বিখ্যাত তায়েফ নগরী মক্কার কোন্ দিকে অবস্থিত?
A
দক্ষিণ-পূর্ব
B
উত্তর-পশ্চিম
C
উত্তর-পূর্ব
D
দক্ষিণ-পশ্চিম
উত্তরের বিবরণ
৬১৬ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার আবু তালিব উপত্যকায় (শিবে আবি তালিব) অবরুদ্ধ অবস্থায় কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। এই তিন বছরের অবরোধ শেষে তিনি ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নতুন পথ অনুসন্ধান করেন।
-
অবরোধ শেষে নবী করিম (সা.) তাঁর দত্তকপুত্র যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত তায়েফ নগরে গমন করেন।
-
সেখানে তিনি প্রায় ১০ দিন অবস্থান করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান।
-
কিন্তু তায়েফবাসীরা তাঁর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তাঁর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাঁকে আহত অবস্থায় শহর ত্যাগে বাধ্য করে।
-
এই ঘটনাটি নবীজির জীবনে এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায় হলেও, পরবর্তীতে এটি ইসলামের সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও দাওয়াতি প্রেরণার এক মহান দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে।

0
Updated: 19 hours ago
হুদাইবিয়া কোথায় অবস্থিত?
Created: 18 hours ago
A
মদিনার ১৭ মাইল দক্ষিনে
B
মমদিনার ১৭ মাইল উত্তরে
C
মক্কা থেকে ৯ মাইল উত্তরে
D
মক্কা থেকে ৯ মাইল দক্ষিনে
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি ষষ্ঠ সালের জিলকদ মাসের ২৫ তারিখে) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কা পরিদর্শন ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে একটি শান্তিপূর্ণ কাফেলা নিয়ে রওনা দেন। এই সফর ইসলামী ইতিহাসে হুদায়বিয়ার অভিযান নামে পরিচিত।
-
নবী করিম (সা.) তাঁর সঙ্গে প্রায় ১৪০০ সাহাবিকে নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
-
কাফেলাটি কোনো যুদ্ধের উদ্দেশ্যে নয়, বরং শুধুমাত্র ওমরাহ পালন ও কাবা শরিফ পরিদর্শনের জন্য ছিল।
-
মক্কার নিকটে পৌঁছে তাঁরা মক্কা থেকে প্রায় ৯ মাইল উত্তরে অবস্থিত হুদায়বিয়া (একটি কূপসংলগ্ন স্থান)-এ শিবির স্থাপন করেন।
-
সেখানেই পরবর্তীতে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়, যা ইসলামী রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে ওঠে।

0
Updated: 18 hours ago
'শিল্পীদের রাজা' কাকে বলা হতো?
Created: 18 hours ago
A
সম্রাট জাহাঙ্গীর
B
সম্রাট শাহজাহান
C
সম্রাট আকবর
D
সম্রাট হুমায়ুন
সম্রাট জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল যুগের এমন এক শাসক, যিনি শিল্প ও সংস্কৃতির বিশেষ করে চিত্রকলার বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনামলে মুঘল চিত্রশিল্প শৈল্পিক উৎকর্ষের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
-
তাঁর আমলে চিত্রশিল্পের ব্যাপক বিস্তার ও উন্নতি ঘটে, যা মুঘল শিল্পের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত।
-
জাহাঙ্গীর নিজেও ছিলেন একজন দক্ষ ও রুচিশীল চিত্রশিল্পী, যিনি প্রকৃতি, প্রাণীজগৎ ও বাস্তবচিত্র অঙ্কনে গভীর আগ্রহ রাখতেন।
-
চিত্রকলার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও শিল্পপ্রীতির কারণে তাঁকে ইতিহাসে “শিল্পীদের রাজা” বলে অভিহিত করা হয়।
-
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় চিত্রশিল্পীরা রাজকীয় দরবারে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেন, যা মুঘল শিল্পধারার বিকাশে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 18 hours ago
'শহীদদের মঞ্চ' নামে খাত কোন্ যুদ্ধ?
Created: 5 days ago
A
ইয়ামামার যুদ্ধ
B
টুরসের যুদ্ধ
C
তোস্তার যুদ্ধ
D
ওয়াদিলাক্কোর যুদ্ধ
৭৩১ খ্রিস্টাব্দে, স্পেনে দীর্ঘ ছয় বছরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খলিফা হিশাম আব্দুর রহমান আল-গাফিকীকে স্পেনে প্রেরণ করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
স্পেনের স্থানীয় শাসক ইউডিজ, ফ্রান্সের ফ্র্যাঙ্ক রাজা চার্লস মার্টেল-এর সহায়তা নিয়ে আব্দুর রহমানের অগ্রযাত্রা রোধের চেষ্টা করেন।
-
এর ফলেই ৭৩২ খ্রিস্টাব্দে টুরসের যুদ্ধ (Battle of Tours) সংঘটিত হয়।
-
এই যুদ্ধে আব্দুর রহমান আল-গাফিকী শহিদ হন, যদিও তাঁর নেতৃত্বে মুসলমানরা বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম চালায়।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই যুদ্ধটি পরিচিত “বালাত উশ-শুহাদা” (Balat al-Shuhada) নামে, যার অর্থ “শহিদদের মঞ্চ”।
-
এই যুদ্ধ ইউরোপে ইসলামী অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago