মধ্যযুগের কবি নন কে?
A
জয়নন্দী
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
গোবিন্দ দাস
D
জ্ঞান দাস
উত্তরের বিবরণ
জয়নন্দী ও চর্যাপদ
জয়নন্দী প্রাচীন যুগের একজন বাংলা কবি। তিনি চর্যাপদের একজন কবি ছিলেন।
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো গ্রন্থ।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
এই গ্রন্থটি ১৯০৭ সালে (১৩১৪ বঙ্গাব্দে) আবিষ্কৃত হয়।
-
পরে ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে এটি ছাপা হয়।
-
চর্যাপদের সম্পাদনা করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
চর্যাপদের কবিরা
চর্যাপদের কতজন কবি ছিলেন তা নিয়ে মতভেদ আছে—
-
সুকুমার সেন তাঁর 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' বইয়ে ২৪ জন কবির কথা বলেছেন।
-
আর ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর 'Buddhist Mystic Songs' বইয়ে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন।
কবিদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন
কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, ধর্মপা, ঢেণ্ডণপা, বিরুপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, মহীধরপা, লুইপা, শবরপা, শান্তিপা, সরহপা, ডোম্বীপা, কম্বলাম্বরপা, গুণ্ডরীপা, চাটিল্লপা, আর্যদেবপা, দারিকপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা, জয়নন্দীপা ও তন্ত্রীপা।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মেছিলেন কোন কবি?
Created: 1 month ago
A
জসীমউদ্দীন
B
ফররুখ আহমদ
C
আবুল হাসান
D
শহীদ কাদরী
জসীমউদ্দীন
-
জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে।
-
তিনি একজন খ্যাতিমান কবি ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। সবাই তাঁকে পল্লিকবি নামে চেনে।
-
তাঁর একমাত্র উপন্যাসের নাম ‘বোবা কাহিনী’।
-
তিনি রচনা করেন বিখ্যাত গাথাকাব্য ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে।
-
এই গ্রন্থটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন E.M. Millford; নাম দেন ‘The Field of the Embroidered Quilt’।
-
তিনি পেয়েছেন:
-
১৯৫৮ সালে প্রেসিডেন্টের Pride of Performance পুরস্কার,
-
১৯৭৬ সালে একুশে পদক,
-
এবং ১৯৭৮ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার।
-
-
তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ, ঢাকায়।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
-
বালুচর
-
রূপবতী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
ধানখেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
মা যে জননী কান্দে
• আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ
-
জীবনকথা
-
স্মৃতিপট
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
• শিশুদের জন্য লেখা
-
ডালিমকুমার
-
এক পয়সার বাঁশি
-
হাসু
• নাটকসমূহ
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মায়া
• অন্যান্য কবিদের জন্মস্থান ও জন্মতারিখ
-
ফররুখ আহমদ: জন্ম ১০ জুন ১৯১৮, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে।
-
আবুল হাসান: জন্ম ৪ আগস্ট ১৯৪৭, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে (মামার বাড়ি)।
-
শহীদ কাদরী: জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৪২, কলকাতায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
ডোম সম্প্রদায়ের একজন যুবকের কবিরূপে প্রতিষ্ঠার কাহিনি উল্লেখ রয়েছে কোন উপন্যাসে?
Created: 1 week ago
A
নিকেতন
B
আরোগ্য
C
কালিন্দী
D
কবি
‘কবি’ উপন্যাস
-
রচয়িতা: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
-
এটি একটি সামাজিক উপন্যাস, যা বাংলাভাষার আলোচিত কাহিনিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
কাহিনী কেন্দ্র করে ডোম সম্প্রদায়ের একজন যুবকের কবিরূপে আত্মপ্রকাশ এবং দুটি নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরোগ্য
-
নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
Created: 1 month ago
A
গোবিন্দ দাস
B
কায়কোবাদ
C
কাহ্ন পা
D
ভুসুকু পা
ভুসুকুপা - চর্যাপদের একজন প্রাচীন বাঙালি কবি
-
ভুসুকুপা চর্যাগীতি রচয়িতাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
-
তিনি মোট ৮টি চর্যাপদ রচনা করেছেন, যা চর্যাপদ গ্রন্থে সংকলিত আছে।
-
অনেকে মনে করেন ‘ভুসুকুপা’ নামটি আসল নয়, এটি তাঁর ছদ্মনাম।
-
তাঁর আসল নাম ছিল শান্তিদেব।
-
ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, শান্তিদেব ওরফে ভুসুকুপা সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন এবং ৮০০ সালের দিকে তাঁর জীবন শেষ হয়।
-
তিনি পাল রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮০৬ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে বেঁচে ছিলেন।
-
ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তাঁর এক পঙ্ক্তিতে:
“আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভাইলী / নিঅ ঘরিণী চণ্ডালে লেলী”
যার সহজ অর্থ: আজ ভুসুকু বাঙালি হলো। -
তাঁর রচিত একটি চর্যাপদের অংশ:
“কাহৈরি ঘিনি মেলি অচ্ছহু কীস।
বেটিল ডাক পড়অ চৌদীস ॥”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago