গজনীতে নির্মিত 'স্বর্গীয় বন্ধু' কী?
A
একটি মানু মন্দির
B
একটি সুন্দর মসজিদ
C
একটি বিশাল অট্টালিকা
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
গজনীর সুলতান মাহমুদ ছিলেন শুধু একজন যোদ্ধা নন, বরং শিল্প, স্থাপত্য ও সংস্কৃতির এক মহান পৃষ্ঠপোষকও। তাঁর আমলে গজনী ছিল ইসলামী শিল্প ও জ্ঞানচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
-
প্রশ্নে উল্লিখিত মসজিদটি হলো ‘স্বর্গীয় বধূ’ মসজিদ, যার ফারসি নাম ‘আরায়িশ-ই-ফালক’।
-
কিছু উৎসে একে ‘স্বর্গীয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করা হলেও, ইতিহাস অনুযায়ী এর সঠিক নাম ‘স্বর্গীয় বধূ’ মসজিদ।
-
এই মনোরম ও নান্দনিক স্থাপত্যটি সুলতান মাহমুদ নিজেই গজনীতে নির্মাণ করেছিলেন।
-
মসজিদটি তার অলংকৃত নকশা, স্থাপত্যশৈলী ও শৌন্দর্যের জন্য সমসাময়িক বিশ্বে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেছিল।

0
Updated: 19 hours ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 1 day ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ যুদ্ধকে 'সম্মিলিত শক্তিসমুহের যুদ্ধ' বলাখন্দকের যুদ্ধ হয়?
Created: 1 day ago
A
খন্দকের যুদ্ধ
B
ওহুদের যুদ্ধ
C
নামারকের যুদ্ধ
D
কাদেসিয়ার যুদ্ধ
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ, ইসলামের শত্রু কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা সম্মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে। এটি ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত অন্যতম বৃহৎ অভিযান, যেখানে মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস ও কৌশলিক প্রজ্ঞার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
-
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসি (রা.)-এর পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করার নির্দেশ দেন, যা ছিল সেই সময়ের এক নতুন ও কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
এই যুদ্ধটি ইতিহাসে পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
পবিত্র কুরআনে এ যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা অসীম ধৈর্য, ঐক্য ও ঈমানের শক্তি প্রদর্শন করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।

0
Updated: 1 day ago
মুসলিমদের সিন্দু বিজয়ের পূর্বে সেখানকার হিন্দু রাজার নাম কি ছিল?
Created: 5 days ago
A
রাজা চাণক্য
B
রাজা বীরবল
C
রাজা দাহির
D
রাজা প্রতাপাদিত্য
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামী শাসন বিস্তারের উদ্দেশ্যে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
৭১০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি প্রথমে সেনাপতি ওবায়দুল্লাহ ও বুদাইলের নেতৃত্বে দুটি অভিযান পাঠান, কিন্তু উভয়ই ব্যর্থ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সী ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা মুহাম্মদ বিন কাসিম-এর নেতৃত্বে নতুন অভিযান পাঠান।
-
৭১২ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ বিন কাসিম রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু অঞ্চল বিজয় করেন, যার মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশে ইসলামী শাসনের সূচনা ঘটে।
-
এই বিজয়ের ফলে সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল ইসলামী সংস্কৃতি ও প্রশাসনের আওতায় আসে, যা পরবর্তীতে ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 5 days ago