“সমাচার দর্পণ“ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন -
A
জন ক্লার্ক মার্শম্যান
B
জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন
C
উইলিয়াম কেরি
D
ডেভিড হেয়ার
উত্তরের বিবরণ
উ. জন ক্লার্ক মার্শম্যান
সমাচার দর্পণ বাংলা ভাষার প্রথম দিককার সংবাদপত্রগুলোর একটি, যা ১৮১৮ সালের ২৩ মে সেরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান এবং প্রকাশনায় সহযোগিতা করেন উইলিয়াম কেরি।
-
এটি ছিল বাংলার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।
-
পত্রিকাটিতে দেশ-বিদেশের খবর, সমাজ, ধর্ম, শিক্ষা ও প্রশাসনিক বিষয় প্রকাশিত হতো।
-
এটি বাংলা সাংবাদিকতার সূচনা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সমাচার দর্পণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সংবাদ ও মতামতের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে।
-
পত্রিকাটি সমাজে আধুনিক চিন্তাভাবনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে।

0
Updated: 19 hours ago
Related MCQ
’সমাচার চন্দ্রিকা’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জন ক্লার্ক মার্শম্যান
C
বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়
D
রাজা রামমোহন
‘সমাচার চন্দ্রিকা’ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপ্তাহিক পত্রিকা। রাজা রামমোহনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে সম্বাদ কৌমুদীর সম্পাদক ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় পত্রিকা ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে ১৮২২ সালের ৫ মার্চ তিনি ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশ করেন। এটি দ্রুতই রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের মুখপত্রে পরিণত হয় এবং টিকে ছিল ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
-
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক ও কলকাতার রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা।
-
তিনি ১৮২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজা রামমোহন রায় সম্পাদিত ‘সম্বাদ-কৌমুদী’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম সৃজনশীল গদ্য রচনার কৃতিত্ব তাঁর।
-
তাঁর রচনার তীব্র বিদ্রূপ ও রঙ্গব্যঙ্গ পাঠকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: দূতীবিলাস, শ্রীশ্রী গয়াতীর্থ, আশ্চর্য্য উপাখ্যান ইত্যাদি।
-
তিনি আধুনিক বাংলা গদ্য সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত।
-
তাঁর রচনার মাধ্যমে সমকালীন সমাজ ও সংস্কৃতির নানা দিকের সমালোচনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
‘সমাচার চন্দ্রিকা’ পত্রিকা ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল চিন্তার বিপরীতে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিল।

0
Updated: 3 weeks ago
কোন পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ছিলো?
Created: 1 month ago
A
ভারতী
B
তত্ত্ববােধিনী
C
পরিচয়
D
সওগাত
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পত্রিকাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা।
পত্রিকায় লিখতেন উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ গদ্যলেখকরা, যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং তাঁদের লেখার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক নবযুগের সূচনা হয়।
যদিও মূলত বেদান্ত-ভিত্তিক ব্রহ্মবিদ্যার প্রচারই পত্রিকার লক্ষ্য ছিল, তবুও এতে প্রকাশিত হত জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কিত মূল্যবান রচনা।
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা ১৯৩২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। অক্ষয়কুমারের পরে বিভিন্ন সময়ে এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন নবীনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

0
Updated: 1 month ago
সওগাত পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 3 months ago
A
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন
B
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
C
কাজী আব্দুল ওদুদ
D
সিকান্দার আবু জাফর
'সওগাত' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
‘সওগাত’ পত্রিকাটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে (১৯১৮ সাল) কলকাতা থেকে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
এর প্রধান লেখকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। করাচিতে বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় তিনি ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’ নামক একটি ছোট গল্প পাঠিয়েছিলেন, যা তার সওগাতে প্রকাশিত প্রথম রচনা ছিল।
সওগাত পত্রিকার অন্যান্য প্রখ্যাত লেখকদের মধ্যে ছিলেন বেগম রোকেয়া, কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, আবুল মনসুর আহমদ এবং আবুল ফজল।
এছাড়াও, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই পত্রিকায় তাদের লেখা প্রকাশ করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago