একজন পূর্ণবয়স্ক ৭০ কেজি ওজনের মানবদেহে কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে?
A
১.২-১.৪ কেজি
B
১০০০-২০০০ মিঃ গ্রাম
C
৪০০-৫০০ গ্রাম
D
২-৪ কেজি
উত্তরের বিবরণ
একজন প্রায় ৭০ কেজি ওজনের পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে মোট ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সাধারণত ১.২–১.৪ কেজি হয়ে থাকে। এই খনিজটি শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে।
-
মোট ক্যালসিয়ামের প্রায় ৯৯% থাকে হাড় ও দাঁতে, যা দেহের কাঠামোগত দৃঢ়তা ও মজবুততা বজায় রাখে।
-
বাকি ১% ক্যালসিয়াম রক্ত, পেশি ও নরম টিস্যুতে অবস্থান করে, যা শারীরিক প্রক্রিয়াগুলোর জন্য অপরিহার্য।
-
এই ক্ষুদ্র অংশের ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু সঞ্চালন, পেশি সংকোচন ও হরমোন নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভিটামিন D, প্যারাথাইরয়েড হরমোন (PTH) ও ক্যালসিটোনিন একসঙ্গে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
খাদ্যে উপস্থিত ẞ-Carotene-এর কত অংশ মানবদেহে রেটিনলে পরিবর্তিত হয়?
Created: 1 day ago
A
১/২ অংশ
B
১/৬ অংশ
C
১/১২ অংশ
D
১/১০ অংশ
β-Carotene হচ্ছে একধরনের provitamin A, যা উদ্ভিদজাত খাদ্যে উপস্থিত থাকে এবং মানবদেহে ভিটামিন A তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি অন্ত্রের এপিথিলিয়াল কোষে পরিবর্তিত হয়ে Retinol (Vitamin A) উৎপন্ন করে।
-
β-Carotene হলো ভিটামিন A-এর প্রি-কিউসর, অর্থাৎ এটি শরীরে ভিটামিন A তৈরির পূর্বধাপ।
-
এটি প্রধানত গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, পেঁপে, আম, টমেটো প্রভৃতি উদ্ভিজ্জ খাদ্যে পাওয়া যায়।
-
মানবদেহে ইনটেস্টাইনাল এপিথিলিয়াল কোষে β-Carotene রূপান্তরিত হয়ে Retinol (Vitamin A) তৈরি করে।
-
সাধারণত ৬ অংশ β-Carotene থেকে ১ অংশ Retinol উৎপন্ন হয়।
-
এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় অক্সিডেটিভ এনজাইম (β-carotene 15,15'-dioxygenase) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উৎপন্ন ভিটামিন A দেহে দৃষ্টিশক্তি, কোষ বৃদ্ধি, ইমিউন ফাংশন এবং ত্বকের স্বাস্থ্যে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দেহে Iron- এর পরিমাণ-
Created: 1 day ago
A
৫০ মিঃগ্রাম
B
১০০ মিঃগ্রাম
C
১০ মিঃগ্রাম
D
২০ মিঃগ্রাম
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দেহে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ১০ মিলিগ্রাম (mg) আয়রন থাকে। অর্থাৎ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির দেহে মোট প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এই আয়রনের বেশিরভাগ অংশ হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) আকারে রক্তে বিদ্যমান, যা অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।
১. বণ্টন:
-
প্রায় ৬০–৭০% আয়রন হিমোগ্লোবিনে থাকে।
-
২৫–৩০% লিভার, প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় Ferritin বা Hemosiderin আকারে সঞ্চিত থাকে।
-
অল্প পরিমাণ Myoglobin ও বিভিন্ন এনজাইমে বিদ্যমান।
২. জৈবিক ভূমিকা: আয়রন দেহে অক্সিজেন পরিবহন, কোষে শক্তি উৎপাদন এবং এনজাইমের কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য।
৩. ঘাটতির প্রভাব: আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া (Anemia) দেখা দিতে পারে, যা ক্লান্তি, দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস ঘটায়।
৪. খাদ্য উৎস: লাল মাংস, যকৃত, ডিমের কুসুম, ডাল, পালং শাক এবং গুড় আয়রনের ভালো উৎস।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহের Enzyme-গুলি কত তাপমাত্রায় সর্বাধিক কার্যকর থাকে?
Created: 1 day ago
A
৩৫-৪০° সেঃ
B
২৫-৩০° সেঃ
C
৪০-৪২° সেঃ
D
২৮-৩২° সেঃ
মানবদেহের এনজাইমগুলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করে, যা সাধারণত ৩৭° সেলসিয়াস, অর্থাৎ স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় দেহের সব ধরনের বিপাকীয় প্রক্রিয়া (metabolic processes) দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
১. সর্বোত্তম তাপমাত্রা: প্রায় ৩৫°–৪০°C তাপমাত্রার মধ্যে এনজাইম সবচেয়ে সক্রিয় থাকে, এবং এই সময়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াগুলো সর্বাধিক গতিতে ঘটে।
২. তাপমাত্রা কমে গেলে: নিম্ন তাপমাত্রায় এনজাইমের গতি কমে যায়, ফলে বিপাকীয় ক্রিয়াগুলো ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।
৩. তাপমাত্রা বেড়ে গেলে: অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এনজাইমের গঠন নষ্ট হয়ে যায়, একে বলে ডিন্যাচারেশন (Denaturation)। এতে এনজাইম তার কার্যক্ষমতা হারায় এবং রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না।
৪. জীববিজ্ঞানের গুরুত্ব: এনজাইমের কার্যকারিতা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা রক্ষা করা জীবনের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago