মানজানিকের সাহায্যে বৃহদাকার প্রস্তর নিক্ষেপ করে মুসলিম বাহিনী কোন্ দুর্গটি ধ্বংস করে?
A
আরোর
B
সিওয়ান
C
রাওয়ার
D
দাইবুল
উত্তরের বিবরণ
সিন্ধু বিজয়ের অভিযানে সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম অসাধারণ সামরিক দক্ষতা ও কৌশল প্রদর্শন করেন। তাঁর অভিযানের সূচনা হয়েছিল উপকূলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগর দেবল (বা দাইবুল) বন্দরের দখল দিয়ে।
-
প্রথমেই তিনি দেবল/দাইবুল বন্দর অবরোধ করেন, যা ছিল শত্রুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।
-
শহরের প্রধান মন্দিরের চূড়ায় একটি লাল নিশান উড়ছিল, যা ছিল স্থানীয়দের ধর্মীয় ও প্রতিরোধের প্রতীক।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিম দুর্গের চারপাশে পরিখা খনন করে সৈন্য মোতায়েন করেন, যাতে শত্রুপক্ষ পালানোর সুযোগ না পায়।
-
এরপর তিনি মানজানিক (বৃহৎ প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্র) ব্যবহার করে দেবল দুর্গে প্রস্তর নিক্ষেপ করেন।
-
এতে দুর্গটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দেবলের সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ে, ফলে মুসলিম বাহিনী সহজেই বিজয় অর্জন করে।

0
Updated: 19 hours ago
আকাবার দ্বিতীয় শপথে কতজন মদীনাবাসী ইসলাম গ্রহণ করেছিল?
Created: 18 hours ago
A
৬ জন
B
১২ জন
C
১৫ জন
D
২০ জন
নবুয়তের একাদশ বর্ষে (৬২১ খ্রিস্টাব্দে) ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যা প্রথম আকাবা বায়াত নামে পরিচিত। এটি ছিল ইসলামের বিস্তারে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
-
সেই বছর হজ্জের সময় মদিনার আওস ও খাজরাজ গোত্রের বারো জন ব্যক্তি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
-
তাদের মধ্যে আওস গোত্রের ২ জন এবং খাজরাজ গোত্রের ১০ জন ছিলেন।
-
তারা মহানবী (সা.)-এর হাতে ইসলামের বায়াত (অঙ্গীকার) গ্রহণ করেন এবং ইসলাম প্রচার ও মদিনায় মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
-
এই বায়াত ইসলামের ইতিহাসে মদিনায় ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
কাবা শরীফ কতবার নির্মিত হয়?
Created: 1 day ago
A
৫ বার
B
৭ বার
C
৮ বার
D
১০ বার
কাবা শরিফ, যা ইসলামে আল্লাহর ঘর হিসেবে পরিচিত, ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এই পবিত্র স্থাপনা নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণে বহু যুগের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অবদান রয়েছে।
-
ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী মোট ১০ জন বা ১০ পর্যায়ে কাবা শরিফ নির্মিত বা সংস্কারিত হয়েছে।
-
তারা হলেন—
১. আল্লাহর ফেরেশতারা
২. আদম (আ.)
৩. শীশ (আ.)
৪. ইবরাহিম (আ.)
৫. আমালিক গোত্র
৬. জুরহুম গোত্র
৭. কুসাই ইবনে কিলাব
৮. কুরাইশ গোত্র
৯. আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)
১০. হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ — যিনি সর্বশেষ সংস্কার করেন।
এই ধারাবাহিক পুনর্নির্মাণ কাবা শরিফকে যুগে যুগে পবিত্রতা, ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে অটুট রেখেছে।

0
Updated: 1 day ago
মুতার যুদ্ধে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করেন সেনাপতি-
Created: 1 day ago
A
জায়িদ (রাঃ)
B
জাফর (রাঃ)
C
আবদুল্লাহ (রাঃ)
D
খালিদ বিন ওয়ালিদ সায়ফুল্লাহ (রাঃ)
৬২৯ খ্রিস্টাব্দে, রোমান সম্রাট সুহারবিল একজন মুসলিম দূতকে হত্যা করলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কঠোর প্রতিবাদস্বরূপ আরবের বাইরে প্রথম সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)।
-
এই অভিযানে সংঘটিত হয় বিখ্যাত মুতা যুদ্ধ, যেখানে মুসলমানরা রোমান বাহিনীর মুখোমুখি হন।
-
যুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে তিনজন সেনাপতি—যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.), জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.), ও আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.)—শহীদ হন।
-
এরপর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.), যিনি অসাধারণ কৌশল ও বীরত্বের মাধ্যমে মুসলমানদের বিজয় এনে দেন।
-
মহানবী (সা.) তাঁর এই বীরত্বে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে “সাইফুল্লাহ” অর্থাৎ “আল্লাহর তরবারি” উপাধি প্রদান করেন।

0
Updated: 1 day ago