কিডনী ফাংশন মুল্যায়নে কোন্ পরীক্ষা করা হয়?
A
রক্তের ALT/AST
B
রক্তের Creatinine
C
HbA1C পরীক্ষা
D
রক্তের(Bilirubin)
উত্তরের বিবরণ
কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা মূল্যায়নে রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা একটি নির্ভরযোগ্য নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্রিয়াটিনিন মূলত পেশির বিপাকক্রিয়ার উপজাত, যা কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হয়।
-
রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক সীমার মধ্যে থাকলে বোঝা যায় কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করছে।
-
যদি এর মাত্রা উচ্চ হয়, তা নির্দেশ করে কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা কমে গেছে বা কিডনি বিকলতার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
ক্রিয়াটিনিনের উচ্চ মাত্রা সাধারণত কিডনি ডিজিজ, ডিহাইড্রেশন বা অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে।
-
কিডনির কার্যকারিতা আরও নির্ভুলভাবে জানার জন্য eGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate) পরীক্ষাও একসঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
গ্লোবালি শিশুদের মধ্যে আয়োডিন ঘাটতির সবচেয়ে গুরুতর ফলাফল-
Created: 1 day ago
A
গলগন্ড
B
হাইপোথাইরয়েডিজম
C
ক্রেটিনিজম
D
মানসিক অবক্ষয়
আয়োডিনের মারাত্মক ঘাটতি গর্ভবতী মায়ের শরীরে হলে ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, যার ফলে জন্ম নেওয়া শিশু ক্রেটিনিজম (Cretinism) নামক গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
-
ক্রেটিনিজমের কারণ: আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোন (Thyroxine) উৎপাদন কমে যায়, যা ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বৃদ্ধি ও কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যক।
-
লক্ষণ: আক্রান্ত শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা কম থাকে, বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, কথাবার্তা ও চলাফেরায় বিলম্ব দেখা দেয়, এবং শারীরিক বিকাশে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
-
প্রতিরোধ: আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণ ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
-
জনস্বাস্থ্য গুরুত্ব: ক্রেটিনিজম প্রতিরোধযোগ্য হলেও এটি স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; তাই আয়োডিনের পর্যাপ্ততা বজায় রাখা গর্ভকালীন ও নবজাতক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
দুধে বিদ্যমান প্রোটিন হচ্ছে?
Created: 1 day ago
A
এলবুমিন
B
গ্লোবিউলিন
C
হোয়ে প্রোটিন ((Whey Protein)
D
ওভালো প্রোটিন
দুধে প্রধান দুটি প্রোটিন হলো কেসিন (Casein) ও হোয়ে প্রোটিন (Whey Protein), যা দুধের পুষ্টিগুণ ও কার্যকারিতার মূল উৎস। এরা দুধের গঠন ও ব্যবহার অনুযায়ী ভিন্নভাবে অবস্থান করে।
-
কেসিন (Casein): দুধের মোট প্রোটিনের প্রায় ৮০% অংশ গঠন করে। এটি অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা দুধের সাদা অংশ তৈরি করে এবং চিজ বা দই তৈরির সময় জমাট বাঁধে।
-
হোয়ে প্রোটিন (Whey Protein): দুধের মোট প্রোটিনের প্রায় ২০%। এটি দুধের দ্রবণীয় অংশে উপস্থিত, এবং চিজ তৈরির সময় কেসিন জমে যাওয়ার পর তরল অংশে থেকে যায়।
-
পুষ্টিগুণ: হোয়ে প্রোটিনে সবগুলো অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এবং এটি সহজে হজমযোগ্য, ফলে এটি শরীরের পেশী গঠন ও টিস্যু মেরামতে সহায়ক।
-
অতিরিক্ত তথ্য: কেসিন ধীরে হজম হয়, যা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ নিশ্চিত করে, আর হোয়ে প্রোটিন দ্রুত শোষিত হয় এবং তাৎক্ষণিক শক্তি ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
বয়সজনিত সারকোপেনিয়ার সাথে কোন্ পুষ্টি উপাদান সরাসরি জড়িত?
Created: 1 day ago
A
শর্করা
B
আমিষ ও ভিটামিন ডি
C
আয়রণ
D
ভিটামিন-সি
বয়সজনিত সারকোপেনিয়া (Sarcopenia) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশীর ভর ও শক্তি কমে যায়। এই প্রক্রিয়ায় আমিষ (Protein) ও ভিটামিন ডি (Vitamin D)-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এরা পেশী টিস্যুর গঠন, রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সরাসরি সহায়তা করে।
-
আমিষ (Protein): এটি পেশী টিস্যু গঠন ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রোটিন সংশ্লেষণ কমে যায়, ফলে পেশী ক্ষয় শুরু হয়। পর্যাপ্ত আমিষ গ্রহণ নতুন পেশী টিস্যু তৈরি ও ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন ডি (Vitamin D): এটি পেশীর কার্যকারিতা ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়, যা পেশী সংকোচন ও হাড়ের দৃঢ়তার জন্য অপরিহার্য।
-
সমন্বিত ভূমিকা: আমিষ ও ভিটামিন ডি একসঙ্গে কাজ করে পেশী ভর সংরক্ষণ, দুর্বলতা প্রতিরোধ এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
-
অতিরিক্ত উপকারিতা: পর্যাপ্ত আমিষ ও ভিটামিন ডি গ্রহণ হাড়ের ক্ষয় রোধ, ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পতনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যা বয়স্কদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago