গ্লোবালি শিশুদের মধ্যে আয়োডিন ঘাটতির সবচেয়ে গুরুতর ফলাফল-
A
গলগন্ড
B
হাইপোথাইরয়েডিজম
C
ক্রেটিনিজম
D
মানসিক অবক্ষয়
উত্তরের বিবরণ
আয়োডিনের মারাত্মক ঘাটতি গর্ভবতী মায়ের শরীরে হলে ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, যার ফলে জন্ম নেওয়া শিশু ক্রেটিনিজম (Cretinism) নামক গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
-
ক্রেটিনিজমের কারণ: আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোন (Thyroxine) উৎপাদন কমে যায়, যা ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বৃদ্ধি ও কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যক।
-
লক্ষণ: আক্রান্ত শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা কম থাকে, বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, কথাবার্তা ও চলাফেরায় বিলম্ব দেখা দেয়, এবং শারীরিক বিকাশে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
-
প্রতিরোধ: আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার, গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণ ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
-
জনস্বাস্থ্য গুরুত্ব: ক্রেটিনিজম প্রতিরোধযোগ্য হলেও এটি স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; তাই আয়োডিনের পর্যাপ্ততা বজায় রাখা গর্ভকালীন ও নবজাতক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ পড়ার কারন কী?
Created: 1 day ago
A
ব্যাকটেরিয়া
B
ভাইরাস
C
ছত্রাক
D
খনিজের ঘাটতি
ফলের গায়ে কালচে বা সবুজ দাগ সাধারণত ছত্রাক (Fungus) বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি ফলের পচন ও গুণমান নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ এবং সংরক্ষণ বা পরিবহনের সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
-
কারণ: বাতাসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোর ফলের আর্দ্র পৃষ্ঠে বসে বৃদ্ধি পায়, বিশেষত যদি ফলের খোসায় কোনো ক্ষত বা ফাটল থাকে।
-
সাধারণ ফাঙ্গাস: Aspergillus, Penicillium, Alternaria ইত্যাদি ছত্রাক প্রজাতি এসব দাগ সৃষ্টি করে।
-
পরিবেশগত প্রভাব: অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রার অস্থিরতা এবং অনুপযুক্ত সংরক্ষণ ফাঙ্গাস বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
-
ক্ষতি: ফলের স্বাদ, রং ও পুষ্টিমান নষ্ট হয়, কখনও কখনও মাইকোটক্সিন (Mycotoxin) নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
-
প্রতিরোধ: পরিষ্কার ও শুকনো স্থানে ফল সংরক্ষণ, সঠিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংক্রমিত ফল আলাদা করে ফেলা ফলের গুণমান রক্ষায় সহায়ক।

0
Updated: 1 day ago
গ্লুকোজের প্রতি কোন্ এনজাইমের Km-Value বেশী?
Created: 1 day ago
A
Hexokinase
B
Glucokinase
C
উভয়ের সমান
D
কোনটিই নয়
Glucokinase এবং Hexokinase উভয়ই গ্লুকোজকে গ্লুকোজ-৬-ফসফেটে রূপান্তর করে, তবে তাদের কার্যকারিতা ও শারীরবৃত্তীয় ভূমিকা ভিন্ন। এদের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো Km মানের (Michaelis constant) পার্থক্য, যা গ্লুকোজের প্রতি এনজাইমের আফিনিটি (affinity) নির্দেশ করে।
-
Glucokinase:
-
এর Km মান বেশি, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি কম।
-
এটি উচ্চ গ্লুকোজ ঘনত্বে সক্রিয় থাকে, যেমন খাবার গ্রহণের পর যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
-
মূলত লিভারে (Liver) অবস্থান করে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন আকারে সংরক্ষণে সহায়তা করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ কম গ্লুকোজ অবস্থায় এটি নিষ্ক্রিয় থাকে।
-
-
Hexokinase:
-
এর Km মান কম, অর্থাৎ গ্লুকোজের প্রতি আফিনিটি বেশি।
-
এটি কম গ্লুকোজ ঘনত্বেও কার্যকরভাবে কাজ করে।
-
মস্তিষ্ক ও পেশীসহ অন্যান্য টিস্যুতে থাকে এবং কোষকে অবিরাম শক্তি সরবরাহ করে।
-
এটি রক্তের গ্লুকোজমাত্রা নির্বিশেষে গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে, বিশেষ করে মস্তিষ্কের মতো অঙ্গের জন্য অত্যাবশ্যক।
-
সারসংক্ষেপে, Glucokinase উচ্চ গ্লুকোজমাত্রায় গ্লাইকোজেন সংরক্ষণে সহায়তা করে, আর Hexokinase সবসময় গ্লুকোজ ব্যবহার নিশ্চিত করে — এই পার্থক্যই শরীরে শক্তির সুষম বণ্টন বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago
Severe galactosemia কেন হয়?
Created: 1 day ago
A
Galactokinase defective
B
Glucokinase defective
C
Galactose-I-PO4 uridyl transferase defective
D
কোনটিই সঠিক নয়
Severe galactosemia একটি জেনেটিক বিপাকীয় রোগ, যা দেহে গ্যালাক্টোজ ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই অবস্থাটি ঘটে Galactose-1-phosphate uridyl transferase (GALT) এনজাইমের ঘাটতির কারণে, ফলে গ্যালাক্টোজ ও এর উপজাত শরীরে জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে।
-
এনজাইম ঘাটতি: GALT এনজাইমের অভাবে Galactose-1-phosphate লিভার, কিডনি ও মস্তিষ্কে জমে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
উপসর্গ: নবজাতকের ক্ষেত্রে বমি, জন্ডিস, লিভার ফেইলিওর, মানসিক বিকাশে বিলম্ব ও ছানির সমস্যা দেখা দেয়।
-
বংশগত ধরণ: এটি autosomal recessive disorder, অর্থাৎ উভয় পিতামাতার থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন উত্তরাধিকার সূত্রে পেলে রোগটি প্রকাশ পায়।
-
চিকিৎসা: গ্যালাক্টোজ ও ল্যাক্টোজমুক্ত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দুগ্ধজাত খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করে করা হয়।
-
পরিণাম: চিকিৎসা না করলে এটি লিভার ক্ষতি, মস্তিষ্কের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা ও মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

0
Updated: 1 day ago