কোন্ শাসক 'বাজার দর নিয়ন্ত্রণ' পদ্ধতির (Price Control System) প্রবক্তা?
A
বলবন
B
ফিরোজ খলজী
C
আলাউদ্দিন খলজী
D
মুবারক খলজী
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দিন খলজী ছিলেন দিল্লি সালতানাতের এক দূরদর্শী ও দক্ষ শাসক, যিনি সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতি ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
-
তাঁর অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রধান অংশ ছিল মূল্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (Price Control System) প্রবর্তন।
-
এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব বজায় রাখা, সেনাবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস করা।
-
তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেন, যাতে বাজারে অস্থিরতা, মজুতদারি ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা যায়।
-
আলাউদ্দিন খলজীর এই পদক্ষেপ তৎকালীন ভারতে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও বাজার শৃঙ্খলার এক সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 19 hours ago
আইয়ামে-ই-জাহেলীয়া যুগে আরবদের সর্বজন পূজিত প্রতিমা মূর্তি ছিল-
Created: 18 hours ago
A
হোবল
B
ইয়াগুস
C
নসর
D
লাত ও মানাত
আইয়ামে জাহেলিয়া বা ইসলাম-পূর্ব যুগে, আরব সমাজে বহু দেব-দেবীর পূজা প্রচলিত ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রতিমা ছিল হুবাল, যা আরবদের প্রধান উপাস্য হিসেবে পরিচিত।
-
হুবাল ছিল বিশেষভাবে কুরাইশ গোত্রের সবচেয়ে বড় উপাস্য দেবতা।
-
এর মূর্তিটি কাবা শরিফের ভেতরে স্থাপিত ছিল এবং সেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হতো।
-
হুবালের পাশাপাশি আরও অনেক দেব-দেবী ও মূর্তি যেমন লাত, মানাত ও উজ্জা পূজিত হতো, তবে হুবালের ধর্মীয় মর্যাদা ছিল সর্বাধিক।
-
ইসলামের আবির্ভাবের পর মহানবী ﷺ তাওহীদের দাওয়াতের মাধ্যমে মূর্তিপূজার অবসান ঘটান, এবং কাবা পুনরায় এক আল্লাহর উপাসনার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা মুনাফিক নেতার নাম কি ছিল?
Created: 1 day ago
A
আবু জাহল
B
আবু লুলু
C
আবদুল্লাহ্ ইবনে উবাই
D
উমাইয়া ইবনে খালফ
৬২৫ খ্রিস্টাব্দে, কুরাইশদের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদেরকে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। এটি ইসলামী ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানের সূচনা করে, যা ঐক্য, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
-
নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মোট এক হাজার সৈন্যের বাহিনী প্রস্তুত হয়।
-
এর মধ্যে মাত্র ২ জন অশ্বারোহী, ৭০ জন বর্মধারী, ৪০ জন তীরন্দাজ, এবং বাকিরা বর্মহীন পদাতিক সৈন্য ছিলেন।
-
পথে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই তার সঙ্গে থাকা ৩০০ সৈন্যসহ দলত্যাগ করে, ফলে মুসলিম বাহিনী সংখ্যায় অনেক কমে যায়।
-
তবুও মুসলমানরা দৃঢ় বিশ্বাস ও সাহস নিয়ে শত্রুর মুখোমুখি হতে এগিয়ে যান।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ বিষয়কে কেন্দ্র করে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের সাথে বাইজ্যান্টাইনদের সাথে সংঘর্ষ বাধে?
Created: 1 day ago
A
সরকারি কাজকর্মে আরবি ভাষার প্রচলন
B
পবিত্র কোরআনে নোক্তার প্রচলন
C
মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন
D
কোনটিই নয়
খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান ইসলামী ইতিহাসে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল আরবি মুদ্রা প্রবর্তন, যা ইসলামী সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিশাল ভূমিকা রাখে।
-
তাঁর শাসনামলে প্রথমবারের মতো খাঁটি আরবি ভাষায় মুদ্রা প্রচলন করা হয়।
-
এ উদ্দেশ্যে তিনি রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় টাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে সমগ্র সাম্রাজ্যে একক মানের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
-
তিনি রোমান, পারস্য, হিমারীয় ও বিভিন্ন আঞ্চলিক মুদ্রা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে নতুনভাবে
-
দিনার (স্বর্ণমুদ্রা),
-
দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) এবং
-
ফাল্স (তাম্রমুদ্রা) প্রচলন করেন।
-
-
এই সংস্কারের ফলে ইসলামী অর্থনীতি এক ঐক্যবদ্ধ কাঠামো পায়, তবে বাইজ্যান্টাইন সাম্রাজ্যের সঙ্গে মুদ্রা প্রচলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষও সৃষ্টি হয়।
-
তাঁর এই পদক্ষেপ পরবর্তীকালে ইসলামী অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্য ও কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার ভিত্তি সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago