশের দুর্লভ বর্ধন। এই রাজবংশের আমলে কাশ্মীর রাজনৈতিক শক্তি, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যকলায় বিশেষ উন্নতি লাভ করে।
-
কর্কট বংশীয় রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও খ্যাতিমান শাসক ছিলেন বিজেতা ও বিদ্যোৎসাহী ললিতাদিত্য মাথান।
-
তিনি তাঁর সামরিক সাফল্যের মাধ্যমে কনৌজ, কামরূপ, কলিঙ্গ ও গুজরাট জয় করেছিলেন বলে ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়।
-
ললিতাদিত্য ছিলেন শিল্প, সাহিত্য ও ধর্মের পৃষ্ঠপোষক, এবং তাঁর শাসনামলে কাশ্মীর এক সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
-
তিনি স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিখ্যাত সূর্য মন্দির নির্মাণ করেন, যা তাঁর ধর্মীয় অনুরাগ ও নান্দনিক রুচির প্রতিফলন বহন করে।

0
Updated: 18 hours ago
উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা মুনাফিক নেতার নাম কি ছিল?
Created: 1 day ago
A
আবু জাহল
B
আবু লুলু
C
আবদুল্লাহ্ ইবনে উবাই
D
উমাইয়া ইবনে খালফ
৬২৫ খ্রিস্টাব্দে, কুরাইশদের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদেরকে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। এটি ইসলামী ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানের সূচনা করে, যা ঐক্য, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
-
নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মোট এক হাজার সৈন্যের বাহিনী প্রস্তুত হয়।
-
এর মধ্যে মাত্র ২ জন অশ্বারোহী, ৭০ জন বর্মধারী, ৪০ জন তীরন্দাজ, এবং বাকিরা বর্মহীন পদাতিক সৈন্য ছিলেন।
-
পথে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই তার সঙ্গে থাকা ৩০০ সৈন্যসহ দলত্যাগ করে, ফলে মুসলিম বাহিনী সংখ্যায় অনেক কমে যায়।
-
তবুও মুসলমানরা দৃঢ় বিশ্বাস ও সাহস নিয়ে শত্রুর মুখোমুখি হতে এগিয়ে যান।

0
Updated: 1 day ago
খলিফা মামুনের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন্ মতবাদের উদ্ভব হয়?
Created: 5 days ago
A
আশআরী
B
মুতাজিলা
C
মুরজিয়া
D
খারেজী
মুতাযিলা (Mu‘tazila) ছিল ইসলামের ইতিহাসে একটি যুক্তিবাদী ও দার্শনিক চিন্তাধারার সম্প্রদায়, যারা ধর্মীয় বিষয়গুলোকে যুক্তি ও বুদ্ধির আলোকে বিশ্লেষণ করার পক্ষে ছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মুতাযিলারা বিশ্বাস করতেন, বুদ্ধিই সত্য ও মিথ্যা নির্ধারণের মূল মানদণ্ড।
-
তারা মানব স্বাধীন ইচ্ছা (Free Will)-এর পক্ষপাতী এবং নিয়তিবাদের (Fatalism) বিরোধী ছিল।
-
আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন (খলিফা: ৮১৩–৮৩৩ খ্রি.) এই মতবাদকে রাজধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
আল-মামুনের শাসনামলে মুতাযিলা মতবাদ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক গবেষণার উন্মেষ ঘটে।
-
এই কারণে তাঁর যুগকে ইসলামী সভ্যতার জ্ঞানচর্চার স্বর্ণযুগ বলা হয়।

0
Updated: 5 days ago
কোন্ যুদ্ধের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে এবং পুনরায় আফগান শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 day ago
A
চৌসার যুদ্ধ
B
বিলগ্রামের যুদ্ধ
C
গোগরার যুদ্ধ
D
খানুয়ার যুদ্ধ
১৫৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মে, কনৌজের নিকটবর্তী বিলগ্রাম নামক স্থানে মুঘল ও আফগান বাহিনীর মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইতিহাসে কনৌজ বা বিলগ্রামের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
-
এই যুদ্ধে সম্রাট হুমায়ুন দুর্ভাগ্যবশত আফগান শাসক শের শাহ সূরির হাতে পরাজিত হন।
-
শের শাহের জয়লাভের ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের সাময়িক পতন ঘটে এবং তিনি ভারতে আফগান শূরী বংশের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শের শাহের শাসনামল ছিল প্রশাসনিক দক্ষতা, রাজস্ব সংস্কার ও সড়কব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় ও প্রভাবশালী।

0
Updated: 1 day ago