“গোরাক্ষ বিজয়“ কাব্য কোন ধর্মমতের কাহিনী অবলম্বনে লেখা?
A
শৈবধর্ম
B
বৌদ্ধ সহজযান
C
নাথধর্ম
D
কোনোটি নয়
উত্তরের বিবরণ
উ. গ) নাথধর্ম
এই কাব্যটি নাথধর্মের কাহিনী অবলম্বনে রচিত, যেখানে গোরক্ষনাথের অলৌকিক শক্তি ও যোগসাধনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাথপন্থী ভাবধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
-
গোরক্ষ বিজয় কাব্যের মূল বিষয় গোরক্ষনাথের জয়যাত্রা ও তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ।
-
এতে নাথপন্থীদের যোগসাধনা, তত্ত্বচিন্তা ও গুরুশিষ্য সম্পর্কের প্রতিফলন পাওয়া যায়।
-
কাব্যটি নাথধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সাধারণ মানুষের কাছে এই ধর্মমতের শিক্ষা জনপ্রিয় করে তোলে।
-
নাথধর্ম মূলত শৈবধর্ম থেকে বিকশিত হলেও এর মধ্যে যোগতত্ত্ব ও তন্ত্রসাধনার প্রভাব প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়।
-
গোরক্ষনাথকে নাথপন্থার অন্যতম প্রধান গুরু ও আদি যোগী হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 19 hours ago
'সিরাজুম মুনীরা' কাব্যের রচয়িতার নাম-
Created: 4 months ago
A
তালিম হোসেন
B
ফররুখ আহমদ
C
গোলাম মোস্তফা
D
আবুল হোসেন
'সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যটির রচয়িতা- 'ফররুখ আহমদ'
ফররুখ আহমদ বিংশ শতকের একজন খ্যাতিমান বাংলা কবি। তিনি ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক বাংলা কবিতায় ইসলামী ভাবধারা ও সমাজসচেতনতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ।
সাহিত্যিক খ্যাতি ও যাত্রা
◾ প্রথম খ্যাতি:
১৯৪৪ সালে কলকাতার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে রচিত তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘লাশ’ কবিকে জনপ্রিয়তার প্রথম শিখরে পৌঁছে দেয়।
◾ প্রথম প্রকাশিত কাব্য:
‘সাত সাগরের মাঝি’ ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁকে কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
কাব্যগ্রন্থ ও সাহিত্যকর্ম
উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
মুহূর্তের কবিতা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য)
-
হাতেমতায়ী (কাহিনিকাব্য)
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
বিশেষ কাব্য:
-
‘সিরাজাম মুনিরা’ — ফররুখ আহমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি ইসলামী ভাবনাচিন্তা ও রূপকথার সৃজনশীল সংমিশ্রণে রচিত।
শিশুতোষ সাহিত্য
শিশুদের জন্যও তিনি চমৎকার সব সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
কবি কায়কোবাদ রচিত 'মহাশ্মশান' কাব্যের ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল-
Created: 1 month ago
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ
C
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
D
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্য
-
রচনা প্রসঙ্গ: কাব্যটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
প্রকাশ ও ধারাবাহিকতা: কাব্যটি ধারাবাহিকভাবে ‘কোহিনূর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সম্পাদনা করেন মহম্মদ রওশন আলী।
-
কাব্যের খন্ড ও সর্গ:
-
মোট খন্ড: ৩টি
-
প্রথম খণ্ড: ১৯ সর্গ
-
দ্বিতীয় খণ্ড: ২৪ সর্গ
-
তৃতীয় খণ্ড: ৭ সর্গ
-
-
উৎস: মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তরের কাহিনি।
-
প্রকাশকাল: ১৯০৪ সাল
-
প্রধান চরিত্র: এব্রাহিম কার্দি, জোহরা বেগম, হিরণ বালা, আতা খাঁ, লঙ্গ, রত্নজি, সুজাউদ্দৌলা, সেলিনা, আহমদ শাহ্ আব্দালী।
কায়কোবাদ
-
মূল নাম: কাজেম আল কোরেশী
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ
-
সাহিত্যে অবদান:
-
বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম কবি
-
-
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ, অমিয়ধারা, অশ্রুমালা, কুসুমকানন, শিবমন্দির ইত্যাদি
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র ও শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'চন্দ্রাবতী' কী?
Created: 1 month ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
পদাবলী
D
পালাগান
চন্দ্রাবতী কাব্য:
-
রচয়িতা: কোরেশী মাগন ঠাকুর।
-
কাল ও প্রেক্ষাপট: মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজসভার প্রধান উজির। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
-
তিনি বিখ্যাত কবি আলাওলকে দুটি কাব্য, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামান’, রচনায় উৎসাহিত করেন।
-
উল্লেখযোগ্য আরাকান রাজসভার কবি: আলাওল, দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর।
অন্যান্য চন্দ্রাবতী সম্পর্কিত তথ্য:
-
ময়মনসিংহের একজন নারী গীতিকার চন্দ্রাবতী প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন।
-
ময়মনসিংহ-গীতিকায় নয়নচাঁদ ঘোষ নামে এক কবির ‘চন্দ্রাবতী’ সম্পর্কিত পালা আছে। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন:
-
‘জয়-চন্দ্রাবতী’
-
‘চন্দ্রাবতী চরিত’
-
‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’
-
-
১৯৩২ সালে দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago