ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ পড়ার কারন কী?
A
ব্যাকটেরিয়া
B
ভাইরাস
C
ছত্রাক
D
খনিজের ঘাটতি
উত্তরের বিবরণ
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ সাধারণত ছত্রাক (Fungus) বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি ফলের পচন ও গুণমান নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ এবং সংরক্ষণ বা পরিবহনের সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
-
কারণ: বাতাসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোর ফলের আর্দ্র পৃষ্ঠে বসে বৃদ্ধি পায়, বিশেষত যদি ফলের খোসায় কোনো ক্ষত বা ফাটল থাকে।
-
সাধারণ ফাঙ্গাস: Aspergillus, Penicillium, Alternaria ইত্যাদি ছত্রাক প্রজাতি এসব দাগ সৃষ্টি করে।
-
পরিবেশগত প্রভাব: অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রার অস্থিরতা এবং অনুপযুক্ত সংরক্ষণ ফাঙ্গাস বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
-
ক্ষতি: ফলের স্বাদ, রং ও পুষ্টিমান নষ্ট হয়, কখনও কখনও মাইকোটক্সিন (Mycotoxin) নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
-
প্রতিরোধ: পরিষ্কার ও শুকনো স্থানে ফল সংরক্ষণ, সঠিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংক্রমিত ফল আলাদা করে ফেলা ফলের গুণমান রক্ষায় সহায়ক।

0
Updated: 1 day ago
Diet and CVD-এর ক্ষেত্রে Omega-3 fatty acid প্রধানতঃ
Created: 1 day ago
A
Reduce LDL-Cholesterol
B
Reduce TG and Inflammation
C
Increase blood glucose
D
Increase blood pressure
ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega–3 Fatty Acids) হলো একধরনের বহুঅসংযুক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি (polyunsaturated fat), যা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রধানত রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড (TG) এর মাত্রা হ্রাস করে এবং দেহে প্রদাহ (inflammation) কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
১. হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা: এটি রক্তে চর্বির ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
২. প্রদাহনাশক ভূমিকা: ওমেগা–৩ দেহে প্রদাহজনিত রাসায়নিকের উৎপাদন কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস বা অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. উৎস: প্রধান উৎস হলো চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন, সার্ডিন, টুনা), ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, আখরোট, ও ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট।
৪. স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারিতা: এটি মস্তিষ্কের বিকাশ, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago
কিডনী ফাংশন মুল্যায়নে কোন্ পরীক্ষা করা হয়?
Created: 1 day ago
A
রক্তের ALT/AST
B
রক্তের Creatinine
C
HbA1C পরীক্ষা
D
রক্তের(Bilirubin)
কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা মূল্যায়নে রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা একটি নির্ভরযোগ্য নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্রিয়াটিনিন মূলত পেশির বিপাকক্রিয়ার উপজাত, যা কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হয়।
-
রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক সীমার মধ্যে থাকলে বোঝা যায় কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করছে।
-
যদি এর মাত্রা উচ্চ হয়, তা নির্দেশ করে কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা কমে গেছে বা কিডনি বিকলতার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
ক্রিয়াটিনিনের উচ্চ মাত্রা সাধারণত কিডনি ডিজিজ, ডিহাইড্রেশন বা অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে।
-
কিডনির কার্যকারিতা আরও নির্ভুলভাবে জানার জন্য eGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate) পরীক্ষাও একসঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
Glycemic Index (GI) কি পরিমাপ করে?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন শোষণ
B
প্রোটিন হজম যোগ্যতা
C
কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবারে রক্তে শর্করার প্রতিক্রিয়া
D
খনিজের শোষণ যোগ্যতা
Glycemic Index বা GI হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কত দ্রুত ও কতটা পরিমাণে বাড়ে। এটি মূলত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের প্রভাব মূল্যায়নের একটি উপায়।
-
উচ্চ GI খাবার রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বৃদ্ধি করে। উদাহরণ: সাদা রুটি, চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার।
-
নিম্ন GI খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। উদাহরণ: দানাদার শস্য, শাকসবজি ও ডাল জাতীয় খাবার।
-
GI মানের উপর ভিত্তি করে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
-
নিম্ন GI খাবার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
GI মান সাধারণত ০ থেকে ১০০ স্কেলে পরিমাপ করা হয়, যেখানে ৫৫ বা তার নিচে নিম্ন GI এবং ৭০ বা তার উপরে উচ্চ GI ধরা হয়।

0
Updated: 1 day ago