'শিল্পীদের রাজা' কাকে বলা হতো?
A
সম্রাট জাহাঙ্গীর
B
সম্রাট শাহজাহান
C
সম্রাট আকবর
D
সম্রাট হুমায়ুন
উত্তরের বিবরণ
সম্রাট জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল যুগের এমন এক শাসক, যিনি শিল্প ও সংস্কৃতির বিশেষ করে চিত্রকলার বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনামলে মুঘল চিত্রশিল্প শৈল্পিক উৎকর্ষের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
-
তাঁর আমলে চিত্রশিল্পের ব্যাপক বিস্তার ও উন্নতি ঘটে, যা মুঘল শিল্পের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত।
-
জাহাঙ্গীর নিজেও ছিলেন একজন দক্ষ ও রুচিশীল চিত্রশিল্পী, যিনি প্রকৃতি, প্রাণীজগৎ ও বাস্তবচিত্র অঙ্কনে গভীর আগ্রহ রাখতেন।
-
চিত্রকলার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও শিল্পপ্রীতির কারণে তাঁকে ইতিহাসে “শিল্পীদের রাজা” বলে অভিহিত করা হয়।
-
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় চিত্রশিল্পীরা রাজকীয় দরবারে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেন, যা মুঘল শিল্পধারার বিকাশে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 18 hours ago
বিখ্যাত তায়েফ নগরী মক্কার কোন্ দিকে অবস্থিত?
Created: 19 hours ago
A
দক্ষিণ-পূর্ব
B
উত্তর-পশ্চিম
C
উত্তর-পূর্ব
D
দক্ষিণ-পশ্চিম
৬১৬ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার আবু তালিব উপত্যকায় (শিবে আবি তালিব) অবরুদ্ধ অবস্থায় কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। এই তিন বছরের অবরোধ শেষে তিনি ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নতুন পথ অনুসন্ধান করেন।
-
অবরোধ শেষে নবী করিম (সা.) তাঁর দত্তকপুত্র যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত তায়েফ নগরে গমন করেন।
-
সেখানে তিনি প্রায় ১০ দিন অবস্থান করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান।
-
কিন্তু তায়েফবাসীরা তাঁর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তাঁর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাঁকে আহত অবস্থায় শহর ত্যাগে বাধ্য করে।
-
এই ঘটনাটি নবীজির জীবনে এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায় হলেও, পরবর্তীতে এটি ইসলামের সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও দাওয়াতি প্রেরণার এক মহান দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে।

0
Updated: 19 hours ago
আব্বাসিয় খলিফা কাদির বিল্লাহ কোন্ সুলতানকে 'আমিন-উল-মিল্লাত' উপাধিতে ভূষিত করেন?
Created: 5 days ago
A
সুলতান মাহমুদ
B
সুলতান নূহ-বিন- মানসুর
C
সুলতান মাসুদ
D
সুলতান মওদুদ
সুলতান মাহমুদ গজনভি ছিলেন গজনির আমির সবক্তুগীনের পুত্র এবং গজনি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আলপ্তগীনের ক্রীতদাস ও জামাতা।
মূল ধারণাসমূহ—
-
তিনি ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং পরবর্তীতে গজনি সাম্রাজ্যকে একটি শক্তিশালী ইসলামী সাম্রাজ্যে রূপ দেন।
-
তাঁর শাসনামলে গজনি রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়।
-
বাগদাদের খলিফা কাদির বিল্লাহ তাঁর অবদানে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে “ইয়ামিন-উদ-দৌলা” (রাষ্ট্রের ডান হাত) এবং “আমিন-উল-মিল্লাত” (ধর্মের রক্ষক) উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
সুলতান মাহমুদ ছিলেন ইসলামের এক প্রতাপশালী শাসক ও প্রচারক, যিনি ভারতবর্ষে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ইসলামী প্রভাব বিস্তার করেন।

0
Updated: 5 days ago
'আইন-ই-আকবরী' মূলতঃ কে রচনা করেন?
Created: 19 hours ago
A
সম্রাট আকবর
B
গুলবদন বেগম
C
আবুল ফজল
D
আবদুল কাদির বাদাউনী
মুঘল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী ও নবরত্নদের অন্যতম আবুল ফজল ছিলেন এক মহান ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো মুঘল প্রশাসন, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অমূল্য তথ্য প্রদান করে।
-
তিনি মূলত ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থটি রচনা করেন, যা ছিল তাঁর বৃহৎ ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘আকবরনামা’-এর তৃতীয় ও শেষ খণ্ড।
-
গ্রন্থটি ১৬শ শতাব্দীতে ফারসি ভাষায় রচিত হয়।
-
এতে আকবরের রাজ্যব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, রাজস্বনীতি, সেনাবাহিনী, শিক্ষা, ধর্ম, সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি—সবকিছুর বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
-
‘আইন-ই-আকবরী’ শুধু ইতিহাস নয়, বরং এটি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 19 hours ago